পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳԵ তত্ত্ববোধিনী ১৩ কল্প, ১ ভাগ SSAS SSAS SSAS --- - ** - - - ব্যবস্থিত হইবে তাহ নির্বিশেষে ব্যাপক হওয়া চাই। নচেৎ সমাজ-সঙ্ক্ষোভ দুর্ণিবার হইয়া উঠিবে। বোধ হয় এই অলঙ্ঘনীয় কারণেই মনু স্ত্রীচরিত্র একসূত্রে গাথিয়৷ গিয়াছেন । এবং ইহাতে লোকের আস্থা স্থাপনের জন্য নিজের যুক্তিতর্ক যথেষ্ট হইলেও বেদপ্রমাণের আশ্রয় লইয়৷ এই বুঝাইয়াছেন স্ত্রীলোককে কখনই স্বাধীন করিও না । পরেই তিনি ভাবিলেন, কি করিলাম ! মন্দটাই স্ত্রীজাতির বিধাতুবিহিত স্বভাব এই কথায় অনেকেই তো ইহাদের প্রতি এককালে বিমুখ হইয়া পড়িবে। এখন উপায় ! তাই তিনি বলিতেছেন, স্ত্রী যাদৃক গুণবৎ ভৰ্ত্তার সহিত বিবাহ বিধানে সংযুক্ত হয় তাদৃক গুণই তাহার হইয়া থাকে। সাধু সংযোগে সাধ্বী হয় এবং অসাধু সংযোগে অসাধ্বী হয়। যদিচ মন্দটাই স্ত্রীজাতির বিধাতৃবিহিত স্বভাব কিন্তু তোমার সংযম থাকিলে সেও সংযতা হইবে। নিজে চরিত্রবান হও সেও চরিত্রবর্তী হইবে। অন্যথায় কোনও রূপ শুভাশা করিও না । এই বলিয়া. তিনি ভর্তুগুণে গুণবতী অক্ষমালার উদাহরণ দিয়া স্ববক্তব্যের উপসংহার করিয়াছেন । নদীতে ঝড় ও নাস্তিকের ঈশ্বর প্রবোধ । একদা ভ্ৰমিতে হইল বাসনা, কৃষক-বসতি-নদীর চর, মনের উল্লাসে পূরিতে কামন, চলিনু সাহসে করিয়া ভর। বহিছে নীরবে ধীরে প্রবাহিনী, প্রশান্ত মুরতি হেরিনু তার, | -- SAAAAAA S S S হনীল গগনে খেলে সৌদামিনী, মাঝে মাঝে কাল মেঘের ভার ! গভীর নিস্তব্ধ দেখিয়া প্রকৃতি, ছাড়িল নাবিক তরণী তার, তরঙ্গিনী মাঝে আসিনু ঝটিতি, অধীর হইনু ধরিতে পার । নামানি ভজন নামানি পূজন, নামানি ভুবনে বিভূর স্থিতি, নামানি ঈশ্বর—জগত-কারণ, নাহিক তাহাতে ভাবনা ভীতি । সহসা জলদ ছাইল গগন, ক্রমশঃ বাড়িল পবন-গতি, দেখিতে দেখিতে আকার ভীষণ, ধরিল নদীর তরঙ্গ অতি । হেরিয়া প্রচণ্ড তরঙ্গ নদীর, मानदन कउ३ शहैन उग्न, দেখায় ভীষণ প্রকোপ সমীর, চলিতে সাহস নাকি হয় । । কাপিল মেদিনী মাতিল তটিনী, ভাঙ্গিল সমুচ্চ তরুর শির, রোষিল গর্জিয়া কল-কল্লোলিনী, ভাঙ্গিল হুঙ্কারে বিদারি কীর। ভাবিনু প্ৰলয় আসিল তখন ছাইল কত ভীষণ লহরী, ডগমগ করি কঁাপিছে তরণী, যেনরে পবন নাচায় তরী। ডুবুডুবু নৌকা তরঙ্গ-আঘাতে, হৃদয় আকুল পাইয়া ত্রাস, চমকে পরাণ চপল প্রভাতে । ত্যজিনু হায়রে জীবন-অাশ ! আকুল ব্যাকুল হইয়া তখন, ভাসিতেছিলাম নয়ন-জলে,