পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

כימשל עשי ঐচৈতন্য ও র্তাহার শিষ্যগণ Ե»(: হইতে নীচ ও নিরভিমান হইয়া হরিনাম করাই চৈতন্যের ধৰ্ম্ম । কেহ তাহার অন্যায় প্রশংসা করিলে তিনি বিষ্ণু স্মরণ পূর্বক কর্ণে অঙ্গুলি দিয়া মহা বিরক্তি প্রকাশ করিতেন । এই কারণে উক্ত শ্লোক আবৃত্তি করিতে রূপ গোস্বামী নিরতিশয় সঙ্কুচিত হইলেন। রূপের লজ্জা ও সংকোচ দেখিয়া চৈতন্য বলিলেন, বৈষ্ণু , সমাজে গ্রন্থ শুনাইবে ইহাতে আর লজ্জা কি, শ্লোক পাঠ কর । “রায় কহে কহ ইষ্টদেবের বর্ণন । প্রভুর সঙ্কোচে রূপ না করে পঠন। প্রভু কহে কহ কেন কি সঙ্কোচ লাজে ! গ্রস্থের ফল শুনাইবে বৈষ্ণব সমাজে ॥ চৈতন্য চরিতামৃত অস্ত্যখণ্ড ১ম : শ্ৰীগৌরের আদেশে রূপ সলজৰ্ভ এই দুইটি শ্লোক আবৃত্তি করিলেন। “অনপিতচরণীং চিরাৎ করুণয়াবতীর্ণঃ কলেী সমর্পয়িতুমুন্নতোজলরসাং স্বভক্তিশ্রিয়ং। হরিঃ পুরটসুন্দর দু্যতিকদম্ব সন্দীপিতঃ সদা হৃদয়কন্দরে স্ফুরতু বঃ শচীনন্দন ॥” বিদগ্ধ মাধব । যে উন্নতোজ্জ্বল মধুর রস জগতে কখন অপিত হয় নাই, সেই স্বীয় ভক্তিসম্পদ প্রদান করিবার জন্য যিনি করুণা করিয়া এই কলিযুগে অবতীর্ণ হইয়াছেন ; র্যাহার দেহত্যুতি কনককান্তি হইতেও অতি উজ্জ্বল শোভাযুক্ত, সেই শচীনন্দন হরি (সিংহ) তোমাদের হৃদয়কন্দরে সর্বদ প্রকাশিত থাকুন। "নিজপ্রণয়িত স্থধামুদয়মাপ্ল বন যঃ ক্ষিতে কিরতালমুরীকৃত দ্বিজকুলাধিরাজস্থিতিঃ । স লুণ্ডিততমস্ততিৰ্ম্মম শচীমুতাখাঃ শশী বশীকৃতজগন্মনাঃ কিমপি শৰ্ম্ম বিন্যস্ততু ॥” ললিত মাধব । যিনি ক্ষিতিতলে জন্মগ্রহণ করিয়া স্বীয় প্রেমরসামৃত বহুল পরিমাণে বিস্তার করিয়াছেন, যিনি দ্বিজকুলাধিরাজ এই খ্যাতি লাভ করিয়াছেন, এবং যিনি অজ্ঞানান্ধকার সমূল বিনাশ করিতেছেন, সেই জগন্মোহন শচীনন্দন শশী আমার অনিবর্বচনীয় সুখ বিধান করুন। শ্লোক শ্রবণ করিয়া ভক্তগণ পরমানন্দ লাভ করিলেন ; কিন্তু শ্ৰীগৌরহন্দর নিজের লতিস্তুতি শ্রবণ করিয়া রাগাম্বিত হইয়া রূপকে ভৎসনা করিতে লাগিলেন । রামানন্দ পুলিলেন; রূপের বাক্য সহজেই অমৃতরসে পরিপূর্ণ, তোমার স্তুতিরূপ কপূর্ণর বিন্দুর সংযোগে তাহ আরও সোঁগন্ধময় হইয়াছে। চৈতন্য বিরক্ত হইয়া বলিলেন, এই সকল উপহাসকর লজ্জাজনক কথা শুনিয়া তুমি উল্লসিত হইতেছ ইহাই অতি আশ্চৰ্য্য ! রায় রামানন্দ র্তাহাকে এই বলিয়া বুঝাইতে লাগিলেন যে, স্বীয় গ্রন্থের মঙ্গলাচরণে অভীষ্ট দেবের স্তুতি করা দোষাবহ নহে, ইহা শ্রবণ করিয়া লোকের সুখ হইয়া থাকে। “তবে রূপ গোসাঞি যদি শ্লোক পড়িল । শুনি প্রভু কহে এই অতি স্তুতি হুৈল। কাহা তোমার কৃষ্ণরস কাব্য সুধাসিন্ধু। তার মধ্যে কেন মিথ্যা স্তুতি ক্ষার বিন্দু ॥ রায় কহে রূপের বাক্য অমৃতের পুর। তার মধ্যে এক বিন্দু দিয়াছে কপূর ॥ প্রভু কহে রায় তোমার ইহাতেও উল্লাস । শুনিতেই লজ্জা লোকে করে উপহাস ॥ রায় কহে লোকের সুখ ইহার শ্রবণে । অভীষ্টদেবের স্মৃতি মঙ্গলাচরণে ॥” চৈঃ চঃ অস্ত্য খণ্ড ১ম পরিচ্ছেদ । অতঃপর রামানন্দ ও শ্রীচৈতন্য রূপের কবিত্বের বিস্তর সুখ্যাতি করিলেন। চৈতন্য বলিলেন, “ইহঁার সালঙ্কার কাব্য অতিমধুর, এপ্রকার কবিত্বব্যতীত মাধুর্য্য রস প্রচার হওয়া অসম্ভব । তোমরা সকলে