পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হইবে যে, তাহারদের উপভোগ্য বিষয়রাশি চতুর্দিকে অবস্থান করিলেও যেন তাহারা তৎ তৎ বিষয়ে ধাবিত না হয় | চক্ষু কর্ণাদি ইন্দ্রিয় সকল যেন হৃদয়েতে সন্নিবিষ্ট হইয়া সাধন সমাধানের বিশেষ সহায়তা করে । আত্মা যখন বিষয়াতীত পরব্রহ্মের ধ্যান ধ্যারণায় প্রবৃত্ত হয়, বহিরিন্দ্রিয় সকলও যেন সেই সময়ে বিষয়-সম্বন্ধ পরিত্যাগ করে । তাহা হইলে সাধক অল্পায়াসে অল্প যত্বেই আত্মাকে পরমাত্মার সন্নিহিত করিতে সমর্থ হয় । চক্ষু কর্ণাদির উপভোগ্য বিষয় রূপ রস গন্ধ স্পর্শ শব্দ, ইহারা সমুদায়ই পার্থিব সুতরাং অস্থায়ী । এই সকল ইন্দ্রিয়-সুখ কখনই আত্মার আভ্যন্তরিক তৃষ্ণা দূর করিতে পারে না । আত্ম যখন ব্রহ্মগত-প্রাণ হইবার চেষ্টায় প্রবৃত্ত হয়, তখন কদাচ ইচ্ছাবশত ইন্দ্রিয়-গ্রাহ্য বিষয়ে চক্ষু কর্ণাদিকে আসক্ত হইতে দিবেক না। বরং তাহ স্বৰ্গ-মোক্ষের বিরোধী, ইহা মনে মনে চিন্তা করিয়া তাহারদিগকে নিবৃত্ত করিবে । “ইক্রিয়ার্থে সৰ্ব্বেষু ন প্রসজ্যেত কামত: | অতি প্রেসক্তিঞ্চৈতেষাং মনসা সক্লিবৰ্ত্তয়েৎ ৷ ” সামাজিক উপাসনায় শ্রবণেন্দ্রিয়ের প্রয়োজন । সাধককে ত্যাচার্যোর ভগবৎ-প্রেমপুর্ণ উপদেশ সকল শুনিতে হয়, গায়কের নিকটে মধুরতর ব্রহ্মযশঃসংগীত শ্রবণ করিবার আবশ্যক হইয়া থাকে । অতএব বহিরিন্দ্রিয় সকলের উপরে এমনই কর্তৃত্ব রাখিবে, যেমন বীণাবাদক রাগ-বিশেষ আলাপ করিবার সময়ে অনুলেমগামী তন্ত্রী-বিশেষ (পর্দা) অ নায়াসে উল্লঙ্ঘন পূর্বক উচ্চতর বা নিম্নতম । অভিলষিত তন্ত্রীতে বাদন-ক্রিয়া সম্পাদন করেন; তেমনি সাধক যেন ইচ্ছাক্রমে অভি তত্ত্ববোধিনী পত্রিক ஆ_ ___ _க বিষয় হইতে এই রূপে প্রত্যাবর্তন করিতে | ১• কল্প; ১ ভাগ AAAAAA AAAA AAAASAAAAS AAAAA AAAA AAAA AAAAMA AMMS SSAAAASSSSLLSSTSS হইতে ব্ৰহ্মজ্ঞানামৃত আহরণ করত আত্মাকে পোষণ করিতে পারেন । কিরূপে যে বহিরিন্দ্রিয় সকলের উপরে উপাসকের এরূপ কর্তৃত্ব ও প্রভুত্ব জন্মে, তাহার উপায় নির্দেশ করা সহজ ব্যাপার নহে। কিন্তু । এই মাত্র সংক্ষেপে বলা যাইতে পারে যে, অভ্যাস ও সাধন দ্বারা এই দুঃসাধ্য ব্যাপারও সাধ্যায়ত্ত হইয়া আইসে । ইন্দ্রিয়সংযমের ন্যায় শরীরসংযমও নিতান্ত প্রয়োজন । অনেকে শরীর সংযত করিতে সমর্থ না হওয়ায় একাসনে দীর্ঘকাল উপবেশন করিয়া অনন্যমনে ঈশ্বরচিন্তায় নিমগ্ন থাকিতে পারেন না । শারীরিক কষ্ট ক্লেশ নিবন্ধন অংশ পরিবর্তনাদি দ্বার। চিত্ত-বিক্ষেপ উপস্থিত হয় স্থতরাং ধ্যান ধারণার বিশেষ ব্যাঘাত হইয়া থাকে । অতএব তপঃক্লেশ সহ্য করিবার জন্য সৰ্ব্ব প্রযত্নে শরীরকে স্ত্রঢ়িষ্ট বলিষ্ঠ ও সহিষ্ণু করিয়া তুলিবে । যাহাতে দীঘকাল সমাসীন থাকিয় একত্রে হৃদয়ে ঈশ্বরের বরণীয় জ্ঞান শক্তি ধ্যানে নিযুক্ত থাকা যাইতে পারে, তদ্বিষয়ে বিশেষ যত্নশীল হইবে । অনেক অসহিষ্ণু সাধক, প্রকাশ্য উপাসনাক্ষেত্রে উপস্থিত হইয়া স্থান-ত্যাগ, পার্শ্ব পরিরর্তন, বা বহির্গমন প্রভূতি দ্বারা অপরাপর উপাসকদিগের যোগ-ভঙ্গ, সাধন-ব্যাঘাত উপস্থিত করিয়া থাকেন। অনেকে বাক্ংযমে অপটুতা নিবন্ধন অল্পকাল মধ্যেই বাক্যালাপে প্রবৃত্ত হইয় অবশিষ্ট সাধকদিগকে মৰ্ম্মান্তিক বেদন প্রদান করেন।, শ্রেষ্ঠাধিকারী ব্রহ্মোপাসকদিগের পক্ষে ইহা সামান্য কলঙ্কের বিষয় নহে। যম নিয়ম আসন প্রভূতি সাধন-অঙ্গগুলি পর্য্যায় ক্রমে শিক্ষিত ও অভ্যস্ত হইলে আর এরূপ বিস্ত্র বিপত্তি উপস্থিত হইবার আশঙ্কা লম্বিত ইন্দ্রিয়-দ্বার প্রমুক্ত করিয়া বাহ্য বিষয় । থাকে না। যিনি যতই কেন উচ্চ-শিক্ষা