পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

دهیاد if۹ی প্রাপ্ত হইতে ইচ্ছুক হউন না, ষদি যথাপদ্ধতি বর্ণমালা হইতে সোপান-পরম্পরায় শিক্ষিত না হন, তাহা হইলে তাহার সেই আশা তুরাশা হইয় পড়ে । উপযু পরি রীতিমত শিক্ষা প্রাপ্ত হইলে উচ্চতর শিক্ষা সহজ হইয়া উঠে । পূণ্যভূমি ভারতবর্যে সাধন সমাধান বিষয়ে কৃতকাৰ্য্য হইবার জন্য কত শত আচার্য্য দ্বারা কত প্রকার যোগ-শাস্ত্র প্রকাশিত হইয়াছে । ইন্দ্রিয়-সংযম প্রভৃতি বিষয়ে কত লোকের দ্বারা কত প্রকার উপদেশ প্রদত্ত হইয়াছে । তৎসমূহের সাধন-প্রক্রিয়া যেরূপই হউক না, শরীরকে তপঃক্লেশসহিষ্ণু করা, সাধন সমাধান সময়ে ইন্দ্রিয়দিগকে বহি বিষয় হইতে বিরত করিয়া অন্তর্মুখ করাই তৎসমূহের গুঢ় উদ্দেশ্য । কতলোকে তাহার সার মৰ্ম্ম হৃদয়ঙ্গম করিতে না পারিয়া এক একটী ইন্দ্রিয়-পথ এককালে নিরোধ করত এক একটী অশেষ জ্ঞান-দ্বার অবরোধ করিয়া সেই বিশ্বশিল্পী মহান পুরুষের অনুপম স্নেহ করুণা যাবজজীবনের জন্য বিসর্জন দিয়াছেন। কত মনুষ্য সাধন সংযমের প্রকৃত অর্থ বুঝিতে ন পারিয়া অনশনাদি দ্বারা শরীর ক্ষয় করিতেছেন । অতএব এই সারতম ধৰ্ম্ম-উপদেশ স্মরণ রাখিয়া ज्राख्न-हज्रा इहेहङ विद्रज्र श्हेष्द । “প্রাপ্য চাপু্যত্তমং জন্ম, লন্ধ চেক্রিয়সৌষ্ঠবম । नcदखाiज़हिड़९ शञ्च न उ८दनांज्रघांउकः ॥ ” ॐउग गांनद छद्म eांख शहेश ७द९ ইন্দ্রিয়-সৌষ্ঠব লাভ করিয়া যে ব্যক্তি আত্মহিত না জানে, সে আত্মঘাতী হয় । । অতএব কোন রূপে দেবদত্ত ইন্দ্রিয় সৌষ্ঠব সকল বিনষ্ট বা বিকৃত মা করিয়া । তাহাদিগকে সংযত ও বশীভূত করিবে । মিতাহার ও মিতাচার দ্বারা শরীর মনকে । পাপাচরণ হইতে বিরত রাখিবে। -“যাহারা পরকাল ჯაv9 মন ও বাক্য ও কৰ্ম্ম ও বুদ্ধি দ্বারা পাপীচরণ না করেন, সেই মহাত্মারাই তপস্যা করেন, র্যাহারা শরীর শোষণ করেন, তাহারা তপস্যা করেন না । “যে পাপানি ন কুৰ্ব্বস্তি মনোবীকৃকৰ্ম্মবুদ্ধিভিঃ । তে তপস্তি মহাত্মানোন শরীরস্য শোষণম ॥ " পরকাল । ( ৪৩৩ সংখ্যক পত্রিকার ৯২ পৃষ্ঠার পর ) এস্থলে ইহা উল্লেখ করা বাহুল্য বোধ হইতেছে যে, মহামহোপাধ্যায় স্যার উইলিয়ম হ্যামিণ্টন স্বীয় দর্শনে "Consciousness"কে যে ব্যাপক অর্থে প্রয়োগ করিয়াছেন এই প্রস্তাবে আমরাও প্রতিবোধ ও সংজ্ঞাকে সেই অর্থে গ্রহণ করিয়াছি । আমাদের সর্ব প্রকার জ্ঞানের মূলে প্রতিবোধ বিদ্যমান রহিয়াছে । আমরা বর্তমানে যাহা প্রত্যক্ষ করি, যাহা অনুভব করি, যাহা বিশ্বাস করি, সকলেরই মূলে যেমন প্রতিবোধ তেমনি আবার স্মরণ করিয়া কোন অতীত তত্ত্ব উদ্ধার করিতে হইলে আমরা প্রতিবোধ মধ্যেই তাহ প্রাপ্ত হই, এবং অাশা ও কল্পনাবলে কোন ভাবী বিষয়ের সূচনা করিতে হইলে তাহাকেও এই প্রতিবোধ-ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠাপিত করি । প্রত্যুত প্রতিবোধ ব্যতীত আমাদের কোন রূপ জ্ঞান-ক্রিয় সম্ভব হয় না । প্রতিবোধই আমাদের সর্ব প্রকার জ্ঞানের আশ্রয় ও আয়তন ; প্রতিবোধই জ্ঞাতা । জ্ঞাতাজ্ঞেয়ের সম্বন্ধ-ভারের নাম জ্ঞাতৃত বা জ্ঞান। জ্ঞান-ক্রিয়ার জন্য জ্ঞাতা ও জ্ঞেয়ের স্বতন্ত্র সত্তা অবশ্য প্রয়োজনীয়। জ্ঞান জ্ঞাতা ও জ্ঞেয়কে এক সম্বন্ধসূত্রে নিবদ্ধ করে । অন্যান্য গুরুতর বিষয়ে সম্যক্‌ মতভেদ সত্তেও প্রতিবোধের স্বাভাবিক রিজ্ঞ