পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্বিন ১৮৯১ উপাসক-এই চতুৰ্ব্বিধ উপাসকদিগকে অদ্বৈত মত স্বীকার করাইলেন। বরুণভক্ত তীর্থপতি বলিল যে বরুণই পর ব্রহ্ম এবং সকলের উপাসনীয় । বায়ুভক্ত প্রাণনাথ ৰলিল যে বায়ুদেবই সকল দেহের প্রাণস্বরূপ মুক্তিদাতা ও উপাসনীয়। ভূমিমতাবলম্বী অনন্ত বলিল যে ভূমিই সৰ্ব্বকারণ,সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট,সৰ্ব্বদেবময় এবং মমুফুদিগের উপাস্য । তীর্থোপাসক জীবনদ বলিল যে তীর্থই ব্রহ্ম, সুতরাং উহা মুক্তিলাভেচ্ছ ব্যক্তিদিগের একমাত্র আশ্রয়স্থান ও উপাস্য । অনন্তর নিরালম্ব নামে একজন শুন্যবাদী আসিয়া আচাৰ্য্যকে বলিল “ম্বাযিন, সবই শুনা, কিছুই নাই, ব্রহ্মও নাই। আমার নাম নিরীলম্ব, আমার পিতা কল্পিতরূপ এবং মাতা নির্ভরিতা । আপনি কেন বৃথা ঘুরিয়া বেড়াইতেছেন।” তখন আচার্য্য তঁহাকে র্তাহার ভ্রম বুঝাইয়া দিয়া স্বমতে অনিয়ন করিলেন। তৎপরে তিনি আদি-বরাহোপাসক, চতুৰ্দশলোকোপাসক, গুণোপাসক, সাংখ্যপ্রধানবাদী, কপিল-মোগমতাবলম্বী এবং পলুমতোপসেকদিগের সহিত বিচার করিলেন । আদি-বরাহোপাসক বলিল যে ভগবান একীকৃত সকল সমুদ্রে নিমগ্ন পৃথি- ! বীকে বরাহরূপে দংষ্টাগ্রে উদ্ধার করিয়া- ৷ ছিলেন । তিনিই জগৎকারণ, মোক্ষপ্রদ এবং সৰ্ব্বজনের উপাসনীয় । দ্বিতীয় ব্যক্তি বলিল যে চতুর্দশ লোকই ঈশ্বর এবং ইহাদিগের অনুগ্রহে সত্যলোক-প্রাপ্তি হইতে পারে বলিয়া আমি লোকসমূহের উপাসনা করিয়া' থাকি। তৃতীয় ব্যক্তি বলিল যে গুণ সকলই লোককর্তা, ব্রহ্মদি দেবের কারণ এবং উপাসকদিগের অভিলাষপূরক । যে ব্যক্তি গুপের উপাসন করে সে সৰ্ব্ব-লোকপূজ্য হয়,যে হেতু সকল প্রপঞ্চই গুণময়। চতুর্থ সাংখ্যবাদী বলিল যে প্রধান শঙ্করাচার্য্যের জীবন বৃত্তান্ত | 수 | SSS" অর্থাৎ প্রকৃতিই জগছুপাদান কারণ। সত্ত্ব, রজ ও তম এই গুণত্রয়ের সাম্যবস্থার নাম প্রকৃতি । প্রকৃতির ব্যক্ত ভাবের নাম জগৎ এবং অব্যক্ত ভাবের নাম লয়। প্রকৃতি হইতেই মহত্তত্ব প্রভৃতি সকল বিশ্ব উৎপন্ন হইয়াছে। প্রকৃতি অচেতন কিন্তু সকল জগতের মূল । প্রকৃতির মূল নাই । মোক্ষেচ্ছ ব্যক্তিরা প্রকৃতির উপাসনা করিলেই উদ্দেশ্য সাধন করিতে সমর্থ হইবে । পঞ্চম যোগমতবাদী বলিল যে যোগসাধন দ্বারাই মুক্তি লাভ করা যাইতে পারে। ষষ্ঠ পলু মতাবলম্বী কহিল নে পরমেশ্বর সাক্ষাৎ গংকর্তা; তিনি হুষ্টিকালে পৃথিবী প্রভৃতির অণুসমূহ সংযোগ এবং লয়কালে বিয়োগ করেন । অণুসমূহ নিত্য। এইরূপে ভূমি, জল, অগ্নি, বায় প্রভৃতি প্রপঞ্চ উৎপন্ন হইলে তদীরা তিনি লোক স্বষ্টি করিয়া সেই লোকে বাসযোগ্য প্রণি সকল স্বজন কবেন । তিনিই সৰ্ব্বসাক্ষী, সর্বদর্শী ও সৰ্ব্বপরিপূর্ণ। ইহার এবণ্ডকারে স্ব স্ব মত ব্যক্ত করিলে পর আচার্য্য প্রথমকে বলিলেন তোমীর মত বেদবিরুদ্ধ এবং ব্রহ্মণগণের অগ্রহ; দ্বিতীয়কে বলিলেন তোমার বিবেকের লেশমাত্র নাই, অনিত্য ভৌতিক ও জড় লোক সকল কিরূপে ফল অপণ করিবে, তৃতীয়কে বলিলেন জন্য অনিত্য গুণ সমূহ কিরূপে শাশ্বত-ফল মোক্ষ প্রদান করিবে । অনন্তর সাংখ্যকে কছিলেন যে অচেতন প্রকৃতির দর্শন-শক্তি নাই, সুতরাং জগতের উপাদান কারণ হইতে পারে না, চৈতন্যময় ঈশ্বরই জগতের উপাদান কারণ, আর প্রকৃতি গুণত্রয়ের সাম্যাবস্থা, সুতরাং তাহার উপাসনা দ্বারা সাত্ত্বিক জ্ঞান লাভ হইতে পারে না । তৎপরে যোগবাদীকে বলিলেন যে যোগ দ্বারা কেবল দেহশুদ্ধি