পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S 2. शंकिग्ना ८गन षांशद्र लक्षाञ्जके ना हहै । যিনি আমাদের পিতা পাতা, যিনি আমাদের মঙ্গলবিধাতা, যিনি আমাদিগকে সতত ভয় বিপদে রক্ষা করেন, যিনি আমাদের অনন্ত কালের আশ্রয়, যেন আমরা তাহাকে ভুলিয়। না থাকি। তাহর পবিত্র চরণ যেন সৰ্ব্বক্ষণ আমরা হৃদয়ে ধারণ করিতে পারি। তাহার প্রিয়কর্য সাধনে যেন আমাদের আন্তরিক প্রবৃত্তি হয়। পরেপকার ব্রতে আমাদের চিত্ত যেন পরাঞ্জাখ না হয় । বিত্তের কিয়দংশ যেন তাক্ষম দরিদ্রদিগকে অসঙ্কুচিত মনে দান করিতে পারি। পরনিন্দ ও পরগ্রানিতে যেন আমাদের জিহর। অগ্রসর না হয় । পরাপকারে বা পরপীডুনে যেন ভ্রমে ও মতি না জন্মে। পাপের প্রলোভনে যেন কদাচ প্রলোভিত ন হই । চিত্তের ও চরিত্রের পরিশুদ্ধিসাধনে যেন আন্তরিক মত্ব করিতে পারি । সকল মনুফের প্রতি মেন ভ্ৰাতৃ ভর সংস্থাপিত হয় । গৰ্ব্ব ও বিদ্বেল বুদ্ধি নেন স্পর্শ করিতে ন পারে । বিনয় ও শিষ্টাচারে যেন কদাচ অামাদের উপেক্ষ না জন্মে । আজ আমাদের ঘটুত্রিংশ সাম্বৎসরিক উৎসব । ছত্রিশ বৎসর পূৰ্ব্বে মাঘমাসের শেষ রবিবারে এই মেদিনীপুরে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের অধিকার-স্তম্ভ নিখাত হইয়াছে। এই দিনটী অত্ৰত্য ব্রাহ্মসম্প্রদায়ের বিশেষ স্মরণীয়, আজ আমাদের বিশেষ উৎসবের দিন । সেই উৎসব সাধনাৰ্থে আমরা সকল ভ্ৰাতায় এখানে সমবেত হইয়াছি । পরব্রহ্মের আরাধনাই ব্রাহ্মদিগের উৎসব ও আনন্দ । যিনি আমাদের ব্রাহ্মধৰ্ম্মের অধিদেবতা, তাহার প্রসন্ন মুখ দর্শন করিতে ও র্তাহার পবিত্র চরণ মস্তকে ধারণ করিতে আমরা আজ এখানে সকলে মিলিত হইয়াছি । আইস,সকলে সরলান্তঃকরণে র্তাহার দ্বারে তত্ত্ববোধিনী পত্রিক היוש 3 של "ג উপনীত হই । তাঁহার জন্য লালায়িত হও, তাহার প্রেমমুখ দেখিতে ব্যাকুল হও, তিনি দেখা দিবেন । বিষয়চিন্ত| বিষয়বাসন হইতে বিরত হইয়া চিত্ত স্থির কর, তাহার মঙ্গল মূৰ্ত্তি ধ্যান কর, তাহার সত্যজ্যোতি তোমার অন্তরে প্রবেশ করিবে । আমাদের মনশ্চক্ষু তাহার শান্তশিবমূৰ্ত্তি দেখিতে পা | ইবে । অন্তরের কুটিলতা ও মলিনতা ত্যাগ করিয়া তাহার শরণ লও, তাহার অভয় মঙ্গলভাব সম্মুখে জাজ্জ্বল্যমান দেখিতে পাইবে । র্তাহার মঙ্গল মূৰ্ত্তি প্রতিভাত হইলে হৃদয়ের মোহান্ধকার দূর হইবে। তাহার কৃপাবরি নিপতিত হইলে হৃদয়জ্বালা নিবারণ হইবে। আইস, আমরা সকলে আজ তাহার নিকট আত্মনিবেদন করি । তাহার নিকট ক্রন্দন করি । নিজ নিজ মানসিক হুঃখ প্রকাশ করিয়া বলি । সবল ভাবে অনুশোচনা করি । ক্ষমা ভিক্ষ করি । ধৰ্ম্মবল প্রার্থনা করি । হে দয়াময় প্রভো ! আমাদের প্রতি কৃপা বিতরণ কর । তুমি আমাদিগকে ধৰ্ম্ম বলে বলীয়ান কর। পতিতপাবন ! আমাদের পাপমলা দূর কর । তোমার চরণ তলে স্থান দেও ! ভ্ৰমান্ধকার ও চিত্তবিকার নাশ কর । আমাদের মনশ্চক্ষু সম্মুখে সত্যের জ্যোতি—জ্ঞানের আলোক প্রকাশ কর। হে চিরজীবনসখা যেন সতত তোমার প্রসন্ন মুখ দেখিতে পাই । হে শান্তিদাতা । তোমার শাস্তিবারি সেচন করিয়া আমাদের প্রতপ্ত চিত্ত শীতল কর। ইহ লোক ও পরলোকে তুমি আমাদের একমাত্র গতি। আমাদের যেন আর কুপ্রবৃত্তি না হয়। তোমার অভয় পদ ভুলিয়া না থাকি। যেন কাঞ্চন ত্যাগ করিয়া কাচে আকৃষ্ট না হই । তুমি আমাদের পাপের শাস্তি বিধান কর । সহস্ৰ দণ্ড দেও। কিন্তু নাথ ! কদাচ চরণ