পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮪ©Ꮼ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা الله s० कब्र, » छॉर्भ - - কেহই জিজ্ঞাসা করেন না,— সকলেই জানেন যে, | ন। প্রত্যক্ষকে যদি প্রমাণ না বল, তবে অনু প্রত্যক্ষই তাহার প্রমাণ ! জিজ্ঞাস; কেবল এই যে, হুক্ষমতম বিষয়, যাহ অবরোহ প্রণালীর ভিত্তি | | | | মুল, তাহা ত প্রত্যক্ষের বিষয় নহে,—তাহার. . | প্রমাণ কি ? ইহার উত্তর এই যে, স্থলের পরা- ; কাষ্ঠী যেমন আমরা জড় বস্তুতে প্রত্যক্ষ করি, স্থক্ষেমর পরাকাষ্ঠ সেইরূপ আমরা বিশুদ্ধ জ্ঞানেতে উপলব্ধি করি। স্থলগুলি প্রত্যক্ষ কর ইন্দ্রিয়স্বারা, সুক্ষমতমটি (বিশুদ্ধ জ্ঞান) উপলব্ধি করি আত্মা দ্বারা । * একদিকে প্রত্যক্ষ প্রমাণ, অপর দিকে আত্মপ্রমাণ ; প্রথমটি স্থল সত্যের প্রমাণ, দ্বিতীয়টি মূল সত্যের প্রমাণ। আমরা যেমন চক্ষুরিদ্রিয় দ্বারা একেবারেই স্থল বস্তুকে প্রত্যক্ষ করি, সেইরূপ আত্মা দ্বারা একেবারেই সুক্ষমতম বস্তুকে উপলব্ধি করি । তাহা যদি না হইত, তবে সুক্ষম হইতে সুক্ষমতর, তাহা হইতেও সুক্ষমতর এইরূপ করিয়া মনকে ক্রমাগতই শ্রান্ত ক্লান্ত বিভ্রস্তু হইতে হইত, আর, কোথাও বিশ্রাম করিতে না পাইয়া অন্ধকার দেখিতে হইত। অন্ধকার দেখে ন যে, তাহার কারণ শুদ্ধ কেবল আত্মার অন্তরতমজ্যোতি-—বিশুদ্ধ জ্ঞান—প্রজ্ঞ । * * এ ধারে প্রভ্যক্ষ, ওধারে প্রজ্ঞ, মধ্যে আরোহ অবরোছ এই দুই প্রণালী। আরোহ প্রণালীর প্রারম্ভে প্রত্যক্ষ-প্রমাণ শিরোধাৰ্য্য করিয়াছি, - অবরোহ-প্রণালীর, প্রারম্ভে বিশুদ্ধ জ্ঞান শিরো- . ভাৰ্য্য করিতেছি । আপনি সপ্রমাণ, বিশুদ্ধ জ্ঞানও সেইরূপ আপনা আপনি সপ্রমাণ । ইন্দ্রিীয়-মনের যোগে প্রত্যক্ষ বিষয়ের উপলব্ধি হয়,—প্রজ্ঞার উপলব্ধি হয়। প্রজ্ঞা হইতে নীচে নাবিতে ছইলে যুক্তি সোপান অবলম্বন করিতে হয়, এবং প্রত্যক্ষ হইতে উপরে উঠিতে হইলে অনুমান-সোপান অবলম্বন করিতে হয়। প্রত্যক্ষ হইতে অনুমান-প্রবাছ উৰ্দ্ধগামী ; প্রজ্ঞ-ছইতে যুক্তি-প্রবাহ নিম্নগামী । প্রত্যক্ষকে প্রমাণ বলিয়া গ্রন্থণ না করিলে আরোহ-প্রণালী সম্ভবে না ; প্রজ্ঞাকে প্রমাণ ৰলিয়া গ্রহণ না করিলে অবরোহ-প্রণালী সত্তবে ASAAAS AAAAAS AAAAA AAAA S AAAAS چیبیسی- بم- سماع - مفحبس

  • &\&Itìtt qIrIt* qt& Pure reason,

م- s۔ سم-سیمه ده ssسہی. مم۔ -wwr প্রত্যক্ষ-বিষয় যেমন তাপন । মানকে প্রমাণ বলিতে পার না ; প্রজ্ঞাকে যদি প্রমাণ না বল, তবে যুক্তিকে প্রমাণ বলিতে পার না । R প্রত্যক্ষ হইতে অনুমানে আরোহণ—ষ্টছাই আরোহ প্রণালী ; প্রজ্ঞা হইতে যুক্তিতে অবরোহণ --ইহাই অবরোহ প্রণালী । প্রত্যক্ষ যদি অসিদ্ধ হয়, তবে অনুমান অসিদ্ধ, আরোহ প্রণালী অসিদ্ধ, বিজ্ঞান-শাস্ত্র অসিদ্ধ । প্রজ্ঞ যদি অসিদ্ধ হয়, তবে যুক্তি অসিদ্ধ, অবরোহ প্রণালী আসিদ্ধ, দর্শনশাস্ত্র অসিদ্ধ। আরোহ-প্রণালীর ভিত্তিমূল যে প্রত্যক্ষ তাহারো আমরা প্রমাণ চাহি না, অবরোহ প্রণালীর ভিত্তি মূল যে প্র ষ্ট্ৰ', তাহারও অমর প্রমাণ চাই না, উভয়কেই আমরা শিরোধাৰ্য্য করিয়া লইয়া জ্ঞান-পথে অগ্র র হই । অমরা ভিত্তিমূলের আর ভিত্তিমূল চাহি না । যদি বল প্রত্যক্ষ যে প্রমাণ তাহার প্রমাণ কি ? প্রজ্ঞ। যে প্রমাণ তাহার প্রমাণ কি ? তবে বল না কেন—প্রমাণ যে প্রমাণ তাহার প্রমাণ কি ? ইহাকেই বলে তাকিকতা । প্রমণ-বিষয়ে এত বাহুল্য করিয়া বলিবার প্রয়োজন কি ? প্রয়োজন এই যে, অনেকে পরের কথা শুনিয়া আপনাকে এবং আপনার মূল পত্তন ভূমিকে একবারেই উড়াইয়া দিয়া থাকেন । লে)কিক প্রবাদ আছে, কাকে কাণ উড়াইয়া লইয়া গিয়াছে শুনিলে লোক বিশেষ বলেন “তাই ত কি হুইবে!” শুনিলেন যে, বৈজ্ঞানিকেরা, আত্মার ভিত্তিমূলকে উড়াইয়া দিয়াছে, অমনি বলেন “তবে W ত তাহ আর নাই ! তবে ত আত্মা নাই! বিশুদ্ধ জ্ঞান তবে ত আর টেকে না ।” কাকে যে কাণ উড়াইয়া লইয়া যায় নাই, বিশুদ্ধ জ্ঞানকে যে কেছ উড়াইয়া দিতে পারে না, এই সহজ বিষয়টি ধ"হার সহজে হৃদয়ঙ্গম না হয়, তাহার প্রজ্ঞ-শূন্য বিজ্ঞতা, তাহার চক্ষুবিহীন হুক্ষদর্শিতা, তাছার শিরোনাস্তি শিরঃপীড়া সহজে আরোগ্য হইবার নছে! সহজ সত্যে ভ্রম পৌঁছিলে তাহার প্রতিবিশ্বান করা সহজ আয়াসের কৰ্ম্ম নছে । বিশুদ্ধ জ্ঞান যে কতদূরপ্রামাণিক, তাই একটু ঘোর কের করিয়া না বলিলে তাছাদের বোধগম্য হুইবে না ।