পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ'হায়ণ ৮০১ প্রজ্ঞ সকল যুক্তিরই প্রমাণ সাধন করে, মুতরাং প্রজ্ঞার প্রমাণ সাধন করিতে পারে এমন যুক্তি সত্তবে না । প্রজ্ঞার প্রমাণিকতা প্রকারাস্তুরে হৃদয়ঙ্গম করিতে হইলে তাহার একমাত্র উপায় এই যে, প্রজ্ঞা হইতে যে সকল যুক্তি দোহন করিয়া পাওয়া যায়, সেইগুলি কতদূর প্রামাণিক তাছাই অবধারণ করা । যুক্তি কাহাকে বলে ? না যোগ করা। প্রজ্ঞাকে বিষয়-বিশেষে যোগ করিবার (নৈয়ায়িক ভাষায় বলিতে হইলে ব্যাপক সত্যকে ব্যাপ্য বিষয়েতে দোগ করিবার) পদ্ধতিকেই যুক্তি কছে । প্রজ্ঞামুলক যুক্ত কিরূপ তাহা নিম্নে প্রদর্শন করিতেছি। সকলেই অবগত আছেন যে, একটা গোল ক হইতে খ-রের দিকে (ক —খ) তাড়িত হইলে, তাছা যদি দ্বিতীয় কোন কিছু দ্বারা চালিত অথবা বাধিত না হয়, তবে তাহ সমান বেগে ক—থ এই সরল রেখায় ধাবিত হইবে। ইহার কারণ কি ? কারণ এই যে, চালক অথবা বাধক বস্তুর অভাবে বেগের হ্রাস-বৃদ্ধি হইতে পারে না; কেন পারে না ? না যেহেতু কারণের অভাবে কাৰ্য্য হইতে পারে না। কারণের অভাবে কাৰ্য্য হইতে পারে না, এই যে একটি কথা, এটি প্রজ্ঞার কথা, বিশুদ্ধ জ্ঞানের কথা; চলম্ভ গোলাটি ঐ প্রজ্ঞা-তত্ত্বটির অন্যথাচরণ করিতে পারে না । কার্য্যতঃ আমরা কোন বস্তুকে অনন্তু কাল নিরবচ্ছিন্ন সমান বেগে চলিতে দেখি নাই দেখিব না। সুতরাং উপরিউক্ত সত্যটির প্রত্যক্ষ প্রমাণ অসম্ভব, প্রজ্ঞা-মুলক যুক্তিই উহার একমাত্র প্রমাণ, তদ্ভিন্ন আর দ্বিতীয় প্রমাণ সম্ভবে না। দ্বিতীয়তঃ প্রজ্ঞা-মুলক যুক্তি দ্বারা ইহাও সমর্থিত ছইতে পারে যে গোলাটি ক হইতে খ-য়ের দিকে তাড়িত হইলে দ্বিতীয় কোন চালক অথবা কোন বাধক বস্তুর অভাবে ক—খ এই সরল রেখাতেই চিলবে, বক্র রেখাতে চলিবে না। যথাঃ– (কSখ) ক এবং খ-য়ের মধ্যে একটি-বই সরল রেখা সম্ভবে না। কিন্তু ও-দুয়ের মধ্যে এই সমতল কাগজে ঐ দুটি (এবং তদ্ভিন্ন অসংখ্যটি) অবিকল সমান বক্ররেখা অঙ্কিত হইতে পারে । ক হইতে খয়ে পৌঁছিতে হইলে গোলাটির পক্ষে দুটি রেখাই ঠিক সমদূর, সমকোণ, সমবক্র, সৰ্ব্বপ্রকা তত্ত্বজ্ঞান কতদর প্রমাণিক | ゞ(t^ রেই সমান ; সুতরাং একটিকে ছাড়িয়া অন্যটিতে যাইবার একেবারেই কারণভাব ; কারণভাবে কাৰ্য্য হইভে পারে না ; সুতরাং গোলাটি বক্ররেখা-দুটির কোনটিতেই চলিতে পারে না ; সুতরাং তাহা সরল রেখাতে চলিবেই চলিবে । দেখ কারণভাবে কাৰ্য্য হয় না, এইমাত্র প্রজ্ঞাবলেই আমরা স্থির-নিশ্চয় করিতে পারিতেছি যে, গোলাটি কথিত অবস্থায় সরল ভিন্ন বক্রপথে কখনই চলিবে না । কমটির মতে পরীক্ষণসাধ্য ভবিষ্যৎবাণী প্রামাণিকতার প্রধান একটি লক্ষণ । প্রজ্ঞার ভবিষ্যৎবাণী পরীক্ষার প্রয়োজন রাখে না, অথচ তাহা কেমন নিশ্চিত উপরে ঐ ত দেখা গেল । একটা গোলা সমান বেগে সরল রেখায় অনন্ত কাল চলিবে, এ ব্যাপারটি পরীক্ষা করিরা দেখিতে গেলে যুগযুগান্তরেও পরীক্ষার শেল হইবে না । এখানে পরীক্ষ থষ্ট পাইতেছে না---ইছ পট দেখা যাইতেছে । “কারণ ব্যঙ্গীত কর্ম্য হইতে পারে ন” শুদ্ধ কেবল এই স্বতঃসিদ্ধ মুল-তত্ত্বের বলে উপ রের ঐ সিদ্ধান্তটি অকাট্য বলিয়া প্রতাযমান হইতেছে । এইরূপ দেখা যাইতেছে যে, প্রজ্ঞা হইতে যুক্তিতে অবতরণ করির যে সকল সভ্য উপজ্জন করা যায়, তাহ প্ৰভ্যক্ষের গোচর হয় হটক, ন হয় না হউক, কোন অবস্থাতেই তাঙ্কণর নিশ্চয় ভা এক বিন্দুও এদিক ওদিক হইতে পারে না । আনুমাণিক-সত্য যত আছে, পরীক্ষাই সৰ্ব্বস্ব। পরীক্ষার সংখ্য মতই বুদ্ধি হয়, পক্ষে ততই ভাল-ততই তাহদের মুল সপের পদ কেহই আমরা দেখি নাই, অথচ আমরা সাহস করিয়া এরূপ বলিতে পারি না যে, সপের পদ কখনই লম্ভবে না । যদি কোন বন্ধুজনের মুখে শুনি যে, অমুক দেশে পদ-বিশিষ্ট সৰ্প দেখা দিয়াছে, তবে এই বলি “আশ্চর্য্য কি, হইলেও ফইতে পারে ৷ ” কিন্তু যদি সেই ব্যক্তির মুখে শুনি যে, অমুক দেশে কারণ-বিহীন কাৰ্য্য দেখা দিয়াছে, তবে আমরা তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্তু করি যে, লোকটির মস্তকে দোষ জম্মিয়াছে। সত্য বটে যে, ভারতবর্ষীয় এত লোকের মধ্যে কেহই আমরা সপের ত{হণদের তাহাদের छूझ झः ।