: SJ কারণ যদি সেই নিঃসম্বন্ধ, নিরপেক্ষ, না থt; কতেন, থাকিতে পারিত না, অথবা থাকিলেও আমাদিগের চিন্তনীয় হইত না; যেহেতু, সম্বন্ধবিশিষ্টের ভাব শুধু নিঃসম্বন্ধের বিপরীত বলিযাই চিন্তনীয় ; c. the related can be grasped hy thought ou!y as opposed to the unrelated ) চিন্তা দ্বিত্ববাহিনী ; সম্বন্ধ বিশিষ্ট এক, সুতরংি নিঃসম্বন্ধ ব্যতীত সম্বন্ধবিশিষ্টের চিন্ত৷ অসম্ভব। যদি নিঃসম্বন্ধের অস্তিত্ব অস্বীকার কর, তবে সম্বন্ধবিশিষ্ট বিষয়ই একাকিত্ব নিবন্ধন নিঃসম্বন্ধ হইয়া দাঁড়ায় ; সুতরাং চিন্তার সীম৷ অতিক্রম করে, কেননা চিন্ত৷ নিত্য-সম্বন্ধ-নিৰ্দ্ধারিণী বলিয়; নিঃসম্বন্ধ-চিস্তনে অক্ষম । অতএব নিঃসম্বন্ধের তাস্তিত্ব মানিতে হইবে । কিন্তু এই সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়া স্পেনসর কি লাভ করিলেন ? আমরা বলি, কিছুই না । মানিলাম, নিঃসম্বন্ধকে দূরে রাখিয়া আমরা সম্বন্ধবিশিষ্টের চিন্ত করিতে পারি না । কিন্তু সম্বন্ধবিশিষ্টের চিন্তা করিতে হইলেই যদি নিঃসম্বন্ধের ভাব মনে স্থান দিতে হয়, তবে তাহার নিঃসম্বন্ধত্ব রহিল কোথায় ? তবে ত তিনি সম্বন্ধবিশিষ্ট হইলেন, তবেত তিনি চিন্তনীয়, সুতরাং জ্ঞেয় হুইলেন । কেননা যে বিষয়ে জ্ঞান অসম্ভব, সে বিষয়ে তাহার তাম্বেষণ-প্রবৃত্তি ও অসম্ভব । চিন্তা ও জ্ঞানীম্বেষণ প্রবৃত্তি অভিন্ন, সুতরাং যেবিষয়ে জ্ঞান অসম্ভব, সেবিষয়ে চিন্তাও অসম্ভব । অতএব যিনি চিন্তনীয়, তিনি জ্ঞেয় । স্পেনসরের যুক্তি অবলম্বন করিয়াই আমরা দেখাইয়াছি যে ঈশ্বর চিন্তনীয়, এখন দেখাইলাম, মিনি চিন্তনীয় তিনি জ্ঞেয়, সুতরাং সিদ্ধ হইল যে ঈশ্বর জ্ঞেয় । এইক্ষণ আমরা ক্রমে স্পেন্সরের পূৰ্ব্বোক্ত অপর যুক্তি গুলির পরীক্ষা করিব । আমরা তত্ত্ববোধিনী পত্রিক। সম্বন্ধ-বিশি স্ট কোন किछूझे ১• কল্প, ১ ভাগ দেখিতে পাইতেছি যে এই বহুবাগাড়ম্বর পূর্ণ অজ্ঞতাবাদের অর্থ এই মাত্রঃ—আমরা ঈশ্বরকে সৰ্ব্বসম্বন্ধবিবর্জিত রূপে জানিতে পারি না; তাছার বিশ্বের সহিত, আমাদিগের সহিত, তাহার যে সম্বন্ধ, তাহা পরিতা গ করিয়া আমরা তা হার চিন্তা করিতে পারি না। না পারিলাম, ক্ষতি কি ? কে বলিল যে তাহাকে সর্বসম্বন্ধবিরহিত মনে করিতে হইবে ?-—যিনি সৰ্ব্ব সম্বন্ধের প্রস্রবণ, যাহ। স্পেন্সর ইতি পূর্বেই স্বীকার করিয়াছেনতাহাকে কেন নিঃসম্বন্ধ মনে করিপ ? স্পে ন্সর বলেন, “যদি ঈশ্বর মান, তবে তাহাকে নিরবলম্ব (Absolut") স্বীকার করিতে হুইবে ।” অমর একথা মানিলাম । কিন্তু তিনি নিরবলম্ব (Absolut() শব্দের যে অর্থ করিয়া ছেন, তাহা আমরা মানিব না । তাহার মতে যিনি নিরবলম্ব, তিনি সম্বন্ধবিশিষ্ট হইতে পারেন না । আমরা বলি, ঈশ্বরের নিরবলম্বত্ব অথবা একাকিত্ব শক্তিগত (Potential), অর্থাৎ তিনি ইচ্ছা করিলে নিঃসম্বন্ধরূপে, স্বষ্টি না করিয়া, থাকিতে পারেন; সুতরাং স্থষ্টি করিলে তাহার শক্তিগত নিঃসম্বন্ধত্বের কোন বিকার হয় না । আমি ইচ্ছা করিলে এই মুহূর্তে সেক্সপিয়র পড়িতে পারি, ইচ্ছা করিলে না পড়িয়া শুইয়া থকিতে পারি ; যদি সেক্সপিয়র না পড়িয়া আমি শয়ন করি, তবে কি তুমি এই সিদ্ধান্ত করিবে যে আমার সেক্সপিয়র পাঠের ক্ষমতা নাই ? ঈশ্বর ও তদ্রুপ ইচ্ছা করিলে নিরবলম্ব ভাবে,স্থষ্টি না করিয়া,থাকিতে পারেন; ইচ্ছা করেন বলিয়। সাবলম্ব ভাবে-স্থাষ্ট্র করিয়া – বিরাজ করিতেছেন । র্তাহার অনস্তত্ব সম্বন্ধেও এই কথা। স্পেনসর বলিয়াছেন, ঘিনি অনন্ত সমস্তই তাহা হইতে অবিচু্যত । স্থষ্টি করিলে যখন নূতন একটা দৃশ্যমান জন্মগ্রহণ করিল,তখন ত সমস্তই—ঐ সমস্ত যাহা
