পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র 》b"も。 শরীর ব্যথিত ছয় ৷ ” এই কথাটি অতি যথার্থ। বর্তমান সময়ে জাতির প্রতি জাछिन् সঙ্গলুভূতি ক্রমশঃ বৰ্দ্ধিত হষ্টতেছে ইহা অতান্ত শুভ চিহ্ন বলিতে হইবে । এক্ষণে এক জাতির দুঃখের ও বিপদের সময অন্য জাতি সাহায্য ও আনুকুলা করিয়৷ থাকেন। ভারতবর্ষে দুর্ভিক্ষ ঘটিলে কিম্বা জলপ্লাবন হইলে ইংলণ্ড ও আয়রলেও প্রভূতি দেশীয় লোকের ঐ সকল দৈব ঘটনা হষ্টতে ক্ষতি গ্রস্ত লোকদিগকে বিশেষ সাহাস্য করিতেছেন, আবার ভাস্করলেও কিম্বা ষ্ট লণ্ডে ঐ সকল লিপদ ও দুর্ঘটনা ঘটিলে তত্ত্বজ্ঞান কতদর প্রামাণিক তাহ! সেই প্রজ্ঞার ভারতবর্মবাসীর। ঐ সকল দৈবঘটনা হইতে । ক্ষতি ও বিপদগ্ৰস্ত লোকদিগের দুঃখ মোচমার্থ লিশের সাহায্য করিতে ক্রটি করিতে তান্য কোন জাতির মধ্যে কোন অত্য চাব ঘটিলে কিম্বা তাহাদিগের কষ্ট ও দুঃখের কথ। শুনিলে তামিল ব্যপিত হইয়া থাকি এসং ততোদিগের উপকার সাধনে প্রবৃক্ত হট । এই রূপ জাতির প্রতি জাতির সহানুভূতি এবং পরস্পর আনুকুলা ও সহাস প্রদান যতই বুদ্ধি পাইবে ততই মানব জাতির মধ্যে ভ্রাতৃভাব ক্রমশঃ বদ্ধমূল হইয়। জগতের অশেষ কল্যাণ সাধন করিবে । fছ ন ন । \ ক্রমশঃ তত্ত্বজ্ঞান কতদূর প্রমাণিক। ৪৩৬ সংখ্যার ১৫৮ পৃষ্ঠার পর । এস্থলে এইটি যেন মনে থাকে যে, যদিও প্রজ্ঞার মূলতত্ত্ব-গুলিকে দেশকালে প্রয়োগ করিয়া দেখিলে সহজেই তাহার ( প্রজ্ঞার ) প্রামাণিকত্ব আমাদের হৃদয়ঙ্গম হয়, তথাপি প্রজ্ঞার প্রকৃত প্রমাণ যুক্তি হইতে পাওয়া যায় না—স্বতঃসিদ্ধতাই প্রজ্ঞার প্রকৃত প্রমাণ । দীপ-শিখা যেমন আপনাকে প্রকাশ করে, এবং তাছার কিরণ প্রবাহ যেমন অন্যকে প্রকাশ করে, প্রজ্ঞা সেই রূপ গোড়ায় আপনাকে প্রমাণ করে, এবং তাছার যুক্তি 2.ペン(r প্রবাহ বিষয়াস্তুর প্রমাণ করে । দীপের কিরণই দীপশিখাকে অপেক্ষা করে, যুক্তিই প্রজ্ঞাকে অপেক্ষ করে । প্রজ্ঞা প্রামাণিক বলিয়াই যুক্তি প্রামাণিক, ইহার উল্ট সম্ভবে না। বিশেষ একটি অভিব্যক্তি অথবা প্রত্যক্ষ ঘটনার উপরে প্রজ্ঞার প্রয়োগ যাছা উপরে প্রদর্শিত হইয়াছে, প্রয়োগ, যে-প্রজ্ঞার নিকট পৃথিলীও ষ, সৌরজগৎও তাই, সৌরজগৎও য। মাক্ষত্রিক জগৎও তাই, আতাফলও যা, লোক ভুলোকও তাই। অতএব প্রজ্ঞ সৰ্ব্বাপেক্ষা সুক্ষনতম ব্যাপকতম এবং বলবত্তম প্রমাণ । পূৰ্ব্বে আমরা দেখিয়াছি যে, আরোঙ্কপ্রণালী অনুসরণ করিয়া স্বক্ষম হইভে সুক্ষম ভর ততোধিক সূক্ষমতর, এরূপ করিম চলিলে, যে জন্য চলা, তাছা সফল হয় না, ধ্রুব সত্যে পৌছান মায় না, সুক্ষমতমে পছনে যায না । আরোহ-প্রণালী যেখানেই থামে সেইখনেই “এ নয় ইছ অপেক্ষ ও সুক্ষমতর” এই কথাটি স্পষ্টাক্ষরে দেখিতে পায় । মূল সত্য সম্বন্ধে আরোহ প্রণালী “ইহা নছে ইক্ষা মহে“ ইহঃই ক্রমাগত বলিতে থাকে । ইছ; যদি নহে তবে কি ?—আরোধ প্রণালীর মুখে অণর কথা নাই । প্রজ্ঞ। আপনার জ্যোক্তিতে আপনি প্রকাশ,-- প্রজ্ঞ বলেন “আমিই সুক্ষমতম সাৰ্ব্বভৌমিক সাৰ্ব্বকালিক মূলসত্য যাহা তুমি চাহি৩েছ। আম! দ্বারাই সমস্তের সহিত প্রত্যেকের, পূর্বের সহিত পশ্চাঙের অনাদি নিয়মের সহিত অনন্তু ঘটনার যোগ রক্ষিত হইতেছে । আমিই সেই সুহ্মমতম BKKKS BDS KSBBSBB BBB BB BBS কালের গ্রস্থিতে গ্রন্থিতে অনুপ্রবিষ্ট রছিয়াছে।" প্রজ্ঞ এক জনের আত্মাতে নহে, কিন্তু প্রতি জনের আত্মাতে অনুপ্রবিষ্ট রছিয়াছে। আমরা প্রতিজনে যেমন একই স্বৰ্য বাহিরে অবলোকন করি, সেইরূপ প্রতিজনে একই প্রজ্ঞা অন্তরে উপলব্ধি করি । চক্ষু যেমন কৰ্ণ হইতে ভিন্ন, এক জীবাত্মা তেমনি অন্য জীবাত্মা হইতে ভিন্ন । আবার, যে মন চক্ষুর অভ্যন্তরে থাকিয়া দেখিতেছে, সেই মনই কণের অভ্যন্তরে থাকিয়া শুনিতেছে, এ যেমন, তেমনি যে প্রজ্ঞা এক জীবাত্মার অভ্যস্তুরে থাকিয় ধ্রুব সত্য প্রকাশ করিতেছে, সেই প্রজ্ঞা অন্য জীবাত্মার অভ্যস্তরে থাকিয়৷ ধ্রুব সত্য প্রকাশ করিতেছে । চক্ষেতে কৰ্ণেতে প্রভেদ আছে কিন্তু চক্ষের ভিতরকার মনেতে (দ্রষ্টাতে) আর কর্ণের ভিতরকার মনেভে (শ্রোতাতে) কিছুমাত্র প্রভেদ নাই । সেই রূপ আমাতে তোমাতে প্রভেদ আছে সত্য কিন্তু আমার ভিত্তরকার প্রজ্ঞাতে আর তোমার ভিতরকার প্রজ্ঞাতে