N) নাবিকগণকে নূতন মৃতন আশ্রয় ও অবলম্বন প্রদান করিয়াছে; যোদ্ধাদিগকে নব নব অস্ত্র শস্ত্র আহরণ করিয়া দিয়াছে । সুরলোক হইতে অশনি অবতারণ করিয়া ইহা নির্বিঘ্নে ধবতনে সংরক্ষণ কপিয়াছে , ইহা দিব|লোক দ্বারা রাত্রিকে আলোকিত করিয়াছে; মানবদৃষ্টিকে দূরপ্রসারিত করিয়াছে ; এবং তাঙ্কদের বাহুবল বুদ্ধি করিয়াছে । ইহ'র দ্বারা গতির বেগ ত্বরিত হইয়াছে, দূরত্ব সংকোচিত হইয়াছে । ইতাদি অশেষবিধ উপকার সাধন করিয়া বেকনের দর্শন মানবগণকে সুখ ও সুবিধাপূর্ণ বৰ্ত্তমান সভ্যতায় উন্নমিত করিয়াছে।” স্বীকার করি,—কিন্তু জিজ্ঞাস করি বেকন-দর্শন তত্ত্ববোধিনী পত্রিক প্রাগুক্ত নশ্বর পার্থিব স্তু প ও সুবিধা বিস্তীর করিয়া অমর মানব আত্মীর কি উপকার উন্নতি সাধন করিয়াছে ? লক্ষ্য উদ্ধ দিকে ন! আপেদিকে ? 5 。
তেল বেকনের উদেশ্য ছিল ল । মনুষ্যকে সুখে সচ্ছন্দে বিনম্র উদেশ্য ছিল ৷ ” বেকনের এ স্কীর্ণ উদ্দেশ্য সিদ্ধও বৰম লৈ ইউরোপীয় সমাজে লোকের সুখ সচ মদতার দিকে দৃষ্টি স্বেরূপ সাগ্রত, প্রকৃত মলুযত্বের দিকে ধর্মের দিকে সে রূপ নহে । তিনি ধৰ্ম্মকে মানব লক্ষ্যের প্রধান বলিয়। উপদেশ না দিয়া সুখ }. কই প্রাধান্য প্রদান করিয়াছেন ::: যন্তে ধৰ্ম্ম স্তখের সাধন মাত্র ; রুখই মূল । সমাজ এরূপ মূল সূত্রে সংরচিত, যে সমাজে বেকনের এই মারাত্মক মত সকল অব্যক্ত বা ব্যক্তভাবে সবিশেষ সমাদৃত সে সমাজের লোকের আধ্যাত্মিক জ্ঞানের প্রতি অশ্রদ্ধ দর্শন করিলে সেই সমাজ ও সমাজরচয়িতার প্রতি দোষারোপ করা উচিত হয়। o -: झु{{क्ल ! ○ ○さ সচছনদ তা 瓦 क५ বা ' বেকন দর্শনের । זי?ס ג, א ס "כ . মনুষ্য সমাজের অনুগত, অভ্যাদের দাস । অতএব ইউরোপে যে প্রামাণিক দর্শনের প্রতি অত্যধিক তাদর হইবে এবং প্রামাণিকেরা যে অতীন্দ্রির সত্য সকলের প্রতি অশ্রদ্ধ প্রদর্শন করিলে তাহাতে আশ্চর্য্যের কি আছে ! সুখ সচ্ছন্দতার জন্য তাহীদের চিত্ত বৃত্তিসকল ভৌতিক জগতেই নিবন্ধ । অধ্যাত্মিক জগত সম্বন্ধে তাহীদের মনের অতিগ শক্তি এঞ্চে বারে আসাঢ় হইয়া গিয়াছে বলিলেও অত্যুক্তি ছয় ম৷ ৷ তবে যে ইউরোপীয় সমাজে দুই এক জন ধৰ্ম্মবুদ্ধি মহাপুরুষের আবির্ভাব মধ্যে মধ্যে দৃষ্ট হয় তদ্বারা অতীন্দ্রিয় অধ্যাত্মিক সত্যের দুৰ্জ্জয় উদগমমশীল আত্মার উপর বেকন-দর্শন স্বীয় পার্থিব প্রভাব সম্পূর্ণ _ --- ני-צל রূপে বিস্তর করিতে পারে না, ইছাই প্র বলই প্রমাণিত হয় । মাণিত হয় | আমাদের বিবেচনায় যত দিন ইউরোপে বেকন-দর্শনের প্রভাব অক্ষুণ্ণ মেকলে বলেন “ মনুস্যকে -পূর্ণ করিয়া বিসয় । রচিপে মত দিন তথা সুখের জন্য ভৌতিক জগতেরই সমাদর থাকিবে, ধৰ্ম্মের মূল তত তব !চত রূপে প্রসারিত হই:ে সত্য সকল ও で5 حیهای ۶ میسএবং অতীন্দিয় যাহা হউক, ইউরোপীয় সমাজে অধ্যাতত্ত্বের প্রতি লোকের অশ্ৰদ্ধ; দেখিয়া তামরাও যেন সে রূপ অশ্রদ্ধ করিতে শিক্ষা না করি । আমাদের এই ভারতবর্ষ সত্য সনাতন ধর্মের অাকরস্থান । ভারতবর্ষে যেম ধৰ্ম্মের অবমাননা না হয় । এখানে ইউরোপীয় অনুকরণে ভৌতিক তত্ত্ব সকল বিশদ রূপে সমালোচিত হয়, ইহা প্রার্থনীয় বটে । কিন্তু অধ্যাত্মিক তত্ত্বের প্রতি যেন আমাদের অভক্তি না জন্মে। ভৌতিক তত্ত্ব সকল যেমন প্রামাণিক, আধ্যাত্মিক মূল তত্ত্ব সকল তেমনি প্রামাণিক । আধ্যাত্মিক মূলতত্ত্ব সকল যেমন আমরা আত্মপ্রত্যয় সুক
