পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ぐるぐり শূন্যের জন্য কেহ কি কখন ত্যাগম্বীকার করিতে পারে ? অকারণ কেহ কি কখন ইন্দ্রিয়-সুখ বিষয়-সুখে জলাঞ্জলি দিতে সমর্থ হয় " কেবল কল্পনা প্রভাবে উত্তেজিত হইয়। মনুষ্য কি কখন কঠোর তপস্যায়-নিষ্কাম ও নিঃস্বtথ ধৰ্ম্ম সাধনে প্রবৃত্ত হইতে পারে ? ব্রহ্মানন্দের আস্বাদ প্রাপ্ত ন হইলে কি কেহ কখন এরূপ বাক্য উচ্চা রণ করিতে পারে যে “যং লব্ধ চাপরং লাভং মন্যতে নাধিকং ততঃ । ” তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ०० कब्र, * छाँगं না | শিক্ষা-সাধন ও তপস্যার কোন প্রয়েtজনই হইত না । পৃথিবীতে বেদ বেদান্ত প্রভৃতি ধৰ্ম্ম শাস্ত্রের নাম-মাত্রও শ্রত হওয়া মাইত না। নিতান্ত বাতুল একান্ত মদগৰ্ব্বিত না হইলে আর কাহারও মুখ হইতে এপ্রকার প্রশ্ন নির্গত হয় না । তাছার এই প্রশ্নের উত্তর কি ? “তপসা ব্ৰহ্ম বিজিজ্ঞাসস্ব । ব্রহ্মবিদাপ্নোতি পরং” ‘একাগ্ৰ-চিত্ত হইয়া ব্রহ্মকে জানিতে ইচ্ছ। কর, ব্রহ্মজ্ঞানী ব্রহ্মকে প্রাপ্ত হয়েন।” শাস্ত অনেকেরই নিকটে এরূপ বাক্য শ্রত ' হওয়া যায় যে অরূপী অতীন্দ্রিয় ঈশ্বরকে : কেমন করিয়া প্রতাক্ষ কর, তাহা যদি এখনই বুঝাইয়া দিতে পার, তাহ হইলে তাহার উপাসনায় প্রবৃত্ত হই । কিন্তু যদি কোন নিরক্ষর ব্যক্তি কোন জ্যোতিবেৰ্ত্তা, ভূতত্ত্ববেত্ত ব! রসায়ণবেত্ত। কোন গণিত শাস্ত্রবিদ পণ্ডিতকে সেীর-জগং, বা ভূগর্ভু তথবা রসায়ণ ও - গণিত-শস্ত্র সম্বोश কোন শিক্ষা ও পরীক্ষা-সাপেক্ষ গৃঢ় তত্ত্ব মুহুর্তের মধ্যে প্রত্যক্ষ জানিবার জন্য প্রশ্ন করেন, তাঁহা হইলে, তাহার। তাহাকে কি ললিবেন ? সে অধ্যয়ন সোপান-পরম্পরায় শিক্ষিত হু ও,তাহা হইলে তুমি তোমার জিজ্ঞাসিত বিময় বিশদ রূপে বুঝিতে পারিনে। নতুবা বহু কালের বহু শিক্ষার ফল যদি এক নিমেষের মধ্যে বুঝীইয়া দেওয়া যায়, তাহা হইলে তে আর পুথিবীতে কেহ অবিদ্বান প; খ থাকিস্ত না । তেমনি ত্ৰতহীন স্বেচ্ছাচারী ব্যক্তিকে যদি সকল বিদ্যার সার, সকল শাস্ত্রের নিগঢ়তন্তু, সকল ধৰ্ম্মের প্রধান লক্ষ্য, সকল শিক্ষা সাধনের শেষ পুরস্কার যে ব্রহ্মসাক্ষাৎকার তাহা যদি একটি বাক্যে, এক মুহুর্তে বুঝা おーな কল! p ジ ইয়া দেওয়া যাচত, তাছা হইলে তো । দাস্ত উপরত তিতিক্ষু সমাহিত হইয়। ব্রহ্মদর্শনে যত্নশীল হও, দর্শন শ্রবণ, মনননিদিধ্যাসন দ্বারা ঈশ্বরের সত্ত্ব স্বরূপে নিঃসংশয় হইয় তাহার সাক্ষা ইকার লাভের উপযুক্ত হও, সৰ্ব্বত্র উহাকে সাক্ষাৎ প্রত্যক্ষ দেখিবে । “ব্রহ্মশ্রোতঃ ব্রহ্মমন্ত ব্রহ্মান্বেষণমানস: | যতাত্মা দৃঢ়বুদ্ধিঃস্যাৎ সাক্ষা বক্ষেতি ভাবয়ন ।” ব্রহ্মশ্রোত। ব্রহ্মমন্ত ব্ৰহ্মান্বেষণ-তৎপর দৃঢ়বুদ্ধি সংযত আত্মা সাধকই ব্রহ্মকে অস্তরে বাহিরে, দূরে নিকটে সর্বত্রই প্রত্যক্ষ উপলব্ধি করেন । ঈশ্বর, জড় কি জীব বা অপর কোন ভৌতিক পদার্থ সদৃশ নহেন, যে, অঙ্গলি নির্দেশ দ্বারা কেহ তাহাকে দেখাইয়া দিবে এবং চৰ্ম্ম-চক্ষুতে লোকে তাহাকে সন্দর্শন করিবে । । “তদেব নিত্যং জ্ঞানমনস্তং শিবং স্বতন্ত্রং নিরপর ব মেকমেবাদ্বিতীয়ং সৰ্ব্বব্যাপি সর্বনিয়ন্ত সৰ্ব্বা এয় সৰ্ব্ববিৎ সর্বশক্তিমদ এবং পূর্ণমপ্রতিমমিতি।” সেই অপ্রতিম পূর্ণ পুরুষ চক্ষুর গম্য নহেন, বাক্যের গম্য নহেন এবং মনের ও

  • ांगा नtश्न,

“अनाgारा उचेिलिंड लtथंt ठोतिर्लिंडांप्तथि ।* তিনি বিদিত কি অবিদিত তাবৎ বস্তু ধর্মের গুরুত্ব এবং ঈশ্বরের মহত্ত্ব থাকিত হইতে ভিন্ন। জ্ঞানশুদ্ধি দ্বারা শুদ্ধসত্ত্ব