পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

لا وعاد إs)ةtiع ব্যক্তি ধ্যানযুক্ত হইয়া সেই নিরবয়ব ব্রহ্মকে দর্শন করেন । *

  • জ্ঞানপ্রসাদেন বিশুদ্ধসত্ত্বস্ততস্তু তং পশ্যতে নিষ্কলং

थTग्नभांन: যদি তাহাকে দর্শন করিবার ইচ্ছা থাকে, ইন্দ্রিয়নিগ্রহ ও চরিত্র শোধন করিয়া শুদ্ধসত্ত্ব পবিত্র হও । জ্ঞানকে উজ্জ্বল কর, প্রীতিকে প্রশস্ত কর, মঙ্গল ভাবকে উদীপ্ত কর । অপ্রমত্ত ভাবে চাতকের ন্যtয় কাযমনোবাক্যে প্রার্থনা কর “অবিরাবীন্মএfধ” “হে স্বপ্রকাশ ! আমার নিকট প্রকাশিত छू 8 ।” “নাযমায় প্রবচনেন লভোনি মেধয়া ন বছন। শ্রীতেন । যমেবৈবরণুতে তেন লভ্যস্তস্যৈয আত্মা রণতে তনুং স্বাম ।’ অনেক উত্তম বচন দ্বার, বা মেধা দ্বারা : পর কাল | নিদিষ্ট কাৰ্য্য। | করা যায় না ; যে সাধক তাহীকে প্রার্থন করে, সেই তাহাকে লাভ করে । এরূপ সাধকের সন্নিধানে আত্মি-স্বরূপ প্রকাশ পরমাত্মা | করেন । এই আশাপূর্ণ বেদ-বাক্যের প্রতি । নির্ভর করিয়া আইস আমরা সকলে তাহার প্রার্থী হই । আমরা ও প্রার্থনা করি, “আবীরাধীর্ঘএধি ।” হে স্বপ্রকাশ ! আমারদের নিকট প্রকাশিত হও । ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং । পরকাল । ( ৪৩১ সংখ্যক পত্রিকার ৫৬ পৃষ্ঠার পর । ) ধৰ্ম্মভাব সকল অন্যদীয় শিক্ষা-সাপেক্ষ নহে । প্রথমতঃ উহার স্বতঃই আমাদের মনে উদয় হয়। পরম কারুণিক পরমেশ্বর যদি অগ্র হইতে ধৰ্ম্মের বীজ আমাদের হৃদয়ে রোপণ করিয়া না রাখিতেন, তাহ ৩৭ উপদেশ দ্বারাও এই পবিত্র ভাব আমাদের মনোমধ্যে লব্ধপ্রবেশ হইতে পারিত না । শোভানুভাবকতা শক্তি না থাকিলে আমরা যেমন পরকীয় উপদেশ দ্বারা সৌন্দর্ঘ্যের ভাব কখনই হৃদয়ঙ্গম করিতে পরিতাম ন, ধৰ্ম্ম বিষয়ে ও সেই রূপ । উছার বীজ স্বয়ং ঈশ্বরের হস্ত দ্বারা আমাদের হৃদয়ক্ষেত্রে রোপিত হইয়াছে। ধৰ্ম্মোপদেষ্টার আমাদের মনের সেই সভাবিক ধৰ্ম্মবীজকে তাঙ্ক দ্বিত, পোষিত, উন্নত করিতে পারেন বটে, তাহারা তাহতে নূতন কিছু মূলভাব সংযোগ করিয়; দিতে পারেন না । বস্তৃতঃ আদিম ধৰ্ম্মভাব সকলকে প্রদীপিত ও শুনিয়মিত রাখাই উপদেষ্টাদিগের প্রকৃতিতাহারা যত দিন এই নি ভাব সন্নিবেশিত না করেন, তত দিনই তাহদের দ্বারা জনসমাজের বিশেষ উপকার সাধিত হইবার সম্ভাবন থাকে । কিন্তু পূর্বের উল্লেখ করা হইয়াছে, আমাদের অসৌভাগ্যক্রমে আদিম ত্যাচর্য্যগণ স্বভাবজ ধৰ্ম্ম ভাবের উপর কল্পনা-প্রসূত এত অলীক ভাব সকল সমবেত করিতে লাগিলেন যে, ঐ কোমল মূলভাব একেবারে চাপা পড়িয়া গেল ; অনুশিষ্টদিগের স্বাধীন বিবেক, কল্পিত কঠোর ধৰ্ম্ম-শাসনে নিজিত হইয়। তাঁহা } হইলে সহস্র শিক্ষাতেও মুদীর্ঘ কালের । দিগকে পশুতুল্য করিয়া ফেলিল ; ধৰ্ম্মের নামে কত নৃশংস, কত ঘণিত দুষ্কাৰ্য্য সকল অনুষ্ঠিত হইতে লাগিল; কত নরাধম পাপমতি ধৰ্ম্ম-পরিচ্ছদ পরিধান করিয়া, সমাজের ধৰ্ম্ম-রক্ষা-ব্যপদেশে, অত্বাচ্চ সামাজিক আসন অধিকার করিল, এবং স্বৰ্গীয় ধৰ্ম্মকে তাহাদের অতি জঘন্য নিকৃষ্ট প্রবৃত্তি সকল চরিতার্থের উপায় রূপে পরিণত করিয়া