পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

این بار আখ্যা প্রদান করি, সেই রূপ পারসীকের ঐ প্রকার ব্যক্তিকে দেব আখ্যা প্রদান করে । আবেস্তার এই অধ্যায়ে এক স্থলে আছে “যে ব্যক্তি অসৎপথাবলম্বী, পাপী ও দুরাচারী, সেই দেব। ” ক্রমশঃ পরকাল । ( ৪৩২ সংখ্যক পত্রিকার ৭৩ পৃষ্ঠার পর ) ঈশ্বরের লক্ষণ-মূলক যুক্তিই পরকাল সম্বন্ধে শ্রেষ্ঠতম যুক্তি । “ঈশ্বরের গৃঢ় মঙ্গল স্বরূপে বিশ্বাস থাকিলে তাহার সঙ্গে সঙ্গে পরকালে বিশ্বাস থাকিবেই থাকিবে । ঈশ্বর-পরায়ণ-চিত্ত পরকালের অন্যান্য প্রমাণ-সিদ্ধ যুক্তি অপেক্ষ এই ঈশ্বর-লক্ষণমূলক যুক্তির প্রতি অধিক নির্ভর করেন । ” র্তাহারা বলেন “আমরা ঈশ্বরের আশ্রয়ে চিরকাল থাকিব, এই দৃঢ় বিশ্বাস অপেক্ষ পরকালের দৃঢ়তর প্রমাণ আর কিছুই নাই।” আমরা ইতি পূর্বে ঈশ্বরের মঙ্গল স্বরূপ নিঃসংশয়ে প্রতিপন্ন করিয়াছি, এই মঙ্গল স্বরূপকে অবলম্বন করিয়া পরকাল স্থাপন তত্ত্ববোধিনী পত্রিক। করিবার অধিকার এক্ষণে আমাদের সম্পূর্ণ। রূপ জন্মিয়াছে। কিন্তু আমরা সংশয়ী ভায়াদিগের সহিত প্রথমে তাছাদের নিজ কোটেই (কোটে দুর্গে) সাক্ষাৎ করিতে ইচ্ছা করি, অতএব আমরা প্রথমতঃ দার্শনিক প্রণালী অবলম্বন পূর্বক মনুষ্যের মানসিক প্রকৃতি পৰ্য্যালোচনা করিয়া পরকালিক মত স্থাপনের চেষ্টা করিব ; তাহার মানস ক্ষেত্রেই পারলৌকিক বিশ্বাসের মূল অন্বেষণ করিব । প্রত্যুত পরকালে বিশ্বাসের মূল অন্বেষণ s० कब्र, * छांगं মূল প্রাপ্ত হই। পরকালের ভাব কোন রূপ আগন্তুক ভাব নহে । আমরা আমাদিগের মনকে ব্যবচ্ছেদ করিলে দেখিতে পাই, তাহার অধস্তলে প্রবল জিজীবিষা ও অনন্ত উন্নতি বা পূর্ণত্ব-লিপ বিদ্যমান রহিয়াছে । এই দুই মনস্কাম আমাদের পরকালে বিশ্বাসের প্রধান প্রবর্তক । পরে পরে নানা প্রকার ভাব যুটিয়া আমাদের এই বিশ্বাসের পোষকতা করিয়াছে । জিজীবিষ । মরিতে না হয়, চিরকাল জীবিত থাকি, ইহা সকলেরই আন্তরিক ইচ্ছা । এ ইচ্ছা স্বাভাবিক। জীবনের প্রতি অনুরাগের জন্য অন্যের উপদেশের প্রয়োজন হয় না, যুক্তিরও আবশ্যকতা নাই । কিন্তু মনুষ্য যে জীবিত থাকিবার জন্য এত আগ্রহাতিশয্য প্রকাশ করে, সে কি এই অধম লোকের জন্য ১ চির জীবি হইয়া এই অধোলোকে বাস করিবে এই কি তাহার আন্তরিক প্রার্থনা ? কখনই না । বরং মনুষ্যের প্রায় সৰ্ব্বদাই ঐহিক বিষয়ে অতিশয় ঘৃণা ও বিরাগ বোধ করে, এ জীবনকে ভার জ্ঞান করে। এখানে থা কিয়। তৃপ্তি লাভ করা দূরে থাকুক, তাহার। সদাই তাপিত, ক্লিষ্ট ও পীড়িত । আমরা যত কেন ঐহিক ব্যাপারে ব্যাপৃত থাকি না, বাহ্য ভাব ভঙ্গিতে যত কেন হর্ষ-লক্ষণ প্রদশন করি না, আমাদের অন্তর কিন্তু মর্ত্য কোন পদার্থেই মনস্তাপ নিরাশ ক্লেশ যন্ত্রণ ব্যতীত তৃপ্তি-সুখ লাভ করিতে পারে না । এখানে অবিমিশ্র সুখের সম্পূর্ণ অভাব এবং অমঙ্গলের নিরতিশয় প্রাদুর্ভাব। এখানে “আমাদের মধুরতম সঙ্গীত তাহা, যাহা বিষদভাবে স্নানীভূত ৷ ” এবং এখানে আমরা যে কয়েক দিন জীবিত থাকি, অস্থখেই থাকি । “বৃহৎ তিমি মৎস্য তড়াগে করিয়া আমরা আমাদিগের মনেতেই সেই । রাখিলে, কিম্বা যুদ্ধ ঘোষে উল্লসিতব্য তেজঃ