পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*ఫెప్పి একেবারে সন্দেহের অতীত নহে; তাহ। স্বতঃসিদ্ধ নহে। কিন্তু আমাদের স্বতঃসিদ্ধ জ্ঞানের সমষ্টি এত সংকীর্ণ যে, কেবল তন্মাত্র দ্বারা আমাদের জীবন-যাত্রা নিৰ্বাহ হওয়া দুস্কর ৷ বৰ্ত্তমান অবস্থাতে আমাদিগকে প্রধানতঃ অর্জিত জ্ঞানের উপর নির্ভর করিতে হয় । বিশেষতঃ যুক্তি ও অর্জিত জ্ঞানের প্রতিপাল্য হইয়াই আধুনিক বিজ্ঞান শাস্ত্র সকল দিন দিন পুষ্টকায় হইতেছে । তবে পরকাল সম্বন্ধে যুক্তির সিদ্ধান্ত আদরণীয় ন হইবে কেন ? ফলতঃ আমাদের পর কালে বিশ্বাস কেবল যুক্তিনিষ্পন্ন অর্জিত জ্ঞান নহে । আমর। প্রমাণ করিতে চেষ্টা করিব, উহা স্বতঃসিদ্ধ উপজ্ঞাও বটে। তবে এই মুখ্য জ্ঞানের বিষয়, বর্তমানে অপ্রত্যক্ষ্য ভবিষাতের গর্ভস্থ বলিয়াই তৎ প্রতি সন্দেহের পথ এত প্রশস্ত । কিন্তু আমরা যদি আত্মতত্ত্ব নির্ণয়ে প্রবৃত্ত হই, আত্মার স্বরূপ ও ভাব পর্য্যালোচনা করি, তাহ হইলে সন্দেহের পথ একেবারে নিরোধ হইয়া যায় এবং এই বর্তমান অবস্থাতেই আমরা পরকাল প্রত্যক্ষ করিতে সক্ষম হই । আপাততঃ আমরা ইহাই প্রতিপন্ন করিবার চেষ্টা করিয়াছি যে, পরকালের জন্য আমাদের দুর্জয় স্বাভাবিক পূহ রহিয়াছে এবং আমরা এখানেই পরকালের আকর্ষণ অনুভব করিয়া থাকি ; সুতরাং যুক্তি দ্বারা পরকালের অস্তিত্ব সিদ্ধান্ত সহজেই করা যায়, এবং সে সিদ্ধান্ত অবৈ জ্ঞানিক নহে। স্থিতধী ফানসিস নিউম্যান সাহেব বলেন “Natural and innocent instinct blongs with it its own warrant.” setts, alt মাদের স্বাভাবিক ও নির্দোষ স্পৃহা নিজেই স্বীয় নিদর্শন বহন করে। এই কথা অনায়াসে বলিতে পারি যে আমাদের মনের এই স্বাভাবিক কামনা জিজীবিধা তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা এবং আমরাও । Şe कच्न, 3. זלוס নিজেই স্বীয় সম্প্রাপ্তির ( fulfilment )ভবিষ্য সূচক। আরিষ্টটলও বোধ হয় এই ভাবেই বলিয়াছেন যে, আমরা যাহা আশা করি তাহা পাই (What we expect, that we find ) আমরা ভৌতিক জগতে ক্ষুধার অন্ন পিপাসার জল অপৰ্য্যাপ্ত প্রাপ্ত হই, আধ্যাত্মিক জগতে আত্মার ক্ষুৎপিপাসা নিবৃত্ত হইবে না কেন ? অতএব অতঃপর প্রতিবাদির বিরুদ্ধ প্রমাণ প্রদর্শন করিতে না পারিলে পরকালের অস্তিত্ব অবশ্যই স্বীকার করিতে হইবে । কিন্তু আজি সহস্ৰ সহস্ৰ বৎসর কাল পরকালের প্রতিবাদ ঘোসণা করা হইতেছে, এপর্যন্ত কেহই একটি ও যৌক্তিক প্রমাণ ংবিরূদ্ধে প্রয়োগ করিতে সক্ষম হয়েন নাই । আমরা কিন্তু প্রতিবাদীদিগের দুর্বলতার বা অক্ষমতার উপর পরকালের মত স্থাপন করিয়া নিশ্চিন্ত হইতে পারিব না—কেবল ক্ষীণতা-সূচক যুক্তির উপর আমাদের জীব নের উৎকৃষ্টতম অংশ পরকাল অবলম্বিত করিয়া আশ্বস্ত হইতে পারিব না। অামাদের বর্তমান জীবন নৈমিত্তিক ও অস্থায়ী, ভবিষ্য জীবনই আমাদের প্রকৃত জীবন “The seen is but temporal, the unseen is যে ভবিষ্যতের জন্য আমাদের হৃদয় মন এত ব্যাকুল, যাহার গর্ভেই আমাদের প্রিয়তম আশা ভরসা নিহিত, সংসারে দীগুশিরা হইয়া আমরা স্বভাবতঃ ব্যাকুল ভাবে যে ভবিষ্যতের দিকে নেত্রপাত করি, তাহাতে সন্দেহের সম্ভাবন মাত্রও থাকিলে আমরা চিত্তে আরাম বোধ করিতে পারিব না। অতএব আমরা নিজ সংজ্ঞার মধ্যেই পরকালকে সাক্ষাৎ প্রতিবিম্বিত দেখিতে চাই—প্রত্যক্ষ করিতে চাই। eternal.” ক্রমশঃ