পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুদ্ধ কেবল এই যে, কলা যখন আমি শ্যায় | শব্দের অর্থ নিজকর্ষণ। ইহাতেই প্রতিপন্ন শয়ন করিয়াছি, তখন আমি রাত্রির সবে হইতেছে যে, শাস্ত্রানুসারে সমাধি স্বযুপ্তির মাত্র প্রারম্ভ দেখিয়ছিলাম, এখন জাগিয়৷ উঠিয় প্রভাত দেখিতেছি; ইহাতেই প্রমাণ হইতেছে যে, মাঝের সময়টি--অর্থাৎ সমস্ত রাত্ৰি- আমি নিদ্রীয় অতিবাচন করিয়াছি । | ন্যায় অচেতন অবস্থ মহে যুক্তিতে যাহা iাওয়া যায় তাহা এইঃ-শ্বাস্ত্রী জাগ্ৰং স্বপ্ন এবং স্বযুপ্তি তিন অধস্টারই সাধারণ কেন্দ্র স্থল ; সুতরাং আত্মার নিজাভ্যন্তরে তিন অবস্থাই ঘনীভূত হইয়া একাকারে পরিণত কিন্তু যদি ঘড়ি না থাঞ্চিত, এবং জগতের ঘড়ি সূর্য ন পাকিত, তাহা হইলে আমরা ; কুম্ভ কর্ণে নাগ্নি ছয় মাস ধরিয়া গান্ত নিদ্রায় নিমগ্ন থাকিলেও--অমর ছয়যায়, কি ছয় মুহূর্ট, কি ছয় বৎসর নিদ্র। গিয়াছি—তাহা বলতে প{{রতাম না । সমাধি যদি প্রগাঢ় নিদ্রার নায় অচেঞ্জল অবস্থ হয়, তবে দাড়ায় এই মে, প্রগাঢ় নিদ্র। যেমন আমাদের জ্ঞানে অপ্রকাশ-সমাধিও সেইরূপ আমাদের জ্ঞানে অপ্রকাশ, সুতরাং, দুয়ের মধ্যে প্রভেদ যে, কি, ত{হী ও আমাদের জ্ঞানে অপ্রকাশ , তাই। হইলে দাড়ায় যে প্রগাঢ় নিদ্রর অবস্থা এবং মুছরি অবস্থা,--- এ দুয়ের মধ্যে যেমন কোন প্রভেদ নাই ; সমাধির অবস্থা এবং স্বযুপ্তির অবস্থা এদুয়ের মধ্যে ও সেইরূপ কোন প্রভেদ নাই । আমাদের দেশের সকল শাস্ত্রই দুয়ের মধ্যে প্রভেদ স্বীকার করেন, এমন কি বেদান্ত দর্শন ইন্দ্রিয়াসক্তি প্রভৃতির ন্যায় নিদ্রাকর্ষণকে সমানির বিঘ্নের মধ্যে ধরিয়াছেন ; যথা শঙ্করাচার্দোর অপরোক্ষানুভূতি গ্রন্থে এইরূপ লিখিত আছে ; r o সমাধে ক্রিয়মাণে তু বিশ্বাস্তায়াস্তি লৈ ধণাৎ অসুসন্ধান-রাহিত্যং আলস্যং ভোগলালসং ॥ লয়স্তমশ্চ বিক্ষেপে রসাস্বাদশ্চ শূন্যতা । এবং যদ্বিগ্নবাঞ্ছল্যং ত্যজ্যং ব্রহ্মবি দী শনৈ: | এই শ্লোকটিতে সমাধির আট প্রকার বিঘ্ন প্রদর্শিত হইয়াছে ; যথা ; অনুসন্ধান রাহিত্য, আলগা, ভোগ-লালস, লয়, তম, । ধিক্ষেপ, রসাস্বাদ, শূন্যতা ; ইহার মধ্যে লয় অবস্থা ললিয়৷ হইয়াছে ; আর সেই যে, তিনের একাকার ভাব, তাহ ঐ তিন অবস্থা হইতে সতন্ত্র চতুর্থ আর একটি অবস্থা ; এই জন্য সমাধির অবস্থা বেদান্ত-শাস্ত্রে তুরীয় (অর্থাৎ চতুর্থ) বর্ণিত হইয়াছে। ইহার । একটি উপমা ; একখানি বেলোয়ারির কাচের মধ্য দিয়া সূর্য কিরণ মঞ্চারিত হইলে, সেই কিন্তু । - ধরিয়া কেবল তাহারই ব্যাখ্যা করা হইল । কিরণ প্রধানতঃ তিন বর্ণের তিনটি ছটায় বিভক্ত হয়, পীত, লোহিত, এবং নীল । সূর্য মনে কর সেন আয় ; তাহার কাচপ্রভিন্ন পীতবর্ণ ছাঁ। মনে কর যেন জাএং অবস্থা ; লোহিত পূর্ণ ছটা স্বপ্ন বস্থা ; নীল বর্ণ ছটা সুষুপ্তি অবস্থ ; আর মুলস্থিত সূৰ্য্যকিরণে ঐ তিন বর্ণ ঘনীভূত হইয়৷ যে-এক শ্বেতবর্ণে পরিণত হইয়াছে সেই শ্বেতবর্ণ মনে কর যেন সমাধির অবস্থা । সেই শ্বেতবর্ণের মধ্যে, নীলবর্ণ কিনা স্বযুপ্তির আরাম, লোস্থিত বর্ণ কিন স্বপ্নের মনে রাজা, এবং পীতবর্ণ কি না জাগ্ৰংকালের জ্ঞানরাঞ্জা, তিনই একত্র ঘনীভূত ; অথচ নেই শ্বেতবর্ণ

s "。 نگاه میی ._ - of سة নীলবর্ণ ও নহে, লেপ্পি" বর্ণও নহে, পীত

ہمجا বর্ণ ও নহে, কিন্তু তিন হইতেই স্বতন্ত্র চতুর্থ আর একটি বর্ণ। সমাধি কি নহে, এতক্ষণ শাস্ত্র এপ যুক্তি দুইকে মিলাইয়: এই রূপ পাওয়া গেল যে, সমাধি সুষুপ্তির নায় অচেতন অবস্থা লঙ্কে । এখন শাস্ত্র অনুসারে সমাধি বস্তুটা কি-তাহ দেখা शा'क ।