পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Şc c § হয় ত তিনি যাজ্ঞবল্ক্যপত্নী মৈত্রেয়ীর স্থায় কহিবেন, “যেন হং নামৃতাসাং কিমহং তেন কুৰ্য্যাং যদেব ভগবান বেদ তদেৰ মে ক্রহীতি ।” যে ধনের দ্বারা আমার মুক্তি হইবে না, অমৃতত্ব লাভ হইবে না, তাহ লইয়া কি করিব ; অতএব মুক্তির সাধন যাহ। আপনি জানেন তাহা অামাকে বলুন।--অথবা তিনি নচিকেতার ন্যায় বলিয় উঠবেন “নীবিভেন তপণীয়ে মনুষ্যঃ” বিত্তেতে মন্থয্যের তৃপ্তি হয় না। অতএব ব্রহ্মই পরম পুরুষাৰ্থ । ব্ৰহ্মজ্ঞানেল দ্বারা “নি:শেযম সারবীজগবিদ্যাদা নর্থনিৰ্ব্বহণাৎ g

অশেষ সংসার-বীজরীপ অবিদ্যা নিবাfরত হয় । এই কারণে চিত্তশুদ্ধি-সম্পন্ন জীব নিৰ্ম্মল ভাগবতী মতির শরণাপন্ন হয়েন । বাল্যলীলা-জনক বাদন। সকল । যেমন ধেীবনে বিগত হয়, যৌবনের রসা- ৷ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক। | ভিলাষ প্রভৃতি বাসনা সকল যেমন প্রৌঢ়ে । থাকে না, প্রৌঢ়ের ঘোরতর উপ। জন-স্পহ। ] যেমন বদ্ধক্যে হ্রাস হয়, সেই রূপ ইহ- } কালে বা পরষ্কালে জীবের বাসন-লীলা-কলুর্মিত অপস্থার অন্ত হইলেই তাদৃশ সন্ন্যাসে প্রতিষ্ঠিত ব্ৰহ্ম জ্ঞানোপাৰ্জ্জনে মতি জন্মিবে । “তৰ্ম্মাৎ ব্রহ্মজিজ্ঞাসিতব্যঃ” অতএব চিত্ত-শুদ্ধির অপরিহার্য। ফলস্বরূপ ব্ৰহ্মই জিজ্ঞাসার বিষয় হইতেছেন। এস্থলে যদি কেহ এমত পূর্বপক্ষ করেন যে,চিত্তশুদ্ধির অনন্তর ব্রহ্মঞ্জিজ্ঞাসা উপস্থিত হয় বটে,কিন্তু এমত অনেক তত্ত্ব ও গুণ আছে যে, চিত্তশুদ্ধির পরই তৎসমূহের বিচার ও সাধন না করিলে ব্রহ্মজিজ্ঞাসা উত্তমরূপে আরম্ভ হয় না। এ কথার উত্তর এই যে, ইহজন্মে বা পূৰ্ব্বজন্মে সে সকল বিচার ও সাধন হইয়া গিয়া চিত্তশুদ্ধি হইয়াছে ইহাই বুঝিতে হইবে । সে জন্য যথোক্ত নিৰ্ম্মলচিত্তে | | } | . ' a कल्ल, ७ छोक्रा যখন ব্রহ্মজিজ্ঞাসা আরম্ভ হয় তখন তন্মধ্যে সকল তত্ত্বের সিদ্ধান্ত ও সকল গুণের সাধনফল ব্রহ্মজিজ্ঞাসার অন্তরঙ্গ-রূপে সামান্যত সংস্কারবৎ নিহিত থাকে। সুতরাং বিশেষ, রূপে তত্ত্ববিচারেও সে সকল গুণ-সাধনে আর ইচ্ছা হয় না। শ্ৰীমান শঙ্করাচাৰ্য্য কহিয়াছেন, t \ “প্রধানপরিগ্রহে তদপেক্ষিতনামপ্যর্থক্ষিপ্তত্বাং । ব্ৰহ্ম হি জ্ঞানেনাপ্ত মিষ্টতমত্বাং প্রধামং ।” ব্রহ্মজিজ্ঞাসাতে ব্ৰহ্মই প্রধান – অতএব প্রধান বস্তু গৃহীত হইলে তদপেক্ষিত পদার্থ সকল তরঙ্গরূপে সুতরাং পরিগৃহীত হয় । “ তম্মিন প্রধানে জিজ্ঞাসাকৰ্ম্মণি পরিগৃহীতে গৈজিজ্ঞাসিতৈর্বিন ব্রহ্ম জিজ্ঞাসিতং ন ভবতি তান্যর্থt. ক্ষিপ্তানোবেতি পৃথক সূত্রয়িতব্যানি ।” সেই প্রধানকে জিজ্ঞাসার কৰ্ম্মণি বাচ্য রূপে গ্ৰহণ করিলে য়ে যে বিষয়ের জিজ্ঞাসা ব্যতীত তাহ সম্পন্ন না হয় সে সমুদয় সহজেই গৃহীত হইবে । তাছার আর পৃথক গ্রহণের অবশ্যকতা নাই । “তথা রাজাসোঁ গচ্ছতীত্যুক্তে সপরিবারস্য রাজ্ঞোগমনমুক্তং ভবতি তদ্বৎ ।” যেমন রাজা গমন করিতেছেন বলিলে রাজার ও পারিষদদিগেরও গমন বুঝায় ত দ্রুপ। অতএব চিত্ত-শুদ্ধির অনন্তর রেহ্মজিজ্ঞাস! যখন জীবেতে উপস্থিত হয় তখন প্রেম, ভক্তি, দয়া, দাক্ষিণ্য, সরলতা, সত্যবাদিতা, প্রভৃতি সমস্ত সদগুণ এবং পঞ্চকোষ-বিবেক, ষটচক্রনিরূপণ, স্বষ্টিতত্ত্বের বিচার প্রভূতি সমস্ত তত্ত্বজ্ঞান সেই জিজ্ঞাসার সঙ্গে সঙ্গে থাকে। তাহাদের পৃথক সাধনের প্রয়োজন করে না। এমনও বলিতে পার না যে, ব্রহ্মজিজ্ঞাসাতে ব্রহ্মই বিশেষরূপে জিজ্ঞাস্ত दैन किख झे नरून ७५ ७ ऊरु निनांटन স্বতন্ত্র ভাবে সামান্যরূপেও জিজ্ঞাস্য। এরূপ আশঙ্কা অকিঞ্চিৎকর । কেন না . “স্বতে বা ইমানি ভূতানি জায়ন্তে ,