পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

to , , o', † ,' J I s f $o 3 * o भर्मि ११as, t , - *

  • | | fi * \ } . i d

| f i | W 1 * 6छ्न “তধিজিহ্বাসস্ব তদ্ধ হ্মেতি” * যাহা হইতে এই ভূত সকল উৎপন্ন হয় তাহাকে জানিতে ইচ্ছা কর তিনি ব্রহ্ম। এতাবত “অথাতোব্রহ্মজিজ্ঞাসা" সূত্রেতে কৰ্ম্মে ষষ্ঠী সমাসে একমাত্র ব্রহ্মই জিজ্ঞাসার বিষয়। তদ্ভিন্ন অন্য কিছুই জিজ্ঞাস্য নহে। তদাশ্রিত অশেষ বস্তু-বিচারও প্রয়োজনীয় নহে । আর সাধন-চতুষ্টয়-সম্পন্ন শুদ্ধচিত্ত, সে জিজ্ঞাসার অধিকারোৎপাদক হইলেও তাহা তাহার অব্যৰ্থ অনুষঙ্গী। অতঃপর শঙ্করাচার্য্য আপনিই এই প্রকার পূর্বপক্ষ করিয়াছেন, "তৎপুন ব্রহ্ম প্রসিদ্ধমপ্রসিদ্ধং বা স্যাৎ, যদি প্ৰ পদ্ধ ন লিঞ্জাসিস্তব্যঃ, আথাপ্রসিদ্ধং নৈব শক্যং জি জ্ঞা {{ i o) ; সে ব্রহ্মের জিজ্ঞাস সম্বন্ধে এত বিচার তিনি প্রসিদ্ধ কি অপ্রসিদ্ধ ? এস্থানে “প্রসিদ্ধ” শব্দের অর্থ সিদ্ধত্ব, মুক্তত্ব, নিত্যত্ব, সদ্ভাবত্ব, সদগতত্ব, প্রকাশকত্ব, কূটত্ব, সাক্ষিত্ব ইত্যািদ সৰ্ব্বত্র-সুলভ বা প্রাপ্তব্য ধৰ্ম্ম। তার 'তাপ্রসিদ্ধ' শব্দের অর্থ উহারই বিপরীত । অতএব যদি ব্রহ্মকে প্রসিদ্ধ বল, তবে তাহার জিজ্ঞাসার প্রয়োজন কি ? আর অপ্রসিদ্ধ বলিলে জিজ্ঞাসাই অসম্ভব । শ্রুতিতে লক্ষণা-প্রয়োগে ব্রহ্মের সর্বব্যাপ্তিত্ব দেখাইবার নিমিত্ত অনেক পদার্থকে ব্রহ্ম কহিয়াছেন। ব্ৰহ্ম শব্দে মনু, প্রাণ, মন, বিজ্ঞান, জীবাত্মা, শব্দ, মন্ত্র, অন্ন, ব্রাহ্মণ ইত্যাদি। বেদ ব্রহ্ম,স্থর ব্রহ্ম, রাগ ব্রহ্ম, তাল ব্রহ্ম, কৃষ্ণ ব্রহ্ম, রাম ব্রহ্ম, ইন্দ্র ব্রহ্ম, বায়ু ব্রহ্ম, সূৰ্য্য ব্রহ্ম, বরুণ ব্রহ্ম, ইত্যাদি। সৰ্ব্বত্রে ভগবানের বিভূতি সামান্য বা বিশেষরূপে বৰ্ত্তমান থাকিলেও সেই বিভূতির জিজ্ঞাস্থ না হইয়৷ বেদান্ত-দর্শন । इलानि শ্রীতিতে একেবারেই কহিয়া ჯ ლ ა _ म्बिन्। S AM MMASeeTTT S AA AAS রূপে গ্রহণ করিতে পারে, তাহাতে র্তাহার অখগুৈকরস-স্বরূপের মৃতরাং প্রত্যক্ষানুভব যোগ্য প্রসিদ্ধ ভাবের জ্ঞান লাভ হয় না । বিশেষতঃ অদ্বয়-তত্ত্বজ্ঞান বিরহিত ব্যক্তির প্রশ্ন করিতে পারেন যে, এই সকল ব্রহ্মের মধ্যে মানব কোন ব্রহ্মের জিজ্ঞাস্থ হইবেন ? তদুত্তরে যদি উপরি উক্ত ব্রহ্মগণের মধ্যে কোন একটিকে নির্দেশ করা যায়, তবে তাদৃশ ব্রহ্মের সিদ্ধত্ব, মুক্তত্ব, সম্ভাবত্ব, নিত্যত্ব, সৰ্ব্বগতত্ব, কূটত্ব, সাক্ষিত্ব প্রভৃতি অপরোক্ষ ধৰ্ম্মের প্রতি সন্দেহ উপস্থিত হইয়া তজিজ্ঞাসায় অশ্রদ্ধা জন্মে । এই রূপ আশঙ্কার সমাধান এই যে “সর্বস্যাত্মত্বাৎ” ব্রহ্ম সকলের আত্মারূপে প্রকাশমান আছেন । সুতরাং প্রসিদ্ধ। একথায় পুনঃ প্রশ্ন হইতেছে যে, যদি প্রসিদ্ধ তবে তাপার জিজ্ঞাসার অর্থাৎ অন্বেষণের প্রয়োজন কি ? ইহার উত্তর এই যে, যদিও তিনি অন্তরাত্মারূপে সামান্যতঃ সৰ্ব্বজীবে আছেন, সামান্যরূপে তিনি সকলের নিকটে জ্ঞাত আছেন, তথাপি “ম তদ্বিশেষং প্রতি বিপ্রতিপত্ত্বেঃ ” সকলে উহাকে বিশেষরূপে জামে না । তিনি আত্মারূপে জীবেতে না থাকিলে জীবের আত্মবুদ্ধি উপস্থিত হইত না । তিনি চিদাভাসরূপে জীবেতে মিশ্রিত থাকতে জীব “আমি আছি” বলিয়া প্রত্যয় করে । জীবের সেই সহজাত আত্মবুদ্ধি সেই কুটস্থ ও চিদাভাস-স্বরূপ অন্তরাত্মার অধিষ্ঠানেই প্রতিষ্ঠিত আছে। শ্রুতিতে কহিয়াছেন, "তং হ দেবমাত্মবুদ্ধিপ্রকাশং " সেই পরমেশ্বর জীবের আত্মবুদ্ধির প্রকাশক। কিন্তু এই প্রকার স্থলভ ও প্রসিদ্ধ মুখ্যাত্মারূপে তিনি জীবেতে অধিষ্ঠিত থাকিলেও তিনিই যে জীবের প্রকৃত আত্মা নদি ও লোকে ঐ সকল পদার্থকে পৃথক পৃথক্ ব্ৰহ্ম- সে ভাবে বিশেষ রূপে তাহাকে সকলে | k | ينها