পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯২ জ্ঞানে না,কেন না কেহ দেহকে, কেহ ইন্দ্রিয়শক্তিকে, কেহ মনকে, কেহ বুদ্ধিকে, কেহ ব| এই সংসারী জীবাত্মাকে আত্মা কহে । কিন্তু যাহার অধিষ্ঠান বশত দেহেন্দ্রিয়াদি চেতন-বিশিষ্ট হয়, মনোবুদ্ধি প্রভৃতি সঙ্কল্প-বিকল্পে, যুক্তি-নিশ্চয়ে পরিস্ফুট হয়, জীবাত্মাতে আত্মবুদ্ধি ও কর্তৃত্ব ভোক্তৃত্বের উদয় হয়, র্যাহার অধিষ্ঠান না থাকিলে জীবাত্ম ক্ষণ কালও তিষ্ঠিতে পারিত না, তাহাকে আপনাতে আত্মারূপে প্রত্যক্ষ দর্শন কর। বিশেষ জ্ঞানের কার্য্য । তিনি ঐ রূপে প্রসিদ্ধ থাকিলেও বিশেষ মতে তাহাকে জানিতে চেষ্টা করা প্রয়োজন । মে ইরূপ জানার ইচ্ছাকে “ব্রহ্মজিজ্ঞাসা” বলে । যখন ইছামুত্রার্থ-ক্ষ ভোগ-বিরাগ প্ল'ভতি চিত্ত শুদ্ধি বশত দেহ প্রাণ অবধি দ্রুপ পর্য্যন্তে মমতা-রহিত হইয়া, মধুপানোযুক্ত ভূঙ্গের ন্যায় জীব সেই অন্তরীত্বর oর* -সরোরুহ-ক্ষরিত মকরনদ-পানে সকল ؛ حمامهای به نام تنی چند اتم به نتایج این কামনার পরিসমাপ্তি জ্ঞান করেম, তখনই । “ব্রহ্মই ৷ "মার আত্ম” এই প্রত্যক্ষ জ্ঞানটি লাভের । রচিত বন্দন ও স্তোত্র ঈশ্বরের চরণেই তহর ব্রহ্মজিজ্ঞাসা আরম্ভ হয় । নিমিত্ত বেদান্ত-মীমাংসায় ব্রহ্মজিজ্ঞাসার ঔচিত্য প্রতিপাদন করিয়াছেন । “যতো বা ষ্টমামি ভূতানি জায়ন্তে” ইত্যাদি শ্রীতিতে যে তাহাকে জগৎকর্তা প্রভূত বলিয়াছেন সেরূপ ভাবে তাহাকে জানায় তিনি প্রত্যক্ষ হন ন । সে জানায় তাহার লে জ্ঞান পওয়া যায় তাহা তাহার স্বরূপ ভাব নহে, লক্ষণ মাত্র । কিন্তু মখন অন্তরাঞ্জুরিপে ঈশ্বরের পবিত্র জ্ঞানজ্যোতিঃ আমতে দেদীপ্যমান অনুভব করি, তখন আমি আমাতেই তাহার স্বরূপ এবং তাছাতেই আমার মুখ্য স্বরূপ প্রত্যক্ষ দর্শন কপি । এই প্রত্যক্ষ দর্শন লাভের নিমিত্তই ব্রহ্মজিজ্ঞাসার আবশ্যক । উপরি উক্ত তত্ত্ববোধিনী পত্রিক। " 。戰,•四情 "थहुर्छा द| ইমানীভ্যা"ি &Ꮂ শ্রীতিতে প্রথমে তটস্থ লক্ষণে ব্রহ্মনিরূপণ করিয়া পশ্চাৎ “তদ্বিজিজ্ঞালম্ব তাহাকে বিশেষরূপে জানিতে ইচ্ছা কর রসোধৈ সঃ” তিনি “রসম্বরূপ তৃপ্তিহেতু” ইত্যাদি স্বরূপ লক্ষণে সমাহার করিয়াছেন । তাছাকে বিশেষরূপে জানা বা রসের স্থায় অনুভব করাই তাহার স্বরূপ ও প্রত্যক্ষ জ্ঞান। তাহা জীব যত আপনাতে অনুভব করিতে ক্ষমবান হন, স্বষ্টি-স্থিতি-প্রলয়ে তত্ত্ব করিয়া অর্থাৎ তটস্থ লক্ষণে তত পান কি ন সন্দেহু । অতএব ব্রহ্মজিজ্ঞাস্থ হইয়া জীব আপনাতেই প্রত্যক্ষরূপে – স্বরূপে তাহাকে দর্শন করিবেন পূৰ্ব্বোক্ত “তটস্থ ও শেষোক্ত স্বরূপ লক্ষণের বিভিন্নতা প্রদর্শনার্থে ভগবান ব্যাস নিম্নস্থ সূত্র উপস্থিত করিতেছেন। ধৰ্ম্মশূন্য সাহিত্য ধৰ্ম্ম হইতেই প্রথমে সাহিত্যের উৎপত্তি হয় । কোন দেশে কবিতা যখন অৰ্দ্ধস্থ ট বাক্যে কথা কহিতে থাকে তখন তাহার সমপিত হয় । কবিতার শৈশবাবস্থায় ধৰ্ম্মসঙ্গীত সকল রচিত হইতে থাকে, তৎপরে অন্যান্য প্রকার কবিতা রচিত হয়। অন্যান্য প্রকার কবিতা পরে রচিত হউক কিন্তু কবিতার প্রাণ ধৰ্ম্ম । বিখ্যাত মেকলে সাহেব বলিয়াছেন যে, ইংরাজি কবি শেলী নাস্তিক হইয়াও কবিতা লেখার সময় অত্যন্ত আস্তিকত প্রকাশ করিয়াছেন । ধৰ্ম্মশূন্ত কবিতা কবিতাই নহে। সকল বস্তুতে কবিত্ব আছে। সূৰ্য্য চন্দ্রাদি নৈসর্গিক প্রত্যেক পদার্থ কবিত্ব-পূর্ণ। বসন্তাদি প্রত্যেক ঋতু কৰিত্বপূর্ণ। শৈশব, কৈশোর, যৌবন প্রভৃতি মানব জীবনের প্রত্যেক কাল কবিত্ব-পূর্ণ।