পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| ა ა8 উপরে যাহা কোমল ভাষাস বলিলাম তাহা সরল-চিত্ত, সত্যানুরাগী নাস্তিক ও সংশয়পদাদিগের প্রতি প্রযোজ্য । কিন্তু যে সকল ব্যক্তি দর্শন শাস্ত্রের কিছুই বুঝেন না, র্যাহারা প্রকৃত বিদ্বান ন হইয়া বিদ্যার খ্যাতি লইবার জন্য নাস্তিবাদ অবলম্বন পূর্বক ঐ অনিষ্টকর মত প্রচারে নতুবান হয়েম তাহাদিগের আচরণ কত দৃগীয়, কত নিন্দনীয়, তাহার

  • }৭ন করা যায় না |

ষ্টছ অত্যন্ত দুঃখের বিমল সে. বর্তমান {"ft3 শিক্ষি ত ব্যক্তিদিগের মধ্যে নাস্তিবাদ ঝ সংশয়বাদ ক্রমশঃ প্রবল রইয়! উঠিতেছে। এক্ষণকার কোন কোন সাময়িক পত্রিকা এই সংশয়বাদে পরিপূর্ণ। সে পত্রিক গুলি ডারউইন, কোমত ও মিলের একটি অপূৰ্বৰ চড় চড়ি বলিলে হয় । ইউলেপে এক্ষণে গত প্রকার বীভৎস কীর সংশদর ৫ স ,ংপন্ন ' झड़ें তেছে তাহ বঙ্গদেশের শিক্ষিত ব্যক্তির মনোরূপ অনুকূল স্থানে বিলক্ষণ অtশ্রয় পাইতেছে । এই নাস্তিবাদ ও সংশয়বাদ কেবল সাময়িক পত্রিক। স্ন অ|শ্রম লইয়ছে এম২ নহে ; উহ, গদ্য ও পদ্য গ্রস্তে ক্রমশঃ প্রবেশ করিতেছে। छेछु, छु প্রেমা” নামক একটি গদ্য গ্ৰন্থ বৰ্ত্তমান কীলের সাহিত্য গ্রন্থ মধ্যে এক্সট প্রধান গ্রস্থ বলিয়। পরিগণিত হইয় থাকে। ঐ গ্রস্থটী s ল শুিবাদ ও গদ্যে লিখিত, কিন্তু উচ্চার রচয়িত একটী প্রকৃত কবি । কোন কোন সমালোচক শলেন যে, ইনি শ্ৰীযুক্ত বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় শ্রীযুক্ত হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, ও ক্রীযুক্ত নবীনচন্দ্র সেন প্রভৃতি বিখ্যাত লে। ধকের দলভুক্ত হইতে পারেন । বস্তুতঃ তিনি এই প্রশংসার উপযুক্ত। তাহার সহ ধৰ্ম্মিণী-বিয়োগ জন্ম তিনি ঐ গ্রন্থের ভিতর মধ্যে মধ্যে বিলাপের এক একটী যে তান উত্থিত করিয়াছেন তাহ অতিশয় মধুর ও তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ৯ কল্প ও ভাগ প্রতিভাসূচক, কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, তাহাতে তিনি ধৰ্ম্মর প্রতি বিলক্ষণ আঘাত করিয়াছেন । র্তাহার নাস্তিকতা তাহার কবিত্বের জ্যোতি অনেক পরিমাণে মান করিয়াছে তিনি ধৰ্ম্মের প্রতি যেরূপ আঘাত করিয়াছেন তাহাতে এই প্রকার বিলাপ লিখনে যদি আমাদিগের, ক্ষমতা থাকিত তাহা হইলে আমরা ঐ আঘাত জন্য, ধৰ্ম্মের হইয়া, আর একটী বিলাপোক্তিপূর্ণ ঐরুপ গ্রন্থ প্রকাশ করিতাম। কিন্তু একশত বিংশতি পৃষ্ঠা বিলাপ লিখিবার ক্ষমতা আমাদিগের নাই, তজন্য এই কাৰ্য্য হইতে আমরা নিরস্ত হইলাম। তিনি যে সকল স্থানে ধৰ্ম্মের প্রতি আঘাত করিয়াছেন তাছা নিম্নে উদ্ধত হইতেছে। • “এ রচনার যে রচয়িত, তিনি, হয় ইচ্ছা! পূর্বক জীবনকে দুঃখ দেন, নয় যাহ! তিনি ইচ্ছা করেন তাহ! তিনি করিতে পারেন ন। —তিনি, হয় নিষ্ঠর নয় অপূর্ণ। তাছাকে নিষ্ঠ, বলিতে ইচ্ছা ন কর, বলিও না ; কিন্তু তাহ হইলে ইহ। অবশ্য স্বীকার করিতে হইবে যে, তাহার উপর এমন কিছু আছে যাহার প্রভাবে তাহার ইচ্ছা মাত্র কার্য্যে পরিণত হইতে পারেন । তিনি যে প্রভূত শক্তিমান, তাহাতে আর সন্দেছ কি ? কিন্তু তিমি সৰ্ব্বশক্তিমান নহেন * ।” “জগদীশ! তুমি না কি মানবের পিতা?— কিন্তু সন্তানের জন্য পিতার যে স্নেহ, তাহ। তোমার কই ? জগৎ সংসারে এত দুঃখ দিয়াছ কেন ? বিরহশ্বাস দিয়া মানব-হৃদয় গড়িয়াছ কেন ? কেবল রোদনের অভিনয় করিবার জন্য আমাদিগকে এই রঙ্গভূমিতে পাঠাইয়াছ কেন ? তুমি দয়াময় । তুমি ইচ্ছাময় । তুমি সৰ্ব্বশক্তিমান। অন্যে কি ভাবে, জানি না; কিন্তু আমি ইহা বুঝিতে `ग्नज्झञ्झल्मन्कन्स्तनाः