পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ * * | . . . " , ' , , , $ 4 i 'w, I , o +, f 射 * I } h i ч}}и знь» k

পারি না । দয়া, ইচ্ছা, শক্তি, তবে সংসারে দুঃখ কেন ? সংসারে যে ছুঃখ আছে, তাহা ত আর কেহ অস্বীকার করিবেন না, সুতরাং ও-তিনটি কথাই ভুল। তিনি দয়াময় হইলে, আমরা যখন দুঃখের ভারে মরিয়া যাই, তখন অবশ্য আমাদের দুঃখ বিমোচনের ইচ্ছা করিবেন—নতুবা আর দয়া কি ? দুঃখীর দুঃখ বিমোচনের ইচ্ছাই দয়া । সে ইচ্ছার প্রতিরোধ না থাকিলে অবশ্য তাহ কার্য্যে পরিণত হইবে । ঈশ্বরের ইচ্ছার কোন প্রতিবন্ধক থাকিতে পারে ন!, সুতরাং তঁাহার ইচ্ছা কার্য্যে পরিণত হইবে । তাছা হয় না, মনুষ্যের দুঃখ ঘুচে না, যে যাহার ভিখারী সে তাহা পায় না, তাহাতেই বলি তিনি সে ইচ্ছা করেন না । তিনি কিসের দয়াময় ? আর যদি তাহার ইচ্ছ। সত্ত্বেও আমাদের দুঃখ দূর হয় না, তবে তিনি কিসের ইচছময় ? কিসের সর্বশক্তিমান ?” * “নিরাকার ঈশ্বর, হাসিবার কথা,--- দেহনিরপেক্ষ চৈতন্য জগতে কোথাও দেখি নাই; যতদিন না দেখিতে পাই ততদিন মানিব না । ইচ্ছাময় জগৎকারণ, মুখের কথা, এক কারণের একই কাৰ্য্য ; যে কারণ হইতে এই জগৎ সমুৎপন্ন হুইয়াছে, সেই কারণ তইতে অন্যরূপ স্বষ্টি অসম্ভব । সৰ্ব্বশক্তিমন দয়াময় ঈশ্বর, বাতুলের কথা ;–আপন আপন হৃদয়কে জিজ্ঞাসা করিয়া দেখ । একটি জীব পৃথিবীতে আসিবে—সে মরিয়া যাইতে পারে, সে অকৰ্ম্মণ্য হইতে পারে, সে পৃথিবীর ভার মাত্র হইতে পারে, কিন্তু কেবল তাহার সংসার-প্রবেশের জন্য, অপর একটি উৎকৃষ্টতর জীবকে মৃতু্য-যন্ত্রণ ভোগ করিতে হয় । সে যাতনা নিবন্ধন কোন লাভ নাই, কোন আপদ নিরাকৃত হয় না, , 幣 উদ্ধান্ত ¢éपंभ ७२, ७७ পৃষ্ঠা ধৰ্ম্মশন্য সাহিত্য ჯ ო () কোন উদ্দেশ্য সংসাধিত হয় না, কাহারও সুখ বাড়ে না, কাহারও দুঃখ কমে না – তবু এই যম-যাতনা ভোগ করিতে, হয়। নিরর্থক যাতনা দেওয়া যাহার অভিপ্রেত, সে নিষ্ঠর, সে নির্দয়।” + গ্রন্থকর্তা “যম-যাতনা ভোগ করিতে হয়” আপনার এই বাক্যের উপর এইরূপ নোট করিয়াছেন “যাহা কিছু জগতে ঘটে তাঁহাই অবশ্য ঈশ্বরের অভিপ্রেত। সন্তান-প্রসবের সময় স্ত্রীলোকের যে প্রসব-বেদন হয়, তাহ ত ঈশ্বরের অভিপ্রেত । সে দারুণ যাতনা নিম্প্রয়োজন,কেন না, তন্নিবন্ধন কোনই লাভ দেখা যায় না । নিম্প য়োজনে ক্লেশ দেওয় নিষ্ঠুরের কাজ, স্বতরাং ঈশ্বর নিষ্ঠর।” গ্রন্থকৰ্ত্ত এই স্থানে ইউরোপীয় ন্যায়-শাস্ত্রের হেতু, উপনয় ও নিগমন-সমন্বিত সিলজিজম্‌ খাটাইয়া যে সিদ্ধান্ত খড়া করিয়াছেন, তাহ দেখিলে এরিসটটেল স্তম্ভিত হইতেন সন্দেহ নাই। একটি ক্ষুদ্র পিপীলিকার একটি প্রকাণ্ড অট্টালিকার কোন স্তম্ভের অণুপ্রমণ বন্ধুর স্থানে স্থিত হই . "o. টুর; সেই আটালিকার আকৃতি প্রকৃতি বিষয়ে মত দিবার যেরূপ অধিকার, গ্রন্থকর্তারও সেইরূপ পুথিবীতে স্থিত হুইয়া জগৎরূপ আটালিকার বিষয়ে মত দিবার তেমনি অধিকার । “আমাদের পাপের জন্যও ঈশ্বর আমীদিগকে দায়ী করিতে পারেন না আমীতে যাহা আছে, আমি ছাড়া সংসারে যাহা আছে, সব তিনি করিয়াছেন । এ হৃদয় তুমি গড়িয়াছ, এ সংসার তুমি গড়িয়াছ, হৃদয়ে সংসারে যে সম্বন্ধ তাহারও সংস্থাপক তুমি, তবে আমাদের পপ কি ? যদি পাপ থাকে তাহার দায়ী কে? তুমি না আমরা?” : আহা! লেখক যদি এইরূপ নাস্তিকতা অবলম্বন না উদ্ধান্ত প্রেম ৮১,৮২ পৃষ্ঠা উন্মুক্ত প্রেম ৮৯ পৃষ্ঠা