পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ ১৭৯৯ করিতেছে কিন্তু তিনি কোন কার্য্যে লিপ্ত নহেন । যথাকাশে স্থিতোনিত্যং বায়ু: সৰ্ব্বত্র বেগবান । তথা সর্বানি ভুতানি মৎস্থানীত্যুপধারয় ॥ ৯ম,৬। “সৰ্ব্বত্রগামী বায়ু যেমন আকাশে নিরস্তর থাকে অথচ আকাশের সহিত তাহার কোন সম্বন্ধ নাই চরাচর সংসারও ঈশ্বরেতে সেইরূপ জানিবে ।” সাংসারিক পদার্থ সকল যে কাৰ্য্য করিতেছে তহি। ঈশ্বরের কার্য্য নহে যে হেতু ঈশ্বর নিজে কোন সাংসারিক পদার্থ নহেন । ঈশ্বর সংসারের অতীত । আকাশ যেমন স্থির অাছে কিন্তু চঞ্চল বায়ু তাহাতে সঞ্চরণ করে তেমনি ঈশ্বরে চঞ্চল সংসার স্থিতি ও কর্ম। করিতেছে কিন্তু তাহার চঞ্চলত ঈশ্বরকে সংক্রমিত করিতে পারে না । ভগবদঙ্গীত কি সুন্দর উপমা দ্বারাই ঈশ্বরের “ঈশ্বর সাংসারিক কার্য্যে লিপ্ত হয়েন না কিন্তু তিনি সকল পদার্থে অধিষ্ঠিত থাকিয়৷ তাহাদিগের কাৰ্য্যের নিয়ন্ত ত্ব করেন ।” মধাধ্যক্ষেণ প্রকৃতিঃ স্বয়তে সচরাচরং । হেতুনানেন কোন্তেয় জগদ্বিপরিবর্ততে ॥ ঈশ্বরের অধ্যক্ষত-নিবন্ধন প্রকৃতি চরাচর প্রসব করিতেছে। হে কুন্তিনন্দন ! এই হেতু বশতঃ জগৎ পরিবর্তিত হইতেছে। জগতের পরিবর্তন সকল ঈশ্বরের অধ্যক্ষত হেতু সম্পাদিত হইতেছে। প্রকৃতি নিত্য নিয়মানুসারে নূতন নূতন জীব ও অন্যান্য পদার্থ এবং নূতন নূতন ঘটনা প্রসব করিতেছে কিন্তু ঈশ্বরের অধ্যক্ষত-নিবন্ধন ঐরূপ প্রসব করিতেছে । অধুনাতন বিজ্ঞানের এই সিদ্ধান্ত যে, প্রকৃতিই নিত্য নিয়মানুসারে সংসারকে প্রসব করেন কিন্তু দুঃখের বিষয় এই ঈশ্বরের অধিষ্ঠানভূত অধ্যক্ষতাধীন তাহ হইয়া থাকে ইহা স্বীকার করেন না । ভগবদগীত। বিষয়ে বক্তত। S.S ভগবদগীত। ঈশ্বরের অধিষ্ঠানভূত উক্ত নিয়ন্ত ত্ব কাৰ্য্যকে চারি অংশে বিভক্ত করিয়া তাহাকে চারি সংজ্ঞা প্রদান করিতেছেন । সে সকল সংজ্ঞ এই, অধিভূত, অধ্যাক্স, অধিযজ্ঞ, অধিদৈব * । ঈশ্বর অধিভূতরূপে সকল ভৌতিক পদার্থে অধিষ্ঠিত হইয়৷ তাহাদের নিয়ন্তত্ব করিতেছেন, অধ্যাত্মরূপে আত্মাতে অধিষ্ঠিত হইয় তাহার নিয়ন্ত ত্ব করিতেছেন, অধিযজ্ঞরূপে ধৰ্ম্মকার্য্যে অধিষ্ঠিত থাকিয় তাহাকে নিয়মিত করিতেছেন; অধিদৈবরূপে দেবলোকে অর্থাৎ পৃথিবী অপেক্ষ শ্রেষ্ঠতর লোক সকলে অধি ষ্ঠিত থাকিয় তাহার নিয়ন্ত,ত্ব করিতেছেন। ঈশ্বর অধিভূতরূপে ভৌতিক জগৎকে নিয়মিত করিতেছেন । র্তাহার সংস্থাপিত নিয়মানুসারে সূৰ্য্য চন্দ্র উদিত হইতেছে ও অস্ত যাইতেছে । তাহীরই নিয়মানুসারে গ্রহ নক্ষত্র ধূমকেতু অনন্ত আকাশে ধাবিত হইতেছে । তাহারই নিয়মানুসারে ঘননীল গভীর সাগরবর, ভয়ানক মহোচ্চ উৰ্ম্মিমাল উত্থিত করিয়া পৃথিবীকে রসাতলে দিবার চেষ্ট করিতেছে, তথাপি স্বকীয় নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করিতে সক্ষম হইতেছে না। র্তা হারই নিয়মানুসারে তুষারাবৃত শ্বেত পৰ্ব্বত সকল হইতে পূৰ্ব্ববাহিনী ও পশ্চিমবাহিনী নদী সকল নিঃস্থত হইয়া প্রবাহিত হইতেছে। র্তাহারই নিয়মানুসারে ধাতু ও প্রস্তর সকল উৎপাদিত হুইতেছে। তাহারই নিয়মানুসারে বৃক্ষ সকল পত্র পুষ্প ফলে সুশোভিত হইয়া দর্শন ও রসনেন্দ্রিয়ের তৃপ্তি সাধন করিতেছে। র্তাহারই নিয়মানুসারে মানব শরীর রূপ যন্ত্র আপন! আপনি পরি

  • ৭ম অধ্যায়ের শেষ ও ৮ম অধ্যায়ের প্রথম দেখ । Es gs ersfs "two “God in Nature, God in Soul, God in Religious Action, God

in Worlds Supernatural.” Rata i arapa হইতে পারে ।