পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

父之 তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা

  • कछ, ७ छीं★

} চালিত হইয়া অনেক দিন পর্য্যন্ত আশ্চর্য্যরূপে স্থিতি করিতেছে । ঈশ্বর অধ্যাত্মরূপে আত্মার অধিষ্ঠাত্রী দেবত হইয়। তাহার কার্য্যের নিয়ন্ত ত্ব করি ○やび5み{l পদার্থ দুই প্রকার, ভৌতিক পদার্থ, ও আত্মা । ঈশ্বর যেমন ভৌতিক পদার্থের অধ্যক্ষত করিতেছেন তেমনি আত্মারও অধাক্ষত করিতেছেন । তিনি মাতার ন্যায় অস্থিাকে অতি যত্বের সহিত পোষণ করিতেছেন। আত্মা শরীরের সস্থিত সংযুক্ত হইয়া যে আকার ধারণ করিয়াছে তাহাকে মন শব্দে উক্ত করা যায় । মনের সকল কার্য্য ঈশ্বরের অধ্যক্ষতার অধীন । তিনি মনীষী অর্থাৎ মনের নিয়ন্ত । কি ইন্দ্রিয়প্রত্যক্ষ, কি স্মৃতি, কি ধৃতি, কি যুক্তি, কি কল্পন, মনের সকল কাৰ্য্য ঈশ্বরের দ্বারা নিয়মিত হইতেছে । তিনি “ধিয়োয়োনঃ প্রচোদয়াৎ” “তিনি বুদ্ধিবৃষ্টি সকল প্রেরণ করিতেছেন ৷ ” শরীরের সহিত আত্মার সংযোগ অবস্থাতে যে সকল বৃত্তির উৎপত্তি হয়, তদ্ব্যতীত আত্মার কতকগুলি নিজের বৃত্তি আছে, সে সকল বৃত্তি তাহার আধ্যাত্মিক উন্নতি-সম্বন্ধীয় । সেই সকল বৃত্তি দ্বারা সে ঈশ্বরকে জানিতে ও তাহার সহিত সম্মিলিত হইতে সক্ষম হয় । সেই সকল বৃত্তির উন্মেষ-কাৰ্য্য ঈশ্বরের নিয়ন্ত ত্বে সম্পাদিত হইয় থাকে। যে উহাকে চায়, তিনি তাহাকে আপনাকে পাইবার উপায় প্রদর্শন করেন। তিনি মনুষ্যের ধৰ্ম্মভাবের উদ্দীপন করিতেছেন, তিনি মনুষ্যকে জ্ঞানধৰ্ম্মে উন্নত করিতেছেন, তিনি তাহাকে সেই অমৃতের সোপান প্রদর্শন করিতেছেন, কিন্তু তাহার অভিলাষী হওয়া চাই তাহ না হইলে তিনি আমাদিগের প্রতি এইরূপ অনুগ্রহ প্রদর্শন করেন না । আমাদিগের আত্মার কি به چاه های به هم هم نامیده میع جبهه রূপ অবস্থা হইলে তিনি এই অনুগ্রহ আমা দিগের প্রতি প্রকাশ করেন তাহা গীতার একটা শ্লোকে অতি স্বন্দরব্রুপ বৰ্ণিত আছে । তেষাং সততযুক্তানাং ভজতাং প্রীতিপূর্বকং। দদামি বুদ্ধিযোগং তং যেন মামুপযাস্তি তে । “যে ব্যক্তি সতত আমাতে যুক্ত থাকে, এবং প্রীতি পূর্বক আমাকে ভজনা করে, তাহাকে এমন বুদ্ধি আমি প্রদান করি, যদ্বারা সে আমাকে লাভ করিতে সক্ষম হয় ।” ঈশ্বর অধিযজ্ঞরূপে জগতের সমস্ত ধৰ্ম্মকৰ্ম্মের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা হইয়া তাহার নিয়ন্ত ত্ব করিতেছেন। মনুষ্য কেবল আত্মার অভ্যন্তরে ধৰ্ম্মভাব পোষণ করিয়া পরিতৃপ্ত নহে ; উপাসনা ধৰ্ম্মোৎসব ও দানাদি পরোপকার জনক কার্ঘ্যে তাহ ব্যক্ত করিয়া থাকে। ঈশ্বরের অনুশাসনে এই সমস্ত কাৰ্য্য সম্পাদিত হয় । তিনি জগতের প্রধান ধৰ্ম্মাধ্যক্ষ । যে যেখানে যে প্রকারে উপাসন করিতেছে সে র্তাহাকেই উপাসনা করিতেছে । তিনি তাহার সকল উপাসকদিগের মন আপনার প্রতি আকর্ষণ করিতেছেন ও তাহাদিগের আত্মার উপর ধৰ্ম্মামৃত সিঞ্চন করিতেছেন । তিনি ধৰ্ম্মোৎসবরূপ মহ। যজ্ঞের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা । তিনি স্বয়ং উৎসব-সমাজে সাক্ষাৎ প্রত্যক্ষ বর্তমান থাকিয়া সহস্র ধারে আনন্দ বর্ষণ করেন । তিনি ধৰ্ম্মোদেশে পরোপকারজনক কার্য্য সম্পাদন করিতে র্তাহার সাধকদিগকে প্রবৃত্ত করেন । সমস্ত জগতের সমস্ত ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম একবার আtলোচনা করিলে কি মহান ব্যাপার বলিয়া বোধ হয় ! এই মহান ব্যাপারের তিনি এক মাত্র অধ্যক্ষ ও নিয়ন্ত । ঈশ্বর কেবল দৃশ্যমান জগৎ ও মনুষ্যের আত্মার নিয়ন্ত নহেন। তিনি অতীন্দ্রিয় ও অলৌকিক শ্রেষ্ঠতর লোক সকল ও তন্নিবালী দেবতাদিগের নিয়ন্ত । যেমন মনুষ্য