পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-nii. জাতীয় झनट्झां९मद SSN) উপাসনার ক্রিয়াত্ব এবং ব্রহ্মের উপাস্যপদ stawomantummonstni * پهسمه Es gigs 1_ _ _ _ _ এবং র্যাহার নিকটে র্ডাহারা দুরে যাইবেন এই ভেদ বিস্তৃত হইয়া কেবল ব্রহ্মানন্দে মগ্ন এবং ব্রহ্মসন্তা এবং ব্রহ্মস্বরূপে প্রতিষ্ঠিত হন সেই অবস্থাই র্তাহার নির্বিকল্প সমাধি অথবা শেষাবস্থা । সে অবস্থায় উক্ত লিঙ্গদেহ চিরনিরুদ্ধ বৃত্তিত্ব লাভ করে। ঐ অবস্থা হইতে জীবের আর পতনের আশঙ্কা নাই । ১৮। ঐ নিশ্রেয়সঃ অবস্থায় জীবকে উতীর্ণ করিয়া দিবীর নিমিত্ত পঞ্চভূত, অন্নজল, দেহ ইন্দ্রিয়, মনোবুদ্ধি, জ্ঞানধৰ্ম্ম সকলেই উদযোগী আছে। কিন্তু পথিমধ্যে তাহাদের সৌন্দর্য্যে জীব মোহিত হওয়ায় তাহার বন্ধন উপস্থিত হয় । চিরপ্রবাসীর স্যায় পথে পথেই ভ্রমণ করেন। মাত পিতার শান্তিনিকেতন লাভ করিতে পারেন না । ১৯ । তাই বলিয়া জীব যদি ঐ সকল পদার্থকে একেবারে ত্যাগ করেন, তবে মহা অনর্থ উপস্থিত হইবে । স্থলের মধ্যে যে সূক্ষ মহন্তত্ব আছে ভোগ পূর্বক তাহাকে ত্যাগ করাতেই তাহার দ্বারা জীবের যথার্থ | নিৰ্ব্বেদ প্রতিষ্ঠিত ও সবল বৈরাগ্য উপাঞ্জিত হয় । জগৎরূপ ও দেহরূপ মধুভাণ্ডের মধুপান কর কিন্তু আপনার উড়িবার উপায়-স্বরূপ পক্ষ মুক্ত রাখিও, যেন মধুপানে উন্মত্ত হইয়া পিপীলিকার ন্যায় অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সহিত তমধ্যে জড়ীভূত হইও না । domo জাতীয় হৃদয়োৎসব। · সম্মুখে দুর্গোৎসব । লোকে সম্ববৎসর স্বাস্থ্য ও মুখ উপেক্ষা করিয়া কৰ্ম্মক্ষেত্রের গুরুতর কষ্ট স্বীকার করিতেছিলেন এখন বিশ্রামের সময় উপস্থিত। এই উৎসব উপলক্ষে র্যাহারা দূরে র্তাহার নিকটস্থ হইবেন অতএব মধুমক্ষিকার স্যায় এখন কেবল ইহারই আন্দোলন চলিতেছে । আর একটি কথা; দেশভ্রমণও অনেকের লক্ষ্য; দেশভ্রমণে শারীরিক ও মানসিক নানারূপ স্বাৰ্থ আছে সত্য, কিন্তু এ সময়ে তাহা কত দূর স্বীকার্য্য তাহার আলোচন আবশ্যক । জ্ঞান ও ভাব সামাজিক উন্নতির মূল । ইহার একতরের অভাবে প্রকৃত উন্নতির অভাব হয় । জ্ঞানের লক্ষ্য কেবল উদ্ভ{বন, ভাবের লক্ষ্য কেবল প্রবর্তন । পুরুষের সহিত প্রকৃতির যেরূপ সম্বন্ধ, জ্ঞানের সহিত ভাবের সেইরূপই সম্বন্ধ । ফলত জনসমাজের যা কিছু উন্নতি হয় তাহার মূলে জ্ঞান ও ভাব ! অবস্থ-ভেদে হয় ত একের প্রাধান্ত থাকিতে পারে কিন্তু অন্যের ঐকান্তিক অভাব অসম্ভব । হিন্দু জাতির হৃদয় ভাব-প্রধান স্থতরাং কার্য ও ভাব-প্রধান । দুর্গোৎসব কেবল হিন্দুদিগেরই উৎসব, এক্ষণে ইষ্টার প্রকৃতি পর্য্যালোচনা করিলেই উল্লিখিত বাক্যের মাথার্থ্য সপ্রমাণ হইবে । যাহারা এই মহা মহোৎসবের কেবল বাহু আড়ম্বর দেখেন ইন্দ্রিয়-তৃপ্তি মাত্রেই তাহাদের পর্যাপ্তি । আর র্যহীর ভাবের চক্ষে ইহার অস্থি মাংস মজ্জা পরীক্ষা করেন তাছারাই যথার্থত এই মহোৎসব উপভোগ করিয়া থাকেন । এই উৎসব করুণ-প্রধান । এস্থলে করুণ শব্দটা একটু ব্যাপক ভাবে বুঝিতে হইবে । ভক্তি, প্রীতি, স্নেহ, বাৎসল্য ও দয়া প্রভৃতি যত কোমলতর মনে - বৃত্তি আছে তৎসমস্তই ইহার অন্তর্গত। এই উৎসব সেই সমস্ত মনোবৃত্তির পূর্ণ বিকাসভাব মাত্র। বিজ্ঞানের যত তীক্ষ্ণতর অtলোক বিকীর্ণ হইতেছে ব্যাপক ধৰ্ম্মের ব্যাপ্য ভাব ততই হ্রাস হইবে সত্য, কুসংস্কার বিজুম্ভিত বিশ্বাস সংকীর্ণ হইয়া আসিবে