পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* তত্ত্ববোধিনী نما لميهما سه: J

l | f t t १ r १ f f S$8 &: ttygaggað 鷗 সত্য, কিন্তু এই মহোৎসব উপলক্ষে হিমালয় হইতে কন্যাকুয়ারী পর্যন্ত যে একটী ভাবের তরঙ্গ হিন্দুসমাজকে প্লাবিত করিতে থাকে তাহা কখনই যাইবে না এবং যাওয়াও উচিত নয় । যখন মনের কোন কোমলতর বুপ্তি সতেজে উত্থিত হয় তখন আত্মবিস্মৃতি সহজেই আইসে এবং স্বার্থগন্ধ দূরে প্রস্থান করে । সুতরাং নিঃস্বাৰ্থ ভাবই এই মহোৎসবের প্রকৃতি । স্বপর নির্বিশেষে সকলকে দর্শন করাই ইহার লক্ষ্য। শত্রু যে, সে আর শক্র নয়, সে যে হৃদয়ের গুঢ়তম প্রদেশে বিষাক্ত শর বিদ্ধ করিয়াছে ভাবের উচ্ছাসে তাহা উৎক্ষিপ্ত হইয়া যায় এই ইহার মৰ্ম্ম । মুক্তহস্তে অপরিমিত দান কর, কিন্তু দানে ত সুমঃ, হিন্দু মুসলমান, স্বদেশ বিদেশ, লাল বৃদ্ধ, স্ত্রী পুরুষ বিচার করি ও না এই ইহার লীল । ফলত ইতিহাসে যত প্রকার ধৰ্ম্মোৎসবের উল্লেখ আছে ইহা তাপেক্ষা কোনটাই উদার নয়। আমাদের চক্ষের উপর প্রতি বৎসর মে খ্রীষ্টেৎসব হয় তাহ স্বার্থের পূতিগন্ধে দুধ ইহাতে যা কিছু দয়া ও দানের ভাল পাওয়া যায় তাহ! কেবল স্বগুচরূপ ক্ষুদ্র পরিধিতে বদ্ধ। এক জন প্রটেষ্টাণ্ট যা পায় রোমান ক্যাথলিক তাঙ্গ পায় agے از ایران با : 粵 & না । কিন্তু হিন্দুজাতির ভাব ও কচি ইহার ! বিপরীত। ইহাদের ভাণ্ডার এই উপলক্ষে সাধারণ-সম্পত্তি হয় । সম্ম ইসর কেবলই অস্থিরণ, এই মহোৎসবে কেবলই মিবিশের্যে পরিবেশন । ইতিপূৰ্ব্বে বলিয়াছি যে, জ্ঞান ও ভাব উভয়ই সামাজিক উন্নতির মূল । জ্ঞান বুদ্ধিতত্ত্বে এবং ভাব হৃদয়ে থাকে । ভাব অস্তঃও বহির্গাঁধী, সুতরাং ইহা স্ব-পর-নিষ্ঠ । অন্যেৰ ক্ষে যখন হৃদয় উদ্বেল হইয় উঠে তখন ভাব নিঃস্বাধতার আকার ধারণ করে । জনসমাজের শ্ৰীবৃদ্ধিকল্পে ইহারই বিশেষ هيه של הכל" ২৫ ও আবশ্যকতা । প্রাচীন ভারতে ব্ৰাহ্মণ যদি নিঃস্বাৰ্থ ভাবে ধৰ্ম্মতত্ত্ব অনুসন্ধান না করিতেন তাহা হইলে এখানকার ধৰ্ম্মশাস্ত্র কি গৌরবের উচ্চতম শিখরে আরোহণ করিত ? যখন রাজা প্রজা সকলেই বিপক্ষের দুৰ্নিবার হস্তে পরাস্ত তখন সেই সামান্য স্ত্রীলোক এককালে আত্মবিস্তৃত এবং জাতিসারণ স্বাধীনতা রক্ষায় উন্মত্ত হইয়া,যদি হৃদয়ের আবেগে যুদ্ধে প্রবর্তিত না হইতেন তাছা হইলে কি আমরা ফ্রান্সকে এখন দেখিতে পাইতাম । কোন বাল-বিধবা সুদৃঢ় সংকল্পে স্বাৰ্থ পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক হৃদয়ে লোকান্তরিত পতির পবিত্র স্মৃতিকে যে অকলঙ্কিত ভাবে রক্ষা করে জনসমাজ কি তত্তজন্য তাহার নিকট ঋণী নয় ? ফলত নিঃস্বর্থ ভাবই সকল প্রকার উন্নতির মুল । সাধারণ লোক ইহাকেই গৌরব-দৃষ্টিতে দেখে এবং ইহাকেই পূজা করে । হিন্দু জাতির এই মহোৎসবের প্রকৃতিতে কেবলই নিঃস্বাৰ্থ ভাব । তিন দিবস পর্য্যন্তই যে ইহার ব্যাপ্তি তাহ নহে, প্রত্যুত ইহা হিন্দুসমাজকে স্বীয় প্রভাবের এমনি আয়ত্ত করিয়া থাকে য়ে, উৎসব-কাল অতীত হইলেও হিন্দুজাতির মনে দয়া স্নেহ ও ভক্তি প্রভূতি উৎকৃষ্ট ভাব সকল ব্যাপক কাল তাধিপত্য করে । এমন কি, বিশ্বধাত্রীকে এই হৃদয়াঞ্জলি দিবার উদ্দেশেই ধৰ্ম্মনিষ্ঠ ভক্তিমান হিন্দুমাত্রেরই কৰ্ম্মক্ষেত্রে বিচরণ । গৃহের যিনি পিতা, তিনি তিন দিবস কঠোর উপবাস-ব্রত গ্রহণ করিয়াছেন, পুত্র কন্যাদির শুভ সংকল্পে গললীকৃতবাসী হইয়া দেবীর নিকট প্রার্থনা করিতেছেন, ইহা দেখিলে কোন হৃদয়বান পুর, তাহাকে উপেক্ষা করিতে পারে গৃহের যিনি জননী, তিনি ংযত হইয় দেবীর মৃন্ময়ী মূৰ্ত্তির নিকট উপবিষ্ট, তাহার হস্তে ও মস্তকে শরাবপুর্ণ ," wo, f wij', # ",