পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

« هډو ډ پfپRpچ' দেশমুরাগের প্রকৃত পদ্ধতি কিৰূ Z { | 3)

S AAAAAA AAAA AAAA AAAA AAAAMAMMMA AAMMMATTDDGMMMM ও কীটাণুর মধ্যে অসংখ্য জীবশ্রেণী আছে তেমনি ঈশ্বর ও মনুষ্যের মধ্যে অসংখ্য জীবশ্রেণী আছেন তাহারা দেবতা শব্দের বাচ্য । তাহারা আমাদিগের অপেক্ষা জ্ঞানধৰ্ম্মে উন্নত, তাহারা আমাদিগের অপেক্ষা অমৃত-প্রস্রবণ পরমেশ্বর হইতে অধিকতর অমৃত পান করিতে সক্ষম । সেই দেবলোকের শোভা ও সৌন্দৰ্য্য আমাদিগের মনের অতীত; সেখানকার অনাহত সুগভীর নিত্য সঙ্গীত-মাধুরী আমরা কল্পনা করিতেও সক্ষম নহি। এই দেব-লোকের সমস্ত অলোঁকিক অনিৰ্ব্বচনীয় ব্যাপারের নিয়ন্ত পর মেশ্বর । ক্রমশঃ t,=¿*-* বর্তমান হিন্দ সমাজের ভাবগ উপলক্ষে দেশানুরাগের প্রকৃত পদ্ধতি কিৰূপ।” সভাপতি মহাশয় ! সভ্য মহাশয়গণ । সে প্রশ্নের মীমাংসায় আমি অদ্য হস্তক্ষেপ করিয়াছি তাছা নিতান্ত সহজ ব্যাপার নহে । ইহার এক পক্ষে ক্ৰন্দন, এক পক্ষে হাস্য এবং এক পক্ষে বিভীষিকা মুখ ব্যাদান করিয়া রহিয়াছে। যাহারা ক্ৰন্দনপক্ষীয় তাহারদের মুখে এইরূপ শুনা যায় যে, “হায় ! তোমরা কি ছিলে কি হইয়াছ ! তোমরা যে আপনাদের লোকের হিত পরামর্শ অনুসারে চলিবে, আপনারদের দেশের সুবুদ্ধি এবং শোভন রুচি অনুসারে চলিবে, স্বদেশের কোন মঙ্গল অনুষ্ঠানে তোমরা যে আপনারদের যত্ন, আপনারদের অধ্যবসায়, আপনারদের মনের ছবি অঙ্কিত দেখিবে, সে পথ জন্মের মত রুদ্ধ হইয়া গিয়াছে । তোমরা

  • বাটন সভাতে পঠিত।

で | LSLS MS AAMT MMS MA TS AggS MAAAA যে আপনার দেশকে আপনার বলিয়া সম্বোধন করিবে সে দিন জন্মের মত অস্তমিত হইয়াছে ! তোমারদের দেশের মস্তকের উপরে একটা প্রকাণ্ড গ্নেপক্ষী উড্ডীয়মান হইতেছে, তাহার এক পক্ষে পরবুদ্ধি, অন্য পক্ষে পররুচি, এবং নখচঞ্চুতে পরপ্রভুত্ব, তোমারদের আর পরিত্রাণের উপায় নাই ।” র্যাহার হাস্যপক্ষীয় তাহারা বলিবেন যে, শ্বোন পক্ষীটির উদ্দেশ্য যে কিছু মন্দ তাহা নহে বরং যুক্তিতে এইরূপ পাওয়া যায় যে, তোমাদের দেশের মস্তকে হস্ত বুলাইয়া তহিকে আশীৰ্ব্বাদ করিবেন,অথবা সুবিস্তীর্ণ পক্ষদ্বয়ের ছায়া বিস্তার করিয়া তোমারদের দেশের অঙ্গ শীতল করিবেন, এইরূপ কোন সুমহং মঙ্গল অভিপ্রায়েই হার অত্রস্থানে শুভাগমন হইয়াছে ! এ আর তুমি বুঝিতেছ না ! তাত এব দেশের মহা-মহোৎসবে যোগ দেও,উন্নতি উন্নতি বলিয়৷ নৃত্য কর, শক্তের পদধূলির তিলক এবং ফোটা করিয়া ললাট ধারণ কর,এবং অশক্তের নত মস্তক পদ দ্বারা দলন কর, এই সকল কর যে, উনবিংশতি শতাব্দী তোমার উপরে প্রসন্ন হইবেন । বৃথা আক্ষেপ করিয়া কালক্ষেপ করিলে তাহাতে হইবে কি ? আবার তাও বলি, দেশানুরাগ এই যে একটা লম্ব চৌড়া শব্দ মুখে উচ্চারণ করিতেছ, এ দেশে তাহার দাড়াইবার স্থান কোথায় ? এ দেশ কি তো মারদের আপনারদের দেশ, না তোমারদের পরামর্শ লইয়া এদেশের কোন কার্য্য হয়, না কোন কালে হইবে তাহার সম্ভাবনা আছে ? এ বড় অস্তুত কথা, মাথা নাই তার মাথা ব্যথা ; দেশানুরাগ ত আলেক-লতা নহে যে, তাহ শুদ্ধ কেবল বাতাসের উপরে জীবন ধারণ করিয়া বৰ্ত্তিয়া থাকিবে । কোম্পানির বাগানের বড় বটবৃক্ষটি ত দেখিয়াছ, দেশানুরাগ সেই প্রকার বটবৃক্ষ । তাহার