পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাৰ্ত্তিক ۹ و«« னை டிடி-டிங்க அர்கன்-ம் வ হ্মের শ্রবণ, মনন, নিদিধ্যাসন করিবেক এবং তদ্ভিন্ন তিনি নানা প্রকার লৌকিক দৃষ্টান্ত ও ন্যায়ের দ্বারা ব্রহ্মজ্ঞানোপদেশ করেন । এইরূপ তর্ক ও যুক্তি প্রভৃতি হৃদয়ঙ্গম-যোগ্য ব্রহ্মবিগতিনিষ্ঠ বেদ-বাক্যের সহায় । বেদ ত্যাগ করিয়া তাহারা তদ্রুপানুভূতি উৎপাদনে স্থপারগ হয় না । সুতরাং তাদৃশ স্থলে তাহদের মর্যাদা নাই। কেননা কঠ শ্ৰুতিতে আছে “অতৰ্কমনুপ্রমাণাৎ ।” পরমাত্মা তর্ক দ্বারা অগম্য। “নৈষা তর্কের্ণ মতিরাপনেয়৷ ” বেদাগম-প্রতিপাদ্য ও আত্মাতে উৎপন্ন যে ব্রাহ্মী মতি তাহ। তকেতে পাওয়া যায় না । অতএব বেদের অবিরোধি ও তদনুগত তর্কানুমানাদি বেদান্ত বিচারে অবলম্বিত হইবার বাধা নাই । বিশে- | যতঃ বেদন্তি-প্রতিপাদ্য রেহ্মজ্ঞান যখন হৃদয়ে লগ্ন হওয়া প্রয়োজন, তখন তক ও যুক্তি পিনা অনুভব ও অবধারণ হয় না। শিষ্যের কেবল শ্রতি উচ্চারণ বা কণ্টস্থ করিয়৷ শ্ৰত্যর্থ হৃদয়ঙ্গম করিতে পারে না । সুতরাং তাদৃশ হৃদয়ঙ্গম কর্ঘ্যে শ্ৰুতর্থের শ্বটত নিমিত্তে তর্ক, যুক্তি প্রভৃতি পুরুষ-বুদ্ধির সাহায্য প্রয়োজন । কিন্তু যুগ যজ্ঞাদি ক্রিয় কৰ্ম্মে বেদ-মন্ত্রের তাদৃশ হৃদয়স্পর্শী ফটতার প্রয়োজন নাই। সেরূপ স্থলে মস্ত্ৰোচ্চারণ পূর্বক পদ্ধতি শেষ করিতে পারি লেই হয় । কঠোপনিষদে পঞ্চমী বল্লীতে ঋগ্বেদীয় চতুর্থ মণ্ডলের চত্বারিংশ অনুবাকের পঞ্চম সূক্তের একটি যজ্ঞীয় মন্ত্র আছে, যথা “হংসঃ শুচি সন্ধস্থ রপ্তরিক্ষসদ্ধোতা বেদিযদতিথি ছু রোণসৎ নৃষদ্ধরসদৃতসদ্বোমিসদজা গোজ ঋতজ ঋতং রহৎ ।” k * * যজ্ঞানুষ্ঠান-কালে অর্থজ্ঞান বা তাহার গভীর তাৎপর্য্য হৃদয়ে ধারণ না করিয়াও পুরোহিত, ঐ মন্ত্র পাঠ করিতে পারেন। কেন না, নিয়মরক্ষা বা ফল-কামনা উদেশ | 钴 কিন্তু । করিয়া যত যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় তাহাতে পদ্ধতি অনুসারে মন্ত্রগুলি পাঠ করাই প্রয়োজন । তাহার তাৎপর্য্য হৃদয়ে ধারণ প্রয়োজন নহে। অতএব উক্ত হইয়াছে যে ধৰ্ম্ম-জিজ্ঞাসায় কি না কৰ্ম্মকাণ্ডে পুরোহিত ও যজমানগণ বেদের দাসত্ব করেন । বেদে যাহা আছে বিনা তর্কে বিনা যুক্তিতে,বিন বোধে তাহাই পাঠ করিয়া থাকেন। সে জন্য ধৰ্ম্ম-ক্রিয়ায় বেদই একমাত্র প্রমাণ । সেখানে তব যুক্তি, বিচার,অনুমান প্রভূতির প্রবেশাধিকার নাই। মানবের অন্তঃকরণের যে ভাবটি ঐ প্রকার ক্রিয়ায় আধিপত্য করে তাহ প্রবৃত্তি ও কামনা মাত্র। তাহা বুদ্ধি যুক্তি বা অনুভব নহে | কিন্তু “অনুভব বসনিয়াস্তবস্তৃবিষয়ত্বাচ্চ ব্রহ্মদিস্তানস।” নিত্য বস্তু বিসয়দ জ্ঞান অনুভবেতেই পৰ্য্যবসিত হয় । ব্রহ্মজ্ঞান অনুভবেতেই লীন হইয়া থাকে । 鲇 তাৎপর্য গ্রহণ ব্যতীত বেদমন্ত্র ধারণ করেন ন । উপরি উক্ত "হংসঃ अञ्चठ्ठ' ইত্যাদি মন্ত্র পাঠ দ্বারা যে স্থলে কৰ্ম্মী ক্রিয়। সম্পন্ন করেন সেখানে ব্রহ্মজিজ্ঞাস্তু তাহার প্রত্যেক অক্ষর ভেদ পূর্বক ব্ৰহ্মরূপ পরম .-്- په فني چينج =وم= ব্রহ্মজিজ্ঞাসু ব্যক্তি তাৎপর্য্যকে হৃদয়ে ধারণ করেন । যথা -- “হংস” গচ্ছতি – পরমাত্মা সৰ্ব্বত্রগামী, “শুচিযৎ” শুচৌ দিবি ত্যাদিতাত্মন। সীদতাঁতি, তিনি সূর্ণরূপে কি না সূর্য্যের বরণীয় রূপে তাকাশে গমন করেন, তিনি ‘বস্থ? বাসয়তি সৰ্ব্বণিতি, তিনি সকলকে তাপনাতে বাস-স্থান দেন ‘অন্তরীক্ষসৎ বায়াত্মন অন্তরীক্ষে সীদতাতি, তিনি বায়ুরূপে ੇ ག། বায়ুর নিয়ামকরূপে অন্তরীক্ষে গমনাগমন করেন। তিনি “হোতা” কিনা অগ্নির স্বরূপ হয়েন অর্থাৎ তিনি হোমীয় অগ্নির প্রভাবস্বরূপ। "বেদিসৎ" বেদ্যাং পৃথিব্যাং সীদতীতি,তিনি পৃথিবীর অধিষ্ঠাত্রী দেবতা হইয়৷