পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

___ _ ബ ബ _ _ _ _ == ബ ബ്ബ് -ജ_ _ * যজ্ঞাদি করা না করা পুরুষ-প্রবৃত্তির অধীন, কিন্তু সত্য ঈশ্বরের যজ্ঞাদিতে যে আবির্ভাব আছে তাহার যদি প্রত্যক্ষানুভব হয় তবে । সে অনুভবরূপ জ্ঞানকে হৃদয়-নিহিত ব্রহ্মরূপ বস্তুপরতন্ত্র বলিতে হইবে। তাহ ব্ৰহ্মরূপ বস্তুরই আশ্রিত, বেদ তাহার সংবাদ দেন মাত্র কিন্তু জনক বা কারণ নহেন । যজ্ঞাদি সেই জ্ঞানকে স্মরণ করিয়া দিতে পারেন, কিন্তু জন্ম দিতে পারেন না । জগজন্মদি-কারণ-বাদরূপ যুক্তি সেই জ্ঞানলাভে সাহায্য করিতে পারে কিন্তু উৎপত্তি করিতে পারে না । যেমন যজ্ঞাদি করা না করা পুরুষ-প্রবৃত্তির অধীন সেইরূপ কোন তত্ত্ব সম্বন্ধে সংশয় নিশ্চয়াদিও পূরুষ-বুদ্ধির কাৰ্য্য । তুমি একটা স্থাণুকে চৌর বা প্রেত জ্ঞান করিতে পার । একজন চৌরকেও একটা স্থাণু বলিয়। মনে করিতে পার । স্থাণুতে যে চেীর বা প্রেত-জ্ঞান তাহ স্থাণু পরতন্ত্র নহে। চোরে যে স্থাণুবোধ তাহাও চৌরাশ্রিত জ্ঞান নছে । সে সকল চাতুস্কেটিক সংশয় তোমারই মনোবুদ্ধির রচন। কিন্তু বস্তুর যথার্থ জ্ঞান তদ্রুপ নহে । তাহাকে মন বা বুদ্ধি রচনা করে না, শাস্ত্রও তাহাকে জন্ম দেয় না । তাঁহ একমাত্র বস্তু-পরতন্ত্র, বস্তু হইতেই প্রকাশিত হয় । মনোবুদ্ধি কেবল তাহার অভিজ্ঞাপক মাত্র কিন্তু কারণ নহে। স্থাণুতে স্থাণু জ্ঞানই স্থাণুর তত্ত্বজ্ঞান । চৌর বা প্রেত-জ্ঞান স্থাণু-বিষয়ক তত্ত্বজ্ঞান নহে। •ব্রেহ্মেতে ব্ৰহ্মজ্ঞানই ব্ৰহ্মজ্ঞান। ব্রহ্মকে অন্য কিছু জ্ঞান বা অন্য কিছুকে ব্রহ্মজ্ঞান ব্রহ্মজ্ঞান শব্দের বাচ্য নহে । হৃদয়ঙ্গম করিয়া জীবের আত্মারূপে ব্রহ্মের যে জ্ঞান পাওয়া যায় তাহাই প্রত্যক্ষ ব্ৰহ্মজ্ঞান, প্রত্যক্ষ না হইলে তাহাকে ব্ৰহ্মজ্ঞান বলিব না। ধিনি স্বাক্টর কর্তা তিনি ব্রহ্ম, এরূপ বোধ যুক্তি ও সাধুসঙ্গ পাপীর সংশোধনের প্রধান উপায় هدهد» S< დ: অনুমান-পরতন্ত্র । সে ব্রহ্ম নরবুদ্ধির রচন14 সে বোধে তিনি লক্ষিত হন মাত্র কিন্তু প্রত্যক্ষ হন না, কেবল ভক্তের হৃদয়ে আত্মা রূপেই প্রত্যক্ষ হইয়া থাকেন । ক্রমশঃ সাধুসঙ্গ পাপীর সংশোধনের প্রধান উপায়। (পূৰ্ব্ব প্রল শিল্পের পর) জড়-সহবাস নিবন্ধন আমাদিগের মন স্বভাবতঃ ইন্দ্রিয়-গ্রাহ পদার্থ সকলেই অধিকতর অীকৃষ্ট হয়। অতীন্দ্রিয় তত্ত্ব সকল তামীদিগের চিত্তবৃদ্ভিকে সমানরূপে অধিকার করিতে পারে না । আমরা যথম সংসারে প্রবেশ করি, সাংসারিক উপভোগ সকল তামোদিগের মনকে এমনই অকৰ্ষণ করে যে, আমাদিগের পরমর্থিক কোমল ভাব সকল বিশেষরূপ স্বৰ্ত্ত হুইবার অবসর ব! রুযোগ পায় না, ক্রমশঃ নিষ্প ভ হইয়া যায় । অমর সাংসারিক লাভালাভ গণনায় নিয়ত সব্যাপার থাকিয়া প্রকৃত লাভনীয় পদার্থ যে ঈশ্বর,“যংলব্ধ চাপরং লাভং মনতে নাধিকং ততঃ” র্যাহাকে লাভ করিলে অন্য কোন লাভ তদপেক্ষা অধিক বলিয়া বোধ হয় না,তাহাকে ভুলিয়া যাই । সাংসারিক মোহ আমাদিগের সমুদায় কামনাকে আয়ত্ত করিয়! ফেলে। কিন্তু সাধুসঙ্গ এই দুৰ্গতি নিবারণের একটী অতি প্রধান সাধন। যে ভাগ্যবান পুরুষ সাধু আত্মার স্বাভাবিক সৌন্দৰ্য্য উজ্জ্বল রূপে অনুভব করিয়া তৎপ্রতি আসক্তি স্থাপন করিতে সক্ষম হইয়াছেন, তাহার উদ্ধারের পথ পরিষ্কৃত হইয়াছে। যেমন জড় প্রকৃতির সৌন্দৰ্য্য স্বীয় অভ্যন্তরে ঈশ্বরের হস্ত আমাদিগকে প্রদর্শন করায় অধ্যাত্মিক জগতের সৌন্দৰ্য্য সকলও আমাদিগকে সেই