পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

る8 - -یه س- اما -مصیسم

  • -- -

প্রতি-শাখা প্রশাখা জন্মভূমিতে মাথা সঁপিয়৷ দিয়া, সেই জননীর আশীৰ্ব্বাদে নুতন বলবীৰ্য্য ধারণ পূর্বক আকাশাভিমুখে উত্থান করে ; এইরূপে তাহা ক্রমাগত জন্মভূমির সহিত শাখা-প্রশাখার যোগ রক্ষা পূর্ববক আপনার মঙ্গল-রাজ্য বিস্তার করিতে থাকে । তোমারদের যে দেশানুরাগ তাহা বিদেশ হইতে জাবিক লাভ করিয়া আপনার পুষ্টি সাধন করিতেছে, জন্মভূমির সহিত তাছার কোন সম্পক নাই, তাহার আর কত ভাল হইবে ! তোমারদের দেশানুরাগ কিরূপ ? ন। যেমন ঘরে বসিয়া রাজা উজীর ধ্বংশ করা, অথবা বীর সেনাপতি সাজিয়া নাট্যশালায় দাপিয়া বেড়ানো, অথবা শুগাল হইয়। সিংহের বিক্রম প্রদর্শন করা, ইহার অধিক আর কিছুই নহে ।” বিভীষিকাপক্ষ চক্ষু রাঙাইয়। বলেন এই “দি বলিতে ছ ? দেশানুরাগ ! তোমর। পূর্বে তণ্ডলাহারী মূদিক ছিলে, এক্ষণে ম’সাশী বিড়াল হইয়াছ, তাহাতে ও সন্তুষ্ট নছ, তোমর। সিংহের ভক্ষা সাম গ্রীতে হস্ত বড়াইতেছ! তোমারদের ওই একবিন্দু থবি৷ আর সিংহের এই প্রকাও থাব, এ সেয়ের মধ্যে কত প্রভেদ তাহ বুলি এখনো তোমারদের জাম হয় নাই । অত ৭ব রসনাকে সংযত করিয়া সাবধানে কথা কহি ও । তোমর দুর্বল বলিয়া তোমারদের সাতখুন মাপ ছইয়াছে, এইবার সাবধান ! এই তিন পক্ষ আপাতত আমার চক্ষে পড়িয়াচ্ছে, আরে! কত পক্ষ কত প্রতিপক্ষ এখানে উপস্থিত ব; অনুপস্থিত অাছেন, কে গণনা করিয়া বলিতে পারে । এমন অনেক ব্যক্তি আছেন, যাহার কোন পক্ষেই নহেন । ইহারদের মনের সেটি রোগ, তাহাকে পক্ষাঘাত বলিলেও বলা যায় । আবার (৭মন ব্যক্তি ও অমেক আছে যাহার, চক্ষু কৰ্ণ বুজিয়া এক - তত্ত্ববোধিনী পত্রিক - ले कह्न, ७ सो' পক্ষেই কায়মনোবাক্যে ঢলিয়া পড়েন; ইহারদের যেটি রোগ তাহার নাম পক্ষপাত । পক্ষাঘাত এবং পক্ষপাত মনের এই যে छूर्छि রোগ, তাহা একেবারে আরোগ্য হওয়া সুকঠিন । তবে পীড়ার যাহাতে অনেক সাম্য হইতে পারে, তাহার একটি উপায় আছে। কি ? না পক্ষে পক্ষে সংঘর্ষণ । অামার পক্ষে যাহা বলিবার আছে আমি তাহ বলিলাম,প্রতিপক্ষের যাহা বলিবার অাছে তিনিও তাহা বলিলেন, আমিও তাহাকে বেদন দিতে ছাড়িলাম না, তিনিও আমাকে বেদন দিতে ছাড়িলেন না ; ইহারই নাম পক্ষে পক্ষে সংঘর্ষণ। এটি যেন মনে থাকে যে, বেদন হওয়াট। শুভ চিহ্ন | র্যাহারদের নে পক্ষাঘাত নিতান্ত বদ্ধমূল হইয়াছে, তাহারাই বেদনা উপলব্ধি করেন না। অ! মীর প্রতিপক্ষগণ তামার নিকট হইতে যেমন বেদন পাইবেন তেমনি উপকার ও পাইবেন, একথা আমি সাহস করিয়। বলিতে পারি। এইরূপ আবার প্রতিপক্ষগণের নিকট হইতে আমি বেদনা পাইব, এ ভয়ও আমার আছে এবং উপকার পইব, এ আশাও আমার তাছে। এইরূপ তুই দিক্‌ দেখিয়া আমি অদ্যকার কর্ঘ্যে প্রবৃত্ত হইয়াছি । এক্ষণে সভাপতি এবং সভ্যমহাশয়গণের প্রতি আমার নিবেদন এই যে, তাহারা আমার স্পৰ্দ্ধদোষ মার্জনা পূর্বক মুক্ত-হৃদয়ের কথা গুলির প্রতি সদয় কর্ণপাত করেন । অামারদের দেশে এক্ষণে জ্ঞানের ক্রমশই উন্নতি হইতেছে ইহা অামি মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করি, কিন্তু যদি বল যে, তাহার সঙ্গে সঙ্গে আমারদের দেশের শ্ৰীবৃদ্ধি হইতেছে, তবে সে কথায় আমি কখন হা দিতে পারি না । আমারদের দেশের জ্ঞানোন্নতি সম্বন্ধে অনেকে কেবল ইহাই বলেন, “আছা জ্ঞানালোকে আমারদের দেশের রাশি রাশি