পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8s তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা । o A.' _ _ க அக்க - alo. _ _ _ _ _ ug: _கே - __ যেমন যথার্থ দৃষ্টি স্থাণুকে স্থাণুরূপেই দেখায়। কিন্তু জন্ম দেয় না। ব্যভিচারিত দৃষ্টি বশত মনোবুদ্ধি যেমন স্থাণুর অবলম্বনে চেীর বা প্রেতকে জন্ম দেয়, সেইরূপ হৃদয়ে छूर्छिবিরহিত মনোবুদ্ধির নানা ব্ৰহ্ম ও নানা যজ্ঞ স্থষ্টি করিয়া প্রকৃত অনুভবসিদ্ধ ব্রহ্মকে আচ্ছাদন করে। অতএব হৃদয়ে দৃষ্টি শিক্ষা দিবার নিমিত্তেই বৈদাস্তিক প্রস্থানের অভু্যদয় । বেদান্ত-বাক্য সকলের হৃদয়-গ্রাহিত । ংস্থাপন করণোদেশে মহর্ষি ব্যাসদেব তৎসমূহকে সূত্রে গ্রথিত করিয়া বিচার কারয়াছেন । তিনি বেদবাক্য ছাড়িয়া কেবল যুক্তির হার রচনা করেন নাই। শ্ৰীমান শঙ্করাচার্য্য কহিয়াছেন, “ তন্মাজন্মদিসূত্ৰং নানুমানে}পন্যাসাৰ্থং, কিং তহি বেদাস্তবাক্যপ্রদর্শনাৰ্থং” এই সূত্রটি অনুযান অর্থাং যুক্তি ও তর্কাদি উপন্যাসার্থ রচিত হয় নাই। কেবল বেদান্তবাক্যের প্রতিপাদ্য হৃদয়-নিহিত প্রসিদ্ধ আত্মাকে পঞ্চকোস ভেদ পূর্বক দেখাইবার জন্যই রচিত হইয়াছে । এই সূত্রে যে বেদন্তিপাক্য লক্ষিত আছে তাহার নাম “বরুণী বিদ্যা” । আহ তৈত্তিরীয় শ্রীতির ভৃগুবল্লীতে, ভৃগুবরুণ সম্বাদে প্রকাশ আছে। সূত্রের মৰ্ম্ম-সমাহারের নিমিত্তে এস্থলে তৎপ্রকরণগত লাৎপর্য্য দেওয়৷ মাইতেছে। ভৃগু স্বীয় পিতা বরুণের নিকট গমন পূর্বক কহিলেন, হে ভগবন! আমাকে ব্রহ্ম কি বুঝাইয়া দিন। বরুণ র্তাহাকে কহিলেন, “ঘরে। ইমনি ভূতানি জায়স্তে । যেন জাতানি জীবস্থি সংয়স্তাভিসন্ধিশস্তি । তদ্বিজিজ্ঞাসম্ব । তদু ব্রহ্মেতি ৷ ” l র্যহা হইতে এই ভূত সকল উৎপন্ন হয়, উৎপন্ন হুইয়া র্যাহার দ্বারা জীবিত রহে এবং প্ৰলয়-কালে র্যাহার প্রতি গমন করে ও i | জানিতে ইচ্ছা কর তি d في نه= 臀 அடி_? l t मेि डच ।। ५्रछ् শ্রীতিতে ব্রহ্মের স্বরূপ-লক্ষণ , নাই । ইহাতে কেবল তটস্থ-লক্ষণ দ্বারা ব্ৰহ্মকে লক্ষ্যমাত্র করিতেছেন । ব্রহ্ম কি তাহ বলিলেন না। কিন্তু বলিয়া রাখিলেন “তদ্বিজিজ্ঞাসস্ব” বিশেষেণ জ্ঞাতুমিচ্ছস্ব-উীহাকে বিশেষরূপে অর্থাৎ হৃদয়ের দ্বারা জানিতে ইচ্ছা কর । সামান্যরূপে জানিলে তঁাহাকে বুঝা যাইবে না। পিতার বাক্য গ্রহণ পূর্বক ভূগু তপস্যা করিতে লাগিলেন। অর্থাৎ নিয়ম পূর্বক চিন্তা ও সন্ধান করিতে লাগিলেন যে, র্যাহা হইতে সৰ্ব্বভুত জন্মগ্রহণ করে—জন্মিয়৷ জীবিত রহে, এবং র্যাহীতে অন্তে লীন হয় তিনি কি রূপ ? কিন্তু ভূমি, ধান্য, সুন্দর ও বলিষ্ঠ দেহ, পুত্র ও বিত্ত প্রভৃতি ভোগকামনাশীল মূঢ়েরা যেমন মনোবৃত্তি বা ধৰ্ম্মপ্রবৃত্তির উন্নতি ত্যাগ করিয়া কেবল ভোগবস্তুতেই আকৃষ্ট হয় সেইরূপ ভৃগু প্রথমেই অল্পের মহিয। কর্তৃক আকৃষ্ট হইলেন । গ্রন্থ শব্দে সমস্ত ভোগ্য বস্তু। পৃথিবীর সহিল পঞ্চ স্থলভূত ও তস্থৎপন্ন ফলশস্য এবং ফু ধর মাংসাদির আপার জীবদেহ সকলই অল্প শব্দের বাচ্য । এই বেদান্তমীমাংসা শাস্ত্রে (২ অঃ ৩ পাঃ ১২ সূঃ) মহর্ষি ব্যাসদেব মী মাংসা করিয়াছেন “পৃথিব্যধিকাররূপ শব্দান্তরেভ্যঃ” অন্ন শব্দে স্থল পৃথিবীই, ফলশন্থ গ্রহণ করিলেও কাৰ্য্যকারণ লক্ষণায় সেট পৃথিবীই মূল অন্ন। বিশেষতঃ বেদে নির পণ করিয়াছেন যে, পরমাত্মা হইতে সূক্ষ প্রপঞ্চাদিক্ৰমে স্থল আকাশ, আকাশ হইতে বায়ু, বায়ু হইতে অগ্নি, অগ্নি হইতে জল জল হইতে পৃথিবী, পৃথিবী হইতে উদ্ভিজ্জ উদ্ভিজ্জ হইতে অন্ন, অন্ন হইতে শুক্র, শুে হইতে পুরুয় উৎপন্ন হয় “সবাএষ পুর ষোহমরসময়ঃ ৷ ” সেই পুরুষ অন্নরকে যাহতে প্রবেশ করে তাহাকে বিশেষরূপে } বিষ্কার । , 編