পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$8b

  • { % - 尊 o l - |

তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা - , @ 寧國。曹 @f骨 ছিলেন । অবশিষ্ট তিন ব্যক্তি সকলেই ব্রাহ্মণ ছিলেন । ব্রত এবং মৈত্রেয় এই নামস্বয়ের পরিবর্তে ‘অচল ভ্রাতা" এবং "মেতাৰ্য্য” নামস্বয় দৃষ্ট হয় | # উপরি উক্ত একাদশ জৈনই মহাবীরের সহিত বিষম বিবাদে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন, কিন্তু পরাস্ত হইয়া স্ব-ধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করেন । মহাবীর স্পষ্টাক্ষরে বিশদরূপে তাহাদিগকে বুঝাইয়া ছিলেন যে, ইন্দ্রিয় জ্ঞানের আধার হইতে পারে না, যে হতু ইন্দ্রিয়-নাশে ইন্দ্রিয়-জন্য জ্ঞান নাশ হয় না ; কৰ্ম্মের সত্তা অবশ্য স্পীকার করিতে হইবে,যেহেতু পাপ পুণ্যের উৎপত্তি দেখিতে পাওয়া যায় এবং পাপ পুণ্যাদি কৰ্ম্মের ফল , পাপ পুণ্যাদি কৰ্ম্মের অধীর স্বরূপ জীব পদার্থ অবশ্যই বৰ্ত্তমান আছে, যেহেতু পাপ পুণ্যের ফলভোগ হইয়া থাকে এবং জীবন থাকিলে কে ফলভোগ করিবে? পরলোকের অস্তিত্ব অবশ্ব মানিতে হইবে । এই প্রকার বিবিধ প্রকার সন্দেহ নিরসন দ্বারা মহাবীর তাহাদিগের মন এত বশীভূত করিয়াছিলেন যে, তাহারা সকলেই তাহার ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইয়। তৎপ্রচারে দৃঢ়ব্ৰত হইলেন । মহাবীর অহিংসাকে পরম ধৰ্ম্ম বলিয়া স্বীকার করিতেন । র্তাহার মতে শারীরিক ক্লেশ সহ করা মনুষ্যের উচিত, কিন্তু তাই বলিয়া দেহের উপর স্বয়ং কোন অত্যাচার করা কর্তব্য মহে । অন্যের শরীরের প্রতিও স্বেরূপ সদয় ব্যবহার করিতে হইবে, নিজের শরীরের প্রতিও তদ্রুপ করিতে হইবে। এই পরম বাক্য অনুসরণ করিয়া তিনি যখন বজ্রভূমি, শুদ্ধভূমি প্রভৃতি অসভ্য প্রদেশে ভ্রমণ করিয়াছিলেন তৎকালে বোধ হয় অকম্পিত স্বধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া কোন কোন স্থলে অচল- । তত্ৰত অসভ্য জাতিদিগের কটুক্তি এবং প্রহার অম্লান বদনে সহ্য করিয়াছিলেন । তাহাদিগের উপর তাহার অসন্তোষ ব৷ ক্রোধের লেশমাত্রও উদয় হয় নাই। তিনি বলিতেন সুমৃত বাক্যের ন্যায় উপাদেয় পদাৰ্থ । জগতে আর দ্বিতীয় দৃষ্ট হয় না। সর্বদ সত্যভাষী হওয়া উচিত, মিথ্যা কথা বিষবৎ পরিত্যাগ করা কর্তব্য। অন্য ব্যক্তির কোন সামগ্রী অপহরণ করা অতি গহিত কৰ্ম্ম । ংসারের শেষ সীমা নাই; সংসার-ক্ষেত্রের যে দিকেই দৃষ্টি নিক্ষেপ করিবে সেই দিকেই অনন্ত অপার দেখিতে পাইবে, সৰ্ব্বত্রই মায়া-মরীচিকায় প্রলোভিত হইবে। জীব বিবেক-শক্তির যথোচিত পরিচালনা করিতে এবং সৰ্ব্বক্ষণ অবহিত চিত্তে যাপন করিতে সক্ষম হয় না এবং তন্নিমিত্তই মায়াজালে জড়িত হইয়া পড়ে । মায়াজালে জড়িত হইলে জীব পাপপঙ্কে পতিত হইয়: ক্রমশঃ অধোগামী হইতে থাকে । অতএব যদি আমরা উন্নতির আশা করি তাহা হইলে বিবেক-শক্তির চালনা পূর্বক কৰ্ম্মসমূহের ফলাফল বুঝিতে চেষ্টা করিব এবং মায়াজাল ছেদন করিতে যত্নশীল হইব । সুতরাং সংসার-সাগরের বিবেক-শক্তি একমাত্র তরণী । মহাবীরের মহাবাক্যটি এই, সংসার-সাগরে অাছে নানা তরঙ্গ বিবেকী তরিতে পারে অবিবেকীর আতঙ্ক । বিবেক-তরণী তাহে মায়া সে ভুজঙ্গ কলুষ-হুতাশ তাহে কখন করে কি রঙ্গ । কোন ব্যক্তি যে জৈনধৰ্ম্মের প্রবর্তক তাহার নিশ্চয় করা দুঃসাধ্য। বর্তমান কালের প্রথম অর্থৎ ঋষভদেব। কিন্তু যখন । জৈনশাস্ত্রকারগণই ঋষভদেবের পূর্বে জন্য অৰ্হৎগণের উল্লেখ করিতেছেন তখন ঋষভ¢लवद्भक कंथमझे জৈনধর্মের, প্রবর্তক বলিডে এারা যায় না। পূর্বকালের প্রথম অস্থাৎ