পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अअं इॉब्र१ ४१** - -- TarunnoBot (আলাপ)- - - _ _काश्__ دسمبر কেবলজ্ঞানী যদি ধৰ্ম্ম প্ৰবৰ্ত্তক হইতেন তাহ হইলে জনগণ র্তাহার পূজা করিতেন এবং ধৰ্ম্ম প্ৰবৰ্ত্তক বলিয়া স্বীকার করিতেন। কিন্তু জৈনেরা তাহার পূজাও করেন না কিম্বা র্তাহাকে ধৰ্ম্মপ্রবর্তক বলিয়া স্বীকারও করেন না, কোন কালে তাহার পূজা চলিত ছিল কি না তাহার কোন স্থিরতাও নাই । অতএব যখন পূৰ্ব্বকালের প্রথম অৰ্হৎ জৈন সম্প্রদায় মধ্যে মান্য ও গণ্য নহেন,তখন তাহাকে কোন কারণেই জৈনধৰ্ম্মপ্রবর্তক বলা যায় না । ইদানীন্তন কালীন জৈনগণও কেবল কোন এক অহংকে পূজা করেন না, তাহাদিগের মধ্যে ও মতভেদ দৃষ্ট হয়। কোন শ্রেণী পার্শ্বনাথকে পূজা করেন এবং কোন শ্রেণী মহাবীরকে পূজা করেন । যাহারা পার্শ্বনাথ দেবকে পূজা করেন তাহাদিগের মতে ત્રામনাথ জৈনধৰ্ম্মপ্রবর্তক। যাহারা মহাবীরকে অর্চনা করেন তাহারা মহাবীরকে ধৰ্ম্মপ্ৰবৰ্ত্তয়িত বলিয়। স্বীকার করেন। জৈনশাস্ত্রে জিন বংশের বর্ণনাকালে উল্লিখিত হইয়াছে যে, পাশ্বনাথ ত্রয়োবিংশতিতম অহং এবং মহাবীর চতুর্বিংশতিতম অর্হৎ । পাশ্বনাথ }শতবর্ষ বয়ঃক্রম কালে সমেৎশিখরে এবং মহাবীর ৭২ বৎসর বয়ঃক্রমকালে অপাপ পুরীতে মুক্তিলাভ করেন । কল্পসূত্রানুসারে এই দুই ঘটনার মধ্যে ২৫০ বৎসর ব্যবধান ছিল। পাশ্বনাথের শিষ্যগণ শ্বেতবস্ত্র পরিধান করিত, কিন্তু মহাবীরের শিষ্যগণ দিগম্বর অর্থাৎ উলঙ্গ থাকিত । উভয় দলের মধ্যে সম্প্রীতি ছিল না। উভয় দলের লোক একত্র হইলেই বিবাদ ঘটিত । মহাবীরের সহচর গোশাল পার্থনাথের শিষ্যদিগের সহিত কেবল বিবাদ করিতেন। বিধাদের প্রধান কারণ পরিধেয় বস্ত্রভেদমাত্র। মহাবীরের বহুজন্ম গ্রহণের কথা মহাবীরচরিতে বর্ণিত আছে। পার্শ্বনাথ-চরিতেও ভগবদগীত হইতে শ্লোক সংগ্ৰহ כ"8צ l, umsima পাশ্বনাথের তীর্থঙ্করত্ব লাভের উপযোগী সমস্ত বিষয় বর্ণিত আছে । অতএব ইহাদিগের মধ্যে একজনকে পরিত্যাগ পূর্বক দ্বিতীয় জনকে জৈন ধৰ্ম্মের প্রবর্তক বলিতে আমরা সাহসী নহি । আমাদিগের মতে জৈনধৰ্ম্মের আদিম প্রবর্তকের কোন নিদর্শন প্রাপ্ত হওয়া যায় না । কিন্তু বহুদিন জৈন ধৰ্ম্মের মত সমৃহ সমাজে চলিতে আরম্ভ হইলে পর পাশ্বনাথ আবির্ভূত হয়েন এবং নিজ ক্ষমতা-বলে সমাজকে স্বকরস্থিত করিয়া নিজের সম্প্রদায় চালাইয়া যান । তৎপরে মহাবীর নিজের বুদ্ধিবলে বহু সংখ্যক শিষ্য সংগ্ৰহ করিয়া স্বনামের গরিম সাধন করেন এবং সমাজের অনেকে তাহার সম্প্রদায়ভুক্ত হয়েন । এইরূপে সম্প্রদায়-ভেদে জুই জন প্রবর্তক হইয়াছেন । কিন্তু বস্তুতঃ ইহার প্ৰবৰ্ত্তক নহেন, সমাজের নেতৃস্বরূপ । ইহা দিগকে দলপতি বলিলেও কোন দোষ হয় না। বুদ্ধদেব যেরূপ বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের প্রবর্তক তদ্রুপ জৈন ধৰ্ম্মের কোন প্রবর্তৃক দেখিতে পাওয়া যায় না । অৰ্হৎগণ কেবল মাত্র জৈনদিগের অীরাধা দেবতা । ভগবদগীত হইতে শ্লোক সংগ্ৰহ । ক্ষিপ্ৰং ভবতি ধৰ্ম্মাত্মা শশ্বৎ শান্তিং নিযচ্ছতি । কোস্তেয় প্রতিজানীহি ন মে ভক্ত: প্ৰণশ্যতি ॥ হে কৌন্তেয় ! তুরাচারও ঈশ্বরের অtরাধনাতে শীঘ্ৰ ধৰ্ম্মশীল হয় এবং নিরস্তর শাস্তি প্রাপ্ত হইয়া থাকে। তুমি সৰ্ব্বসমক্ষে আস্ফালন করিয়া বলিতে পার, যে, ঈশ্বরের ভক্ত কখনই বিনষ্ট হন না। भार হি পার্থ ব্যপাশ্রিত্য যেহপি স্থ্যঃ পাপযোনয়ঃ । ন্ত্রিয়োবৈশ্যাস্তথা পূজাস্তেহপি বাস্তি পরাং গতিং । অস্ত্যজ স্ত্রী, বৈশ্য ও শূদ্র সকলেই ঈশ্ব