পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভোগ করে। অতএব শাস্ত্রানুসারে বিজ্ঞান যখন অবচ্ছেদবিচ্ছেদে অন্ন, প্রাণ, ও মনের च्यछाढतराउँौं ८७धॐ °नार्थ उथम दिख्ळांमहे স্বষ্টি, স্থিতি ভঙ্গের কারণ ব্রহ্ম। ভৃগু কহিলেন, 蠟 বিজ্ঞানান্ধোব খলিমানি ভূতানি জায়ন্তে । বিজ্ঞানেন জাতানি জীবস্তি । বিজ্ঞানং প্রয়স্তাভিসন্ধিশস্তি ? বিজ্ঞান হইতে এই ভূত সকল উৎপন্ন হয়। উৎপন্ন হইয়। বিজ্ঞান দ্বার। জীবিত রহে এবং প্রলয়কালে বিজ্ঞানেতে গমন করে ও বিজ্ঞানেতেই প্রবেশ করে। ভৃগু এই রূপ সিদ্ধান্ত করিলেন । কিন্তু শাস্ত্রের প্রকৃত মৰ্ম্মের প্রতি দৃষ্টিপাত করিলেন না কেননা তৈত্তিরীয় শ্রুতিতে অবশেষে কহিয়াছেন যে, বিজ্ঞান ব্রহ্ম নহেন । কারণ বিজ্ঞান অপেক্ষ আনন্দময় জীব শ্রেষ্ঠ । “ব্রহ্ম পুচ্ছং প্রতিষ্ঠা” ব্ৰহ্ম তাহার প্রতিষ্ঠাস্বরূপ পুচ্ছ । বিশেষতঃ ঐতরেয় শ্রীতিতে যে “প্রজ্ঞানং ব্রহ্ম” কহিয়াছেন তাহার অর্থ এমত নহে, যে, মানবের প্রজ্ঞান অর্থাৎ বিজ্ঞানই ব্ৰহ্ম । তাহার প্রকৃত তাৎপৰ্য্য এই যে, মানবের বুদ্ধিতে যে পরম চৈতন্যের জ্যোতি অধিষ্ঠিত থাকাতে বুদ্ধি বিষয়ের জ্ঞান অবগত হয় সেই বুদ্ধিস্থ চৈতন্য প্রজ্ঞান শব্দের বাচ্য। তিনিই ব্ৰহ্ম । নতুবা বুদ্ধি ব্ৰহ্ম নহে । এইরূপে ঈশ্বরের বিভূতিজ্ঞানের অভাবে লোক সকল উপাধিকে ঈশ্বরস্থানীয় জ্ঞান করে। পূর্বকালে বেীদ্ধের সৰ্ব্বাপেক্ষ বুদ্ধিকেই প্রধান বলিয়া জানিয়াছিলেন । র্তাহার। যদিও বুদ্ধিকে ব্ৰহ্ম বলেন নাই কিন্তু জীব বলিয়া গ্রহণ করিয়াছিলেন। যথা পঞ্চদশীতে, চিত্রদীপে ৭৩ दिलांनभग्नष्कांदबां९ब्रः औद हेडाश्रमा ज७: । লৰ্ব্বসংসায় এত্তস্য জন্মমাশন্থখাদিকং। विख्नांनझे औद । cनहे औरदब्रहै यहे বেদান্ত-দশম } | f S &) × জন্ম বিনাশ, সুখ দুঃখরূপ সংসার। ঐযান্থ সদানন্দ যোগীন্দ্র স্বীয় বেদান্তসারে কছিয়াছেন যে,“বৌদ্ধস্ত অন্যোহন্তর আত্মা বিজ্ঞানময়”। বৌদ্ধের এই শ্রীতি অনুসারে মনের অভ্যস্তরবাসী বুদ্ধিকে আত্মা বলেন এবং প্রমাণ দেন যে,'কৰ্ত্তরভাবে করণস্য শক্তাভাবাং’ বুদ্ধিরূপ কৰ্ত্ত না থাকিলে মন, প্রাণ, ইন্দ্রিয় প্রভৃতি করণগণের শক্তির অভাব হইত। অতএব বৌদ্ধগণের মতে বুদ্ধি হইতে শ্রেষ্ঠ কিছু নাই । তিনিই কর্তা, তিনিই ভোক্তা, তিনিই জ্ঞান, তিনিই জ্ঞাত তিনিই জ্ঞেয়, তিনিই ভ্রাতা । তিনি ব্যতীত জগতের জন্মস্থিতি ভঙ্গের অন্য কারণ নাই । পূৰ্ব্বকালে বেীদ্ধের। যেমন বুদ্ধি পর্যন্ত উঠিয়া ক্ষন্ত ইয়াছিলেন, এই বর্তমান কালে রাজকীয় বিদ্যা-প্রভাবে ভারতবর্ষে আবার বুদ্ধিরই পূজা প্রচার হইয়। পড়িতেছে, অথচ অল্প প্রাণ এবং মনের আকর্ষণ তাহীর সঙ্গে সঙ্গে আছে । শরীরের সৌন্দর্ঘ্যের প্রতি, ধন সম্পত্তির প্রতি, স্বাস্থ্য রক্ষার প্রতি, শরীরিক বীৰ্য্য লাভের প্রতি, যশোমান ও সাংসারিক সুথের প্রতি লোকের " তে সাধারণতঃ ষত্ব আছেই,কিন্তু বিশেষতঃ বুদ্ধি বিদ্যার দিকেই লোকের শেষ লক্ষ্য পড়িয়াছে। ঈশ্বরের পূজা বার্তাহাকে হৃদয়ঙ্গম করিবার দিকে কাহারই লক্ষ্য দেখা যায় না। যদিও স্থানে স্থানে ঈশ্বরের পূজা দেখা যায় কিন্তু তাহা ঈশ্বরের উদ্দেশে নহে এবং তদ্বারা তাহার প্রত্যক্ষ জ্ঞানও লাভ হয় না । কেহ বা শরীরের সোনার্য্য ও ধন সম্পত্তিরূপ অন্ন লাভের নিমিত্ত র্তাহার পূজা করেন, কেহৰ! আরোগ্য ও শক্তি বীৰ্য্যরূপ প্রাণ-কামনায় র্তাহার আরাধনা করেন, কেহবা যশোমান ও মুখরূপ মানসিক ইচ্ছা চরিতার্থ হইবার জন্য তাহার পূজা করেন,কেইবা তাহার পূজার ভাণ করিয়া কেবল বিদ্যা বুদ্ধিরই চরণে পতিত