পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, 88 ו ג אווים পূৰ্বতন গৃহস্থ ჯ ჯ,(č শুষ্ক হইলে অভোজ্য ও ত্যজ্য ছিল। প্রাণ, অপান সমান উদান ও ব্যান এই পঞ্চ তৎকালে শক্ত ই সাধারণের প্রিয় আহার | প্রাণের পুষ্টিসাধন করুক। আমি যাহা ছিল। যেরূপ দ্রব্যে কোনরূপ পাপম্পৰ্শ | আহার করিলাম তাহ আগস্ত্য অগ্নি ও বড় না হয়, যদ্বারা সমধিক আরোগ্য, বলপু ও অনিষ্ট-শাস্তি হয় সেইরূপ খাদ্যই সাধারণের হৃদ্য ছিল। গৃহস্থ রত্নাঙ্গুরীয় ধারণ ও বিশুদ্ধ বস্ত্র পরিধান পূর্বক ভোজনে বসিতেন । তঁহার অঙ্গে পবিত্র গন্ধ, গলে শুক্ল মাল্য । আদ্র হস্তে ও আর্দ্র পদে ভোজন করা নিষিদ্ধ ছিল । ভোজনপাত্র অসিন্দীর ” উপর স্থাপিত হইত না । ভোজন-স্থান অসস্কীর্ণ ও পরিচ্ছন্ন । সুত্বপ্ত নয়নে তাহাৰ্য্য দ্রব্য দেখিয়৷ পরে তাহ! ভোজন করা বিধেয় । ভোজন-কালে অগ্ৰে মধুর রস, মধ্যে লবণ ও অমরস, সর্বশেষে কটু তিক্ত প্রভৃতি অন্যান্য রসের ব্যবস্থা ছিল । বল ও আরোগ্য লাভোর্থ প্রথমে দ্রব দ্রব্য, মধ্যে কঠিন দ্রব্য ও সর্বশেযে দক দ্রব্য আহার করিত ভোজ্য পদার্থে ঘৃণা প্রদর্শন না করিয়া এবং মেীনী হইয়া প্রফুল্লমনে ভোজন করিত । গৃহস্থ আহারাবসানে আসনে উপবেশন করিয়া সুস্থ ও দেবত। স্মরণ পূর্বক এই মন্ত্র পাঠ করিতেন, জঠরাকাশ যে অন্নকে অবকাশ দিয়াছে, বায়ু পরিবদ্ধিত অগ্নি তাহা জীর্ণ করুক। এই জীর্ণ-অন্ন-প্রভাবে আমার পার্থিব ধাতু পরিপুষ্ট হউক, এবং তদ্বারা আমার শারীরিক সুখ পরিবদ্ধিত হউক । অন্ন আমার শরীরস্থ পৃথিবী, জল, বায়ু ও অগ্নির বল বৃদ্ধি করিয়া দিক এবং স্বয়ং ঐ সমস্ত ধাতুরূপে পরিণত হউক। এই অন্ন

  • নাসন্দীসংস্থিতে পাত্রে (বিষ্ণুপুরাণ তৃতীয় অংশ) আসন্দী দারুময়ং ত্রিপদাদি (ঐধরস্বামিকৃত টীক ) বোধ হয় এক সময়ে ভারতবর্ষে টেৰেলে ভোজন করি

বার প্রথা ছিল। બરે নিষেধ বাক্যই তাহাব প্রমাণ । প্রশান্ত চিত্তে অভীষ্ট বানল দ্বারা জীর্ণ হউক । আমি সুখী হই এবং আমার শরীর নীরোগ হউক। অদ্বিতীয় ভগবান বিষ্ণু সমস্ত দেহ, সমস্ত ইন্দ্রিয় ও আত্মার প্রধান এবং আযার উপাস্য। তাহার প্রভাবে আমার ভুক্ত অন্ন পরিণামে আরোগ্যপ্রদ হউক । বিষ্ণু ভোক্তা, অন্ন র্তাহর পরিণাম, সুতরাং ভঁহারই প্রভাবে আমার এই ভুক্ত অন্ন জীর্ণ হউক। গৃহস্থ এই মন্ত্র পাঠ পূৰ্ব্বক উদরে কর-পরামর্ষণ করিতেন * । পরে তালিস্যশূন্য হইয় অল্পায়াসসাধ্য কর্ঘ্যে প্রবৃত্ত হইতেন এবং সৎপথের অবিরোধী সৎশাস্ত্র অনুশীলন করিয়া দিবসের অবশিষ্ট কাল যাপন করিতেন । অনন্তর সায়ংকাল। আকাশে দুই একট নক্ষত্র থাকিতে গৃহস্থ প্রাতঃসন্ধ্য এবং সুর্য। অস্তমিত হুইবার সময় দুই একটী নক্ষত্র প্রকাশিত হইলে সয়ং সন্ধা করিত । ক’তাশৌচ, মৃতশোচ, চিত্তবিভ্রম, পীড় ৫,অনিষ্টাশঙ্ক। এই কএকটা প্রতিবন্ধক ব্যতীত প্রতি দিনই সন্ধ্যোপাসনা আবশ্যক ; তখনকার বিশ্বাস ছিল যে, যে ব্যক্তি পীড়াকাল ভিন্ন সূর্য্যোদয় ও সূৰ্য্যাস্ত সময়ে শয়ন করিয়৷ থাকে তাহার পাতক জন্মে । এই জন্য গৃহস্থ সূর্য্যোদয়ের প্রকলেই গাত্রে থান পূৰ্ব্বক সন্ধ্যোপাসনা করিত এবং দিবভাগে

  • প্রাচীনকালের লোকেরা শরীরের সহিত মনের সম্বন্ধ বিলক্ষণ বুঝিতেন। ইচ্ছার ক্ষমতা প্রভূত ইহা মনস্তত্ত্ববিৎ ও শারীরবিধানবিৎ পণ্ডিত দ্বারা প্রমাণিত হইয়াছে। উপরে যে মন্ত্র डेक्क उ হইল তাহ। ইচ্ছা! সূচক। উদরন্থ অন্ন জীর্ণ হউক, ইহা মনের সহিত

ইচ্ছা করিলে পাকক্রিয়ার প্রতি যে কিয়ৎ পরিমাণে সাহায্য করে, তাহার সন্দেহ নাই। অনেক মন্ত্র উল্লি } थिङ उरुमूलरु ।