পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भीष ۵ ه«« $4"> I su পুরাণে কথিত আছে যে ধৰ্ম্ম-সাধনের সময় রাক্ষসেরা আসিয়া বিল্প প্রদান করিত। সে রাক্ষস আর কিছুই নহে, আমাদিগের অন্তরস্থ রিপু ও বাহিরের প্রতিকূল অবস্থা ও ঘটনা। অন্তরের ও বাহিরের শত্রই সেই সকল রাক্ষস । এই সকল রাক্ষস হইতে আপনাকে রক্ষা করা কি কঠিন! ধৰ্ম্মের কঠিনত বিবেচনা করিলে আপাততঃ নৈরাশ্য আসিয়! মনকে আশ্রয় করে। কিন্তু আত্মচেষ্টা ও ঈশ্বরানুগ্রহে আমরা কি না করিতে সক্ষম হই ? ধৰ্ম্মসাধনে সিদ্ধিলাভ জন্য মনোযোগ, আত্মজ্ঞান, অভ্যাস ও ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা আবশ্যক। ধৰ্ম্মসাধনের প্রতি মনোযোগ থাকিলে আমরা কি তাহাতে কৃতকাৰ্য্য হইতে পারি না ? মনোযোগ দ্বারা মনুষ্য কত বিষয়ে কৃতকাৰ্য্য হইতেছে, আর ধৰ্ম্ম-বিসয়ে সে কি কৃতকাৰ্য্য হইতে পারে ন} ? বস্তুতঃ তামাদিগের মন অন্য স্থানে পড়িয়৷ রহিয়াছে, এই জন্য অমরা ধৰ্ম্ম-বিষয়ে কৃতকাৰ্য্য হইতে পারি মা ! ধৰ্ম্ম-বিষয়ে যাহার মে অভাব আছে সেই অভাব মোচন বিষয়ে তাহার অধিক মনোযোগ দেওয়া কৰ্ত্তব্য। এই অভাব অনুভব জন্য আত্মদৃষ্টি ও আত্মজ্ঞান আবশ্যক । আত্মজ্ঞান না হইলে আমরা নিজের দোষ ও তাঁহার কারণ বুঝিতে পারি না । আমাদিগের কোন কোন দোষ আছে এবং সেই সকল দোষ কাল-প্রভাব-নিবন্ধন, কি সঙ্গ-নিবন্ধন, কি প্রকৃতি-নিবন্ধন, কি বয়স-নিবন্ধন, তাহা আত্ম-জ্ঞান-অভাবে বুঝিতে পারি না ও সুতরাং তদ্বিষয়ে সাবধান হইতে পারি না। ধৰ্ম্ম-সম্বন্ধীয় যে গুণের যাহার অভাব আছে তাহার সেই গুণের ততোধিক অভ্যাস করা কর্তব্য এবং সেই অত্যাস সাধন সময়ে ঈশ্বরের নিকট ধৰ্ম্মবল 2 প্রাচীন সমরতত্ত্ব க. ஜைத-ைவிளகங்கன் வ گے کیسپینتیس سو سے===۔۔ آپ سے ক্ষীণ,দৈববল তাহার যত্ন ও চেষ্টাকে সাহায্য না করিলে তাহার তার উপায় নাই । সেই - বলে বলীয়ান হইলে কোন প্রলোভন, কোন বিঘ্ন, কোন বাধা, কোন ভয়, আমাদিগের ধৰ্ম্ম-পথে অগ্রসর হইতে নিবারণ করিতে পারে না । “তব বলে কর বলী যে জনে, কি ভয়, কি ভয় তাহার ? ” Nombush প্রাচীন সমরতত্ত্ব। (৪.৯ সংখ্যক পত্রিকার অনুৰ্ব্বত্তি ) তত্ত্ব-প্রিয় পাঠকগণকে আমরা মধ্যে মধ্যে প্রাচীন যুদ্ধ-শাস্ত্রের বিষয় লিপিবদ্ধ করিয়! উপহার দিতেছি । কতিপয় পত্রিকায় যুদ্ধসম্বন্ধীয় গ্রন্থ, রথ ও রথ-যুদ্ধের বিষয় বিবৃত করিয়াছি, এক্ষণে দুর্গ ও তুর্গনিৰ্ম্মাণের বিধি ব্যবস্থা সকল বাক্ত কর। যাইতেছে । আদিম কালের পণ্ডিতেরা প্রকৃতির শিস্য ছিলেন । প্রকৃতির গাত্রে কি লেখা আছে তাহাই দেখিয়া ভাস্থার বিবিধ বিষয় শিক্ষ করিতেন । র্তাহার দেখিলেন যে, যাহাদের অনেক শত্র তাহার। দুর্গম স্থানে বাস করে। চতুষ্পদ জাতির অনেক শত্ৰু, তাহাব এ দুর্গম প্রদেশে বাস করে । মূষিকেরা ভূ-বিবরে, মৎস্যের জলের ভিতর, পক্ষীর দৃরারোহ বৃক্ষের উপর বাস করে । সুতরাং ইছারা শত্রুহস্ত হইতে প্রায়ই পরিত্রাণ পায় । এতদ ষ্টে ঋষিরা স্থির করিলেন যে, রাজাদের অনেক শক্র, সুতরাং রাজাদের কোন দুৰ্গম প্রদেশে বাস করাই কৰ্ত্তব্য । ঋষিদের এতাদৃশ উপদেশে পূৰ্ব্বকালের ক্ষত্রিয় রাজার গিরিসঙ্কট,চতুৰ্দ্দিকবর্তী নদী-দুরাক্রমা গহন বন প্রভৃতি স্থান দেখিয়া রাজধানী নিৰ্ম্মাণ করিতেন। সেই সেই স্বাভাবিক জন্য প্রার্থনা করা উচিত। মনুষ্য স্বভাবতঃ । দুর্গম্য স্থানগুলিকে স্বাভাবিক দুর্গ নামে