3 R ۳-اح هفت ساعتصاحمد عسطه بمد محیه - যতই আমাদিগের বয়সের বৃদ্ধি হইতে থাকে ততই কল্পনার প্রভাব কমিতে থাকে, ততই যুক্তিরত্তির প্রবলতা হইতে থাকে। যুক্তিবৃত্তি পরিশেষে এমন প্রবল হইয়া উঠে যে, যুক্তির তুষারময় ক্রোড়ে প্রীতি বিনাশ প্রাপ্ত হয় । আমাদিগের সাংসারিক অবস্থার পুনঃ পুনঃ পরিবর্তন হইতেছে। যে স্থখ আমরা উপভোগ করি, ঠিক্ সেই প্রকার স্থখটি আর আগমন করে না । যে দুঃখ আমরা ভোগ করি, ঠিক সেই প্রকার দুঃখটি আর আগমন করে না । আমাদিগের সাংসারিক অবস্থা সূৰ্য্যাস্ত কালের আকাশের বর্ণের ন্যায় পুনঃ পুনঃ পরিবর্তিত হয়। যখন আমরা দুঃখের অবস্থায় থাকি তখন বোধ হয় যে, এ দুঃখের তত্ত্ববোধনী পত্রিকা “ । } -**ooroosmo কেহ দেশাস্তরে গমন করিয়াছেন আর ফিরিয়া আইসেন নাই, এবং কেহ বা এমন শীতল-চিত্ত হইয়াছেন যে,র্তাহারদিগের নিকট হইতে এক্ষণে বন্ধুতার ক্ষীণ প্রতিচ্ছায়াও প্রাপ্ত হওয়া যায় না । নানা কারণ বশত বন্ধুতার পরিবর্তন হয় । মত-পরিবর্তন নিবন্ধন বন্ধুতার পরিবর্তন হয় । সাংসারিক অবস্থার প্রভেদ নিবন্ধন বন্ধুতার পরিবর্তন হয়। অনেক দিন পর্যন্ত দূরে অবস্থিতি নিবন্ধন বন্ধুতার পরিবর্তন হয় । পৃথিবীতে কেবলই পবিবর্তন, কেবলই পরিবর্তন । এই পরিবর্তনের মধ্যে আমরা কোথায় স্থির হইয়া দাড়াইব ? কো থায় গিয়া আমরা মনের আরাম ও প্রকৃত আর শেষ হইবে না,কিন্তু হঠাৎ আমরা একে- | শান্তি প্রাপ্ত হইব ? সেই ধ্রুব সত্য আচল বারে আশার অতীত সুখ প্রাপ্ত হই । যখন সনাতন পুরুষই একমাত্র প্রাণারাম পদার্থ, আমরা সুখের অবস্থায় থাকি, তখন মনে | একমাত্র প্রকৃত শান্তির নিকেতন। এই পরিছয় যে, এই মুখের আর শেষ হইবে না , । বৰ্ত্তনশীল সংসারে আমাদিগের একটি দৃঢ় কিন্তু কোথা হইতে হঠাৎ এমনি বিপদ তাসিয়া উপস্থিত হয়, বোধ হয় সে বিপদ আর আমরা অতিক্রম করিতে পারিব না কিন্তু তাহাও আবার आगद्ग অতিক্রম করিয়া উঠি । বিপদের সময়ে পৃথিবীর প্রতি বিরক্ত হইয়া মনের সেরূপ অবসাদ উপস্থিত হয়, বোধ হয় মনের সেরূপ অবসাদ ভাব কখনই তিরোহিত হইবেক না । কিন্তু মানব মনের স্বাভাবিক স্থিতিস্থাপকতা গুণ নিবন্ধন তাহাও তিরোহিত হয় । পৃথিবীতে বন্ধুতার পরিবর্তন হইতেছে। লীলাকালে বিদ্যালয়ে সেই এক কাষ্ঠাসনের উপর আমরা যে কএক জন বসিতাম, ঘtহাদিগের মধ্যে কাহারও কাহারও মুখ লী এক্ষণে অস্পষ্ট ছায়ার স্যায় স্মরণ হইতেছে, যাহাদিগের সঙ্গে এরূপ গাঢ় বন্ধুতা ছিল যে তাছার বর্ণনা করা যায় না,তাহারদি শঙ্কু আবশ্যক যাহা অবলম্বন করিয়৷ তামর হস্থির থাকিতে পারি, সেই দৃঢ় শঙ্কু পরমেশ্বর । তাহাতে স্থিতি করিলে সাংসারিক কোন পরিবর্তনই আমাদিগকে কষ্ট দিতে পারে না । তাহাতে স্থিতি করিলে কি বয়সের পরিবর্তন, কি সাংসারিক অবস্থার পরিবর্তন, কি বন্ধুতার পরিবর্তন কিছুই কষ্ট দিতে সক্ষম হয় না । বাল্যকাল আনন্দের বাল্যকাল কবিত্বপূর্ণ কাল, কিন্তু বাৰ্দ্ধক্যের কি কবিত্ব নাই ? বাৰ্দ্ধক্যের কবিত্ব ধৰ্ম্ম, কিন্তু বাল্যকালের কবিত্ব ও বাৰ্দ্ধক্যের কবিত্ব এই দুই কবিত্বের মধ্যে প্রভেদ এই যে, বাল্যকালের কবিত্ব কল্পনাময় ও অলীক ও বাৰ্দ্ধক্যের কবিত্ব সত্যপূর্ণ । অতএব ধৰ্ম্মকে আশ্রয় করিলে বাৰ্দ্ধক্য কখনই নীরস বলিয়া বোধ হয় না । সাংসারিক অবস্থার সহস্র পরিবর্তন হউক কিন্তু ঈশ্বরে
