*s, s%»» ২২ ৷ মানবীয় সত্তা ও গুণের সঙ্গে ঈশ্বরের অস্তিত্ব ও স্বরূপের তুলনা নাই । ঈশ্বরের অস্তিত্বও যাহা, আত্মাও তাঁহা, স্বরূপও তাহা । * ২৩ । তাছার স্বরূপের মধ্যে আমরা ন্যায়, দয়া, জ্ঞান, প্রেম প্রভৃতি যত গুণের আরোপ করিয়া উঠিতে পারি সে সমুদয় একত্র করিলে পূর্ণ ভাব পাই না । কেন না আমরা স্ব স্ব \,ণর আদর্শে তাঁহাতে ঐ সকল প্লনা করিয়া থাকি । ২৪। কিন্তু তাহার কূটস্থ ভাব ও পূর্ণ স্বরূপ অংশবিহীন, অখণ্ড এবং রূঢ় | স্থতরাং সেই প্রজ্ঞানৈকরসস্বরূপে দ্বৈতের অভাব বশত তাহার ন্যায় ও দয়। কখন দুই হইতে পারে ন! । তাকিকের কেবল তর্ক। এব তাহার ঘাস্থ কিছু আপত্তি তাহার #ীমাংসা উপরেই প্রাপ্তব্য । ২৬ । খ্রিষ্টিয়ানের বাইবলই সম্বল । সেই শাস্ত্র দ্বারা তাহার আপত্তির বিচার করা কৰ্ত্তব্য । ২৭ ,খিষ্টানগণই করুণ ও ন্যায় বিষয়ক তকের উদ্ভাবক ; তাfককগণ র্তাহীদেরই অনুকারী । ফলতঃ তাকিকের। এসম্বন্ধে খিষ্টিয়ানদিগের অভিপ্রায়ও গ্রহণ করেন না, ভারতীয় অধ্যাত্মবিদ্যাভেও পণ্ডিত হন না স্থতরাং কেবল গোল করেন । ২৮। ঋিষ্টিয়ানের উপদেশ এই যে ঈশ্বর ন্যায়বান অতএব তাহার শরণ লইলে মুক্তি হয় না । কিন্তু খৃষ্ট দয়ালু। তাঁহাকেই ত্ৰাণের নিমিত্তে আশ্রয় করিবেক । দয়ার অবতার স্বরূপ খৃষ্টের পূজা-প্রচারই ঐ উপদেশের উদ্দেশ্য । ফলতঃ নায়কে স্বতন্ত্র রাখিয়া দয়ার দিকেই খৃষ্টধৰ্ম্মের প্রবাহ। ২৯। কিন্তু তাকিকের তর্কের ঝোক ন্যায় রক্ষা করার নিমিত্তে । দয়ার নিমিত্তে নহে । z & ! অত, ন্যায় ও দয়া বিষয়ক বিচার !; &2.? ঈশ্বরের উপাসনা প্রত্যাখ্যান করাই তাঁহার উদ্দেশ্য। ৩০ । তিনি খিষ্টিয়ানের সহিত একমত হইয়া ঈশ্বরকে নির্দয় করেন অথচ দয়াময় খৃষ্টকে অবলম্বনও করেন না। মৃতরাং উপাসনা রহিত হইয়া যায় । উপাসনা পরিত্যাগই তাহার লক্ষ্য । ৩১। র্যাহার। দয়াবাদী তাছারাই উপাসক। ন্যায়বাদী উপাসনা প্রয়োজন বোধ করেন মা । দয়াবাদী ঈশ্বরের নিকট আপনার হীনতা প্রকাশ করেন, ভিখারীর ন্যায় তাহার দ্বারে অপেক্ষা করেন, ঈশ্বরের প্রতি নির্ভর করেন । কিন্তু ন্যায়বাদী স্বকীয় শক্তির প্রতি নির্ভর করত আপনার দপ প্রকাশ করিয়া থাকেন । ৩২। দয়াবাদীর নির্ভব-স্থল অটল। সুতরাং তিনিই প্রকারাস্তরে মায়মতে কাৰ্য্য করেন, কিন্তু ন্যায়বাদী যিনি আপনার পুরুষকারের প্রতি নির্ভর করেন তিনি বালুতটে অট্টালিকা নিৰ্ম্মাণ করিয়া থাকেন । ৩৩ । যদিও অনেকে তর্ককালে মনে করেন যে ঈশ্বরের ন্যায়-গুণের সহ দয়ার সামঞ্জস্য নাই,কিন্তু কাৰ্য্যকালে তাহরী কেবল দয়ারই শরণাপন্ন হন। খিষ্টিয়ানগণ সেই দয! খৃষ্টেতে দৃষ্টি করেন । ঈশ্বর বিশুদ্ধ নায়ের দেবতা, খৃষ্ট বিশুদ্ধ করুণীর অবতার। অতএব খািটকে অবলম্বন না করিলে পতিত নরের কল্যাণ নাই । ৩৪। ঈশ্বরেতে আদেী দয়া ছিল না বা নাই খ্রিষ্টানগণ একথা কহেন না । কিন্তু তাহার দয়া যিযুতে হস্তান্তরিত হইয়া গিয়াছে এই তাহদের শ্রুতি। তবে বাইবলের কোনস্থানে যে ঐ কথার বিপরীত বাক্য নাই এমত নহে । ৩৫। বাইবলে এই শ্রীতি আছে যে আদম হাওয়ার কথায় এবং হাওয়া সপর্যপী
