পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هه ۹ د tem8 ভগবদগীতা বিষরে বক্তত৷ ૨ (t f «samstesgåsenssianese বলিয়া করিবে । ধন মান যশের জন্য যে ব্যক্তি কার্য্য করে সে ব্যক্তি পাপে অনা স্বাসে লিপ্ত হয়। কিন্তু যোগী ব্যক্তি ধন মান যশের জন্য কৰ্ম্ম করেন না । অতএব তিনি পাপে লিপ্ত হয়েন ন! । পদ্মপত্র যেমন স্রোতের উপরে স্থিতি করে, জলে লিপ্ত থাকে না, তেমনি পৃথিবীর পাপস্রোত র্তাহার নিম্ন দিয়া প্রবাহিত হয় ; তিনি তাহাতে লিপ্ত হয়েন না । অনাশ্ৰিত: কৰ্ম্মফলং কার্য্যং কৰ্ম্ম করোতি যঃ স সন্ন্যাসী । ৬ষ্ঠ, ১ সন্ন্যাস: কৰ্ম্মযোগশ্চ নি:শ্রেয়সকরারুভে । তয়ে স্তু কৰ্ম্মসংন্যাসাং কৰ্ম্মযোগোবিশিষাতে ॥ ৫ম,২ কৰ্ম্মণ্যেবাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন। ২য়, ৪৭ যংকরোযি যদশ্বাসি যজু হোসি দদাসি যৎ । যত্ত্বপসাসি কৌন্তেয তং কুরুস্ক মদৰ্পণং ॥ ৯ম, ১ মং কৰ্ম্মকৃৎ । ১১ শ, ৫০ পহ্মণ্যাধ্যায় কৰ্ম্মাণি সঙ্গ তক্ত কয়োতি ম:। লিপ্যতে ন স পাপেন পদ্মপত্রমিবান্তসা || ৫ম, ১০ পদ্মপত্রের উপম কি সুন্দর । ইছাতে সন্তা ও সৌন্দর্ঘ্য কি আশ্চর্য্যরূপে মিশ্রিত °T乙豆日 斜 কৰ্ম্মের মধ্যে সৰ্ব্বভূতের উপকার সাধন স বাপেক্ষ শ্রেষ্ঠ । লভস্তে ব্রহ্মনিৰ্ব্বাণমৄষয়: ক্ষীণকল্মষা: । ছিন্নদ্বৈধা যতাত্মনঃ সৰ্ব্বভূতহিতে রতীঃ ॥ ৫ম, ২৫ সংনিযমোঞ্জিয়গ্রামং সৰ্ব্বত্র সমবুদ্ধয়ঃ । তে প্রাপ্ন বস্তি মামেব সৰ্ব্বভূতহিতে রত ॥১২শ, ৪ ভগবদগীতানুসারে প্রকৃত যোগের লক্ষণ কি তাহ। কথিত হইল। যোগী ব্যক্তি অবাতকম্পিত দীপশিখার ন্যায় স্থিরভাবে ঈশ্বরে সৰ্ব্বদা ধ্যানযুক্ত থাকিবে এবং ফলকামনাশুন্য হইয়া সকল সাংসারিক কাৰ্য্য বিশেষতঃ সৰ্ব্ব ভূতের হিতসাধন-কাৰ্য্য সম্পাদন করিবে। প্রকৃত যোগের লক্ষণ কথিত হইয়া আত্মৌপম্যেন সৰ্ব্বত্র সমং পশ্যতি যোংঙ্গন | সুখং বা যদি বা দু:খং স যোগী পরমোমত ॥ ৬ষ্ঠ, ৩২ “যে ব্যক্তি সুখদুঃখ সম্বন্ধে আত্মদৃষ্টান্তে সৰ্ব্ব প্রাণিতে সমদৃষ্টি করেন আমার মতে সেই যোগী সৰ্ব্বাপেক্ষ শ্রেষ্ঠ ।” অদ্বেষ্ট সৰ্ব্বভূতানাং মৈত্র করুণএবচ । নির্মমোনিরহঙ্কার সমতুঃখসুখ: ক্ষমী | সন্তুষ্ট: সততং যোগী যতাত্মা দৃঢ়নিশ্চয়ঃ ॥ ময্যৰ্পিতমনোবুদ্ধিৰ্যোমন্তব্রু: স মে প্রিয়ঃ । ১২শ, ১৩, ১৪, “যে ব্যক্তি কোন প্রাণির প্রতি বিদ্বেষ না করিয়া সকলের সঙ্গে মিত্রতা ও সকলের প্রতি করুণ প্রদর্শন করেন,যিনি মমতা ও অহঙ্কাররহিত, আর অন্যের সুখে সুখী আর অন্যের দুঃখে দুঃখী ও ক্ষমাযুক্ত হন,যে ব্যক্তি সদাই সন্তুষ্ট, অপ্রমন্ত, সংযতস্বভাব এবং ঈশ্বরবিষয়ে নিঃসন্দিগ্ধ হইয়া মন এবং বুদ্ধিকে র্তাহাতে সমর্পণ কবেন সেই ব্যক্তি ঈশ্বরের প্রিয় হয় । ” যোগসাধনের ফল শান্তি ও আনন্দ । শান্তি অতীব প্রার্থনীয়। হর্ষ বিমাদের মধ্যে বিষাদ ত আদবেই প্রার্থনীয় নছে আর হর্ষ বালোচিত ও লঘুত্বসূচক । শান্তচিত্তত অত্যন্ত মহদুগুণ। মহত্ত্বের কথা দূরে রাখিয় লাভক্ষতি গণনা পূর্বক কেবল বণিকের দৃষ্টিতে দেখিতে গেলেও শান্তচিভতা অতীব প্রার্থনীয়। মনকে হর্ষবিষাদের অধীন রাখিলে অধিকাংশ স্থলে বিষাদই প্রাপ্ত হইতে হয়, যে হেতু পৃথিবীতে সুখ অপেক্ষা দুঃখই অধিক । অতএব শান্তচিত্ততা লাভ করিবে । ধৰ্ম্মসাধনের মুখবন্ধ-স্বরূপ ইন্দ্রিয়ংযম-জনিত সামান্ত শান্তি ধৰ্ম্মসাধনের প্রবল ইচ্ছা ও আত্মচেষ্টা দ্বারা লভনীয়, কিন্তু যে গভীর শান্তির কথা বলা যাইতেছে তাহা কেবল যোগসাধন দ্বারা প্রাপ্ত হওয়৷ এক্ষণে প্রকৃত যোগীর কি লক্ষণ ও স্বভাব | যায়। যে ব্যক্তি ঈশ্বরে সর্বদ যুক্ত থাকেন, তাহা বিবৃত হইতেছে। একমাত্র ঈশ্বরই র্যাহার সুখের কারণ, কেবল