পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

× ჯა ঈশ্বরই র্যাহার মতিগতি তিনিই দুঃখেতে অনুদ্বিগ্নমনা এবং স্পৃহারহিত হইতে পারেন এবং সুখদুঃখ,লাভালাভ, জয় পরাজয় সমান জ্ঞান করিয়া শান্তি লাভ করিতে পারেন । যোগী ব্যক্তি ঈশ্বরকে লাভ করিয়া, অন্য লাভকে তাহা অপেক্ষা অধিক মনে করেন ন। এবং ঈশ্বরে স্থিতি করিয়া গুরু দুঃখ দ্বার,ও বিচলিত হয়েন না । দুঃখেঘমুদ্বিগ্নমনা: সুখেষু বিগতস্পৃহ: | বীতরাগভয়ক্ৰোধোস্থিতধীমুনিরাচাতে ॥ ২য়, ৫৬ যং লব্ধ, চাপরং লাভং মন্যতে নাধিকং ততঃ। যস্মিন স্থিতোন দুঃখেন গুরুণাপি বিচালাতে ॥ ৬ষ্ঠ,২২ সুখদু:খে সমে কৃত্বা লাভালাভৌ জয়জিয়ে । ২য় ৩৮ কিন্তু এই সকল শ্লোকের এই অর্থ নহে যে মনুষ। আপনার প্রকৃতিকে প্রস্তরবং জড় করিয়া ফেলিবে । ধাৰ্ম্মিক ব্যক্তির মনে সাংসরিক কামনা যে তাদোবে প্রবেশ করে ন৷ এমত নহে, তাহ প্রবেশ করে, কিন্তু যেমন : 就 传

* সুখ যে হা বাক্যেতে = ।। 5 ।। মদ নদীর জল সমুদ্রে প্রবেশ করে অথচ
C조 | সে * l (. * ज5ीं Il s

বর্ণনা করা যায় না; যিনি তাহা আস্বাদন তদ্বারা পূর্ণ হইলে ও যেমন সমূদ্র আপনার সীমা অতিক্রম করে না, সেইরূপ ধাৰ্ম্মিক ব্যক্তি আপনার মনে ঐ সকল কামনার প্রবেশ সত্ত্বে ও তদ্বার বশীভূত হইয় ধৰ্ম্মের সীমা অতিক্রম করেন না । এই প্রকার ব্যক্তিই শান্তি প্রাপ্ত হয়, যে কামনার দাস সে তাহ প্রাপ্ত হয় না । р আপৃৰ্য্যমাণমচল প্রতিষ্ঠং সমৃদ্ৰমাপ: প্রবিশস্থ য়ং। তদ্বৎ কামা যং প্রবিশন্তি সৰ্ব্বে স শান্তি মাপ্নোতি ন কামকামী । ২য়, ৭০ এই শ্লোকের ছন্দের গজেন্দ্রগমনবং গাম্ভীৰ্য্য, কিম্বা তাহীর ভাবের সারবত্ত, কিম্বা তাহার রচনার লালিত্য, যাহা বিবেচনা করা যায় তাহাতেই ইহাকে শ্লোকের মধ্যে রাজ শ্লোক বলিয়া গণ্য করিতে ইচ্ছা হয়। * , যোগসাধনের একটি মনোহর ফল যেমন শান্তি তেমনি তার এক মনোহর ফল সুখ । তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা | | | | |

  • कब्र, ७ छाँश्र

সে সুখ যে সাংসারিক স্থখ অপেক্ষা কত সারবান ও গভীর যিনি তাহা উপভোগ করিয়াছেন তিনি বুঝিতে সক্ষম হইয়াছেন । অন্য লোকে তাহা কি প্রকারে বুঝিবে ? যুঞ্জন্নেবং সদাত্মানং যোগী বিগতকলাষঃ। সুখেন ব্রহ্মসংস্পর্শমত্যন্তং সুখমশ্নછ છકૈ, રામાં “যে যোগী এই প্রকারে সর্বদ মনকে বশীভূত করেন তাহার সকল পাপ বিনাশ পায় এবং তিনি অনায়াসে ব্রহ্মসংস্পর্শরূপ সৰ্ব্বোত্তম সুখ প্রাপ্ত হয়েন ।” ঈশ্বর আমাদিগকে ত সৰ্ব্বদা সম্পর্শ করিয়া রহিয়াছেন কিন্তু তাহা আমরা অজ্ঞান বশতঃ অনুভব করি না । যোগের সময় যখন আমরা সেই সংস্পর্শ অনুভব করি তখন পিতার সুধাময় পবিত্র আলিঙ্গনে পুত্র যেমন সু থ অনুভব করে সেই প্রকার সুখ আমরা অতুভব করি, কিন্তু তাহ! তদপেক্ষাও অনন্ত গুণে করিয়াছেন তিনি তাহ অবগত আছেন । তামি যাহা বলিলাম তাহাতে এরূপ বোধ হইতে পারে যে, মনুষ্য আপনি আত্মচেষ্টা করিয়া যোগ সাধন করিলে ধৰ্ম্মসিদ্ধি লাভ করিতে পারে কিন্তু তাহা নহে ; ধৰ্ম্মসিদ্ধি লাভের জন্য যেমন আত্মচেষ্টা আবশ্বক তেমনি দেবপ্রসাদ ও অবিশ্বাক । “তেষাং সততযুক্তযুনাং ভজতাং প্রীতিপূর্বকং। দদামি বুদ্ধিযোগস্তং যেন মামুপযাস্তি তে” ১০ম, ৯ “যে ব্যক্তি সতত পরমেশ্বরে যুক্ত থাকে এবং তাহাকে প্রীতি পূর্বক ভজনা করে তাহাকে ঈশ্বর এমন বুদ্ধি প্রদান করেন যাহাতে র্তাহাকে প্রাপ্ত হয়।” প্রত্যেক মনুষ্যের আধ্যাত্মিক অবস্থাতে একটুকু বিশেষত্ব আছে; সেই বিশেষ অব স্থার উপযোগী উপায় সকল অবলম্বন করিবার বুদ্ধি ঈশ্বর প্রেরণ না করিলে এবং সেই