পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ও হতচেতা হইয় পড়িলেন । তখন শ্ৰীকৃষ্ণ তাহার মানব মূৰ্ত্তি প্রদর্শন করাতে অর্জুন বলিলেন, দৃন্টে,দং মানুষং রূপং তব সৌম্যং জনাৰ্দন। ইদানীমস্মি সমৃত্ত: সচেতা: প্রকৃতিং গত:॥১১ল,৫১ “হে জনাৰ্দ্দন ! তোমার এই মানুষাকার দেখিয়া এক্ষণে আমি স্থপ্রসন্নচিত্ত এবং পূর্বাবস্থা প্রাপ্ত হইলাম।” এই বাক্য দ্বারা ভগবদগীতা মনুষ্যের এই বিষয়ে স্বাভাবিক ক্ষীণতার প্রতি অনুগ্রহ প্রদর্শন করিতেছেন । কিন্তু অন্যান্য দেশের ধৰ্ম্মগ্রন্থ এরূপ অনুগ্রহ প্রকাশ করেন নাই। ভগবদগীত। ইহার অব্যবহিত পরেই আবার পৌত্তলিকতারূপ সোপানে বদ্ধ না থাকিয়৷ ব্রহ্মজ্ঞানে আরোহণ করিবার উপদেশ দিতে ছেন । ভ ফ্ল্যা ত্বননায় শক্যোআহমেবংবিধোই জঁ,ন । জ্ঞাতু দ্রস্ট ধ্রু তত্ত্বেন প্রবেষ্ট,ঞ্চ পবস্তুপ । ১১৭, ৫৪ "হে শত্র তাপন। কেবল আমাতেই অত্যন্ত । নিষ্ঠ।যুক্ত যে ভক্তি তাহ দ্বার। আমার এই বিশ্বরূপকে যথার্থতঃ দেখিতে এবং জানিতে ও ইহাতে প্রবেশ করিতে পারে । ” ঈশ্বরকে সামান্য পুষ্প দ্বারা পূজা অপেক্ষ প্রীতি-পুষ্প দ্বারা তাছার পূজা করা শ্রেয়ঃ ! কিন্তু যাহারা অজ্ঞানতা বশতঃ তাহাকে সামান্ত পুষ্প দ্বারা পূজা করে, সরল মনে প্রদত্ত সেই পুষ্প পরমেশ্বর কি গ্রহণ করেন না ? অবশ্য গ্রহণ করেন । পত্রং পুষ্পং ফলং তোয়ং যোমে ভক্ত্য প্রযচ্ছতি । তদহং ভক্ত্যুপহৃতমশ্বামি প্ৰযতাত্মনঃ ॥ ৯ম, ২৬ “কোন ব্যক্তি ভক্তি পূর্বক পরমেশ্বরের উদ্দেশে পত্র, পুষ্প, ফল, জল অপর্ণ করিলে পরমেশ্বর ঐ শুদ্ধচিত্ত ভক্তের প্রদত্ত পত্রপুষ্পাদি অনুগ্রহ পূর্বক গ্রহণ করেন।” কথিত আছে যে কোন খৃষ্টধৰ্ম্মাবলম্বী দেশের কোন বালক কোন পৰ্ব্বতে আরোহণ ভগবদগীতা বিষয়ে বক্তত। পারলেই গীত করেন । | כלל করিয়া সেই সুন্দর পাৰ্ব্বত্য প্রদেশের স্বষ্টিকৰ্ত্তার প্রতি কৃতজ্ঞ হইয় একটা “রিবণ গ্রাস” ” অর্থাৎ নানা শোভন বর্ণযুক্ত ফিতার ন্যায় দেখিতে যে তৃণ সেই তৃণ একটি র্তাহাকে অপর্ণ করিয়াছিল। পরমেশ্বর সরল মনে প্রদত্ত বালকের ঐ উপহার অনেক কপটাচারী ধাৰ্ম্মিকের গির্জায় উপাসনা অপেক্ষা অধিকতর প্রসন্নতার সহিত গ্রহণ করিয়াছিলেন তাহার আর সন্দেহ নাই। ভগবদগীতা ধৰ্ম্মমত ও উপাসনাপ্রণালীর সম্বন্ধে যেমন ঔদার্য্য প্রকাশ করিয়াছেন তেমনি ধৰ্ম্মাচরণের মাত্রা বিষয়েও অল্প ঔদার্য্য প্রদর্শন করেন নাই। যে ব্যক্তি অল্প ধৰ্ম্ম করিয়াছে তাহাকে গীত। উৎসাহ প্রদান দ্বারা ধৰ্ম্মপথে আরও অগ্রসর হইতে আহবান করিতেছেন, যেন কোন ক্রমে ধৰ্ম্মপথে মনুষ্য অগ্রসর হইতে আপনাকে কৃতাৰ্থ মনে “স্বপমণ্যস্য ধৰ্ম্মস ত্রায়তে মহতোভয়াৎ ২য়, ৪০ “অল্পমাত্র ধৰ্ম্মও মহৎ ভয় হইতে পৰিত্ৰোণ করে । ” যে ব্যক্তি অনেক যত্ন করিয়| যোগ সাধন করিয়াছেন কিন্তু অবশেষে যোগভ্ৰষ্ট হইয়াছেন তাহাকে গীত এই আশ্বাস প্রদান করিতেছেন। পার্থ নৈবেহ নামুত্র বিনাশস্তস্য বিদ্যতে । ন হি কল্যাণকৃৎ কশ্চিদৃদুর্গতিং তাত গচ্ছতি ॥ ৬ষ্ঠ, ৪• “হে পার্থ ! যোগভ্ৰষ্ট ব্যক্তির ইহলোকে এবং পরলোকে বিনাশ দৃষ্ট হয় না। হে তাত! শুভকৰ্ম্মকারী কোন দুৰ্গতি প্রাপ্ত হয় না । ” যাহারা অল্প ধৰ্ম্ম করিয়াছে অথবা কঠিন কাৰ্য্য যোগসাধনে আরোহণ করিয়া তাহা হইতে ভ্রষ্ট হইয়াছে তাহাদিগের কথা দূরে থাকুক, যাহার ধৰ্ম্মের কোন ধারই ধারে না, কেবল পাপে লিপ্ত থাকে,এমন সুতুরাচার ব্যক্তিকেও Ribbon-grass.