পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

אא4 3 אחוזיaא ভাব । ত্রিভুবন-পালক বিশ্বপতির রাজ্যে যে নিয়ম একবার প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে, কস্মিন কালে তাহার পরিবর্তন নাই, তিনি যাহ। বিচার করেন, তাছাতে র্তাহার ভ্রম নাই, প্রমাদ নাই, মোহ নাই, অজ্ঞানতা নাই। কেন ন। তিনি নিজে অপরিবর্তনীয়-স্বভাব, তিনি সৰ্ব্বজ্ঞ, তিনিই একমাত্র ন্যায়বান রাজা ও মঙ্গলময় বিধাতা । তিনি যাহা বিধান করেন তাহা ব্যতিক্রম হইবার নহে । র্যার বিধানে জন্ম, তারই বিধানে মৃত্যু, র্যার বিধানে বৃদ্ধি, তারই বিধানে ক্ষয়, যার বিধানে উৎপত্তি, র্তরই বিধানে নিবৃত্তি। এই জড় বস্তু সম্বন্ধে জন্ম মৃত্যু, বৃদ্ধি-ক্ষয় এবং উৎপত্তি-নিরক্তির মধ্যে যেমন বাহ্য জগতের শোভা সৌন্দর্ঘ্যের তা ভাব নাই, তেমনি অন্তর্জগতের পুণ্য-পাপ সুখ-দুখ, হৰ্ষ-বিষাদ নানাবিধ অবস্থা সত্তেও যদি জ্ঞান ও ধৰ্ম্ম বুদ্ধির কর্তৃত্ব থাকে, তবে আত্মীর শোভা সৌন্দর্ঘ্যের বিনাশ নাই । অt হার শোভা সৌন্দৰ্ঘ্য মদার রক্ষা পাইতেছে, তাহাই বিধাতার জ্ঞান ও ধৰ্ম্মের বিধান । এইরূপ বিধান যদি না থাকিত, তবে কোথায় ব তপস্যার অপরাজিত স্বৰ্গীয় বল, কোথায় বা পতিপত্নীর মধ্যে নিষ্কলঙ্ক প্রেম, কোথায় বা হৃদয়-বন্ধুর অকৃত্রিম প্রণয়, কোথায় বা পুত্র-কন্যার অবিচলিত শদ্ধ । ভক্তি, কোথায় বা জনক-জননীর অনিবার্য । স্নেহ মমতা, কোথায় বা নিঃস্বর্থ পরোপকার, কোথায় বা চিরস্থায়ী কীৰ্ত্তি-স্বরূপ বিদ্যালয় । সংস্থাপন, কোথায় বা ধৰ্ম্ম-মন্দির-প্রতিষ্ঠা, কোথায় বা নিরাশ্রয়ীর আশ্রয় জন্য আতিথ্যকাৰ্য্য । জ্ঞান ও ধৰ্ম্মের বিধান থাকাতেই এইরূপ বহুবিধ হিতানুষ্ঠান দ্বারা অন্তর্জগৎ শোভা সৌন্দর্য্যে অলঙ্কত হয় । মনুষ্য যখন আপনার সৌন্দর্য্য আপনিই জ্ঞান-নেত্রে দেখতে পান তখনই পরমাত্মার অলৌকিক সৌন্দর্ষ্য তাহার চিত্তকে আকর্ষণ করে। ঈশ্বরের সর্বনিয়ন্তত্ব NG) পরমাত্মার অলৌকিক সৌন্দর্য্য জীবাত্মার স্বৰ্গীয় সেনার্যের সঙ্গে যখন একত্রিত হয়, তখনই জীবায়ার প্রকৃত আনন্দ, তখনই তাহার মুক্তি । বৈদিক আৰ্য্যসমাজ । অর্মসমাজ শিরোমণিদিগের যে ষড়ঙ্গ বেঙ্গ অর্থজ্ঞানের সহিত অধ্যয়ন করিতে হইত তাহা প্রতিপন্ন করা হইয়াছে। নিরুক্তকার যাঙ্ক বেদ-বিষয়ে অস্থা প্রদর্শনার্থ যে সমস্ত ঋক উদাহরণ দিয়াছেন তাহা আমরা নিম্নে নিবেশিত করিতেছি । বৈদিক আৰ্য্যসমাজ প্রবন্ধে বেদ লইয়া এত বহুক্তি করিবার প্র য়োজন এই যে, পাঠকগণ প্রবন্ধের প্রয়োজন এবং সম্বন্ধ জানিতে ন পারিলে তৎপীঠে প্রবৃন্ত হয়েন না, অতএব প্রবন্ধারম্ভে প্রয়ো | i | | জন, সম্বন্ধ প্রভৃতি বলা হাবশাক । “জ্ঞতাৰ্থং জ্ঞাতসম্বন্ধং শ্রোতুং শ্রোতা প্রবর্ততে । গ্রন্থাদেী তেন বক্তব্য: সম্বন্ধঃ সপ্রয়োজমঃ ॥ এক্ষণে বেদ প্রশংসা কীৰ্ত্তন করা যাই CSびリ! (১) “স্থাণুরয় ভারহার কিলাং অধীতা বেদং ন বিজানাতি যোৰ্থং । যোর্থজ্ঞ: , ইহ সকলং ভদ্রমশ্বতে নকমেতি জ্ঞানবিধূতপাপা। যদৃগৃহীতং অবিজ্ঞাতং নিগদেনৈব শব্দাতে অনয়েী ইব শুষ্কৈধেীন তজজ্বলতি কস্থিচিৎ ॥ বহন করেন । ', যে ব্যক্তি বেদের অর্থগ্রহ না করিয়া বেদপাঠ করেন তিনি কেবল বেদের ভীর কিন্তু যিনি বেদের অর্থজ্ঞ তিনি ইহলোকে সকল শ্রেয়োলাভ করেন এবং সেই জ্ঞান দ্বারা পাপক্ষয় হইলে মৃত্যুর পর স্বর্গ প্রাপ্ত হয়েন । যেরূপ অগ্নিরহিত প্রদেশে প্রক্ষিপ্ত শুষ্ক কাষ্ঠ কদাপি প্রজ্বলিত হয় না তদ্রুপ আচাৰ্য্য কর্তৃক উপদিষ্ট বেদ বাক্য অর্থজ্ঞান ব্যতিরেকে পুনঃ পুনঃ পঠিত হইলেও তাঁহা স্বৰ্গ প্রকাশ করে না। সুতরাং বেদের অর্থজ্ঞান অত্যাবশ্ব)ক ।