পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Bujë oswa অসনে বসনে শয়নে স্বপ্নে ধৰ্ম্ম, সেই জাতি বিদেশীয় আস্থরিক জ্ঞান-প্রভাবে ক্রমে ধৰ্ম্মের প্রতি আস্থাশূন্য হইতেছে। ক্রমে সংসারবাদ বহুল প্রচার হইতেছে ; “অয়ং লোকো নাস্তি পরঃ” এই লোকই সৰ্ব্বস্ব, পরকাল নাই, এই বিশ্বাস ক্রমশঃ লোকের মনে প্রবল হইয়া উঠিতেছে । সকলেই সাংসারিক ভোগবিলাসে মন্ত ; ঈশ্বর ও পরকাল একবার ভ্ৰমে ও মনে করে না । যে হিন্দুজাতির প্রাণ ধৰ্ম্ম ছিল,যে জাতি ঈশ্বর ও পরলোকের প্রতি সৰ্ব্বদ দৃষ্টি রাখিয়া সাংসারিক প্রত্যেক কার্য্য সম্পাদন করিত এবং নিজে কষ্ট সহ করিয়! দয়া ধৰ্ম্মে অসংখ্য অর্থ ব্যয় করিত সেই জাতি এক্ষণে ধৰ্ম্মানুরাগশূন্য হইতেছে। ভগবদগীত। অত্বরিক ভাব বর্ণনাস্থলে ঐ ভালের যে চিত্র চিত্রিত করিয়াছেন বৰ্ত্তমান কালের প্রতি সম্পূর্ণরূপে প্রযুজ্য হয় । তাহা অসৌ ময় হত: শত্রু শুনিষ্যে চাপ বনপি । ঈশ্বরোহহমহং ভোগী সিদ্ধোহহং বল লীন সুখী । আঢ়োশুভিজ নপানৰ্ম্মি কোহন্যোংস্তি সদৃশ্যময় । যক্ষ্যে দাস্যামি মোদিয্য ইত্যজ্ঞানবিমোহিতা: ॥ لا ,8 لا ,أمدون لا “আমি এই শক্রকে নষ্ট করিয়ছি। অন্য শত্রুদিগকেও নষ্ট করিব । এবং তামি ভু, আমি ভোগী, আমি কৃতকাৰ্য্য, আমি বলবান, আমি সুর্থী। আমি সম্পত্তিবান, নামি কুলীন, অামার সমান আর কে আছে । আমি মহাযজ্ঞ করিব, দান করিব, আমেদ করিব, এই জ্ঞানে তাহারা বিমোহিত হয় ।” যাহার এই প্রকার জ্ঞানে বিমোহিত হল তাহারা মনে করে আমিই আছি, ঈশ্বর নাই । ভোগ-বিলাসই সৰ্ব্বস্ব । কিন্তু উপরে বর্ণিত সংশয়বাদ ও ভোগবিলাসসুচিত অস্থিরিক ভাব আপনার ভগবদগীতা বিষয়ে বক্ততা ーのS শাস্তি আপনি আনয়ন করে । ভগবগদীতার আর এক স্থানে লিখিত আছে । অজ্ঞশচীশ্রদধানশ্চ সংশয়াত্মা বিনশ্যতি । মায়ং লোকোহস্তি ন পরোন সুখং সংশয়াত্মনঃ ॥৪র্থ, ৪• “অজ্ঞান ও অশ্রদ্ধাযুক্ত সংশয়াত্মা ব্যক্তি বিনাশ প্রাপ্ত হয় । তাহার ইহুলোকে বা পরলোকে সুখ নাই ।” এই উপদেশের জাজ্জ্বল্যমান প্রমাণ ফ্ৰান্স দেশের বর্তমান দুর্দশ । তাহার বীর্য্যহীনত এবং পদে পদে জৰ্ম্মেনির পদাঘাত সহ করা সম্রাট লুই নেপোলিয়নের সময় সৰ্ব্বত্র ব্যাপ্ত সংশয়বাদ, ভোগ-বিলাস ও পাপাচরণের ফল। ভগবগদীত যথার্থই বলিয়াছেন । অনেকচিত্তবিভ্ৰ’ন্ত মোহ জালসমাবৃতা: | প্রসক্ত বায়ভোগেষু পতন্তি নরকেইশুচৌ ॥ ১৬ল, ১৬ “লোকে অভীষ্ট অনেক বস্তুতে মনের অবস্থান প্রযুক্ত ভ্রান্তিযুক্ত হইয়। মোহস্বরূপ জালে বদ্ধ হয় । তৎপরে কমভোগে তাত স্ত আসক্ত হইয়। অতি কুৎসিত নরকে যায় ।” ঈশ্বর করুন যে বঙ্গদেশ এইরূপ নরকে ন। পতিত হয়। আমি এক্ষণকার যুবকদিগকে অনুরোধ করিতেছি যে,তাহারা যত্ন ও অভিনি বেশের সহিত বেদ ও বেদান্ত অর্থাৎ উপনিষদাদি প্রাচীন হিন্দুশাস্ত্র অধ্যয়ন করুন । ইহা ব্যতীত উল্লিখিত বিপদ হইতে পরিত্ৰাণ পাইবার তার উপায়ন্তির নাই। ঐ সকল শাস্ত্র সংশয়বাদ ও ভোগবিলাস-পরায়ণতার যেমন মহৌষধ এমন আর দ্বিতীয় নাই । বেদ বেদান্তাদির সার মৰ্ম্ম এই ভগবদগীত। গ্রন্থে লিখিত হইয়াছে । অন্তত এই ক্ষুদ্র ও সুলভ গ্রন্থটি যদি যত্নের সহিত অধ্যয়ন করেন এবং ইহার উপদেশ সকল কাৰ্য্যে পরিণত করেন তাহা হইলে কি পর্য্যন্ত অমৃত ফুল প্রসূত হয় তাহা বলা यtद्म न1 ।।