পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tछाठे ०१** “ হে অচ্যুতস্বরূপ ! তোমার প্রসাদে আমার মোহ নষ্ট হইল, আমি আত্মস্মৃতি লাভ করিলাম, আমার সন্দেহ বিগত হইল, অামি তোমার আদেশ পালন করিব।” জীবিকাতত্ত্ব। গার্হস্থ্য আশ্রমে থাকিয়া যিনি যেরূপ কার্য্যই করুন না কেন, সকলকেই সৰ্ব্বাগ্রে জীবিকার অন্বেষণ করিতে হয় । যিনি প্রকৃত গৃহস্থ, তিনি কি জ্ঞানোন্নতি,কি ধৰ্ম্মোন্নতি, যাহতেই প্রবৃত্ত হউন এবং কি সমাজ, কি রাজ্য, যাহার উন্নতি সাধন ও শান্তি ৰক্ষার নিমিত্তই ব্ৰতী হউন, তাহাকে অধিকতর কর্তব্য জ্ঞানে সৰ্ব্বাগ্রে কতিপয় লিতা ও নৈমিত্তিক কাৰ্য্য সম্পাদন করিতে ই হরেই হইবে । স্বীয় পরিবারের ভরণ পোষণ, বসোপযোগি গুহাদি নিৰ্ম্মাণ, সন্তানগণকে যথাসম্ভব বিদ্যা দান, যথাসময়ে পুত্র কন্যাদিগের উপনয়ন ও বিবাহ প্রভৃতি সংস্কার সাধন, পিতা-মাতার শ্রদ্ধ সম্পাদন, আপনার ও পরিবারস্থ কাহারে পীড়া উপস্থিত হইলে তাহার চিকিৎসা বিধান এবং যে সকল দৈব দুৰ্ব্বিপাক অবশ্যম্ভাবি তৎপরিহারের উপায় সংস্থাপন ইত্যাদি নিত্য নৈমিত্তিক কাৰ্য্য সকল কি দরিদ্র কি ধনী সর্বপ্রকার ভদ্র গৃহস্থকেই সাধ্যানুসারে করিতে হয় । এতদ্ভিন্ন, বিশেষ বিশেষ ব্যক্তির যে বিশেষ বিশেষ নিত্য ও নৈমিত্তিক কৰ্ত্তব্য আছে, তাহা বুদ্ধিমান ব্যক্তি মাত্রই হৃদয়ঙ্গম করিতে পারেন । সুতরাং তত্তাবতের উল্লেখ এস্থলে নিম্প্রয়োজন। প্রত্যেক গৃহস্থ ব্যক্তিকে এইরূপ অবশ্ব কর্তব্য সম্পাদনের জন্য যাহা যাহা সংগ্ৰহ করিতে হয়, তৎসমুদায়কেই সাধারণতঃ র্তাহার জীবিক বলা যায়। আবার যখন একমাত্র জীবিকাতত্ত্ব থাকে না | 26 N○ヘ○ অর্থই সৰ্ব্ববিধ উপকরণ সংগ্রহের মূলস্বরূপ হইয়া উঠিয়াছে, অর্থাৎ যখন তাঁহাই মাত্র সংগ্ৰহ করিলে সমুদায় কৰ্ত্তব্যই অনায়াসে সাধন করিতে পারা যায়, তখন তাছাই প্রত্যেক ব্যক্তির জীবিকার মূল বলিয়। স্বীকার করিতে হইবে । র্যাহার পরব্রহ্মের সহিত যোগসাধন করিয়া সমস্ত পার্থিব অভাবের উত্তেজনা হইতে মুক্ত হইয়াছেন এবং সমুদায় বাহ ও অন্তরিদিয় সম্যক্রূপে বশীভূত করিয়া আত্মাকে যার পর নাই প্রশান্ত করিয়াছেন, তাহারা ভিন্ন মতুসোর মধ্যে আর কেহই জীবিকার প্রতি ঔদাসীন্য প্রকাশ করিতে পারেন না । মিনি গৃহস্থ তিনি জীবিকার নিতান্ত অনুগত সেবক, এ কথা বলিলে কিছুমাত্র অতু্যক্তি হয় ন} । গৃহস্থ ব্যক্তি উপযুক্ত জীবিকা লভে অসমর্থ হইলে, তাহীর দুর্দশার সীমা সেরূপ অবস্থায় তাহর শরীর নিস্তেজ হয়, বুদ্ধিভ্রংশ হয়, মনের নীচ প্রবৃত্তি সকল প্রবল ও উংকৃষ্ট বৃষ্টি সমুদায় দুৰ্ব্বল হয় এবং লজ্জা, গ্লানি, ভয় ও দুঃখশোক প্রভূতি যাবতীয় বিকটাকার রিপুই তাহার নিত্য সহচর ও অনুচর হইয়া উঠে । উপযুক্ত জীবিকার অভাব বশত সাংসারিক লোকদিগকে কিরূপ কষ্টে কালাতিপাত করিতে হয় তাহ। অধুনা অস্মদেশের প্রায় কাহাকেও অধিক কথা বলিয়া বুঝাইবার প্রয়োজন নাই, প্রত্যেক ব্যক্তি আপন৷ হইতে যত দূর বুঝিতেছেন তাহাই যথেষ্ট । যাহারা লোকদিগকে ধৰ্ম্মোপদেশ প্রদান করেন, তাহাদিগের মধ্যে কেহ কেহ বলিয়া থাকেন যে, জীবিকার অভাব উপস্থিত হইলে কাহারই কিছুমাত্র ক্ষুব্ধ হওয়া উচিত নহে। যখন সস্তোষ অবলম্বন করিলে মনে কোন প্রকার সন্তাপই তিষ্ঠিতে পারে না তখন জীবিকা লাভে অসমর্থ ব্যক্তিদিগের সন্তোষ আশ্রয়