পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ヘ○8 করাই শ্রেয়ঃ ধৰ্ম্মোপদেষ্টাদিগের এবংবিধ উপদেশ আশু শ্রবণ-সুখকর হয় বটে, কিন্তু তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা しQ2イ • कल्ल, ७ सोधै জন্মে । যখন কোন ব্যক্তি এই দ্বিতীয় শ্রেণীস্থ অভাব সকল পূরণ করিতে অসমর্থ Asia ব্যক্তি তদনুসারে কার্য্য করিতে সমর্থ হইয়া ক্ষুব্ধ হয়েন, তখন তাহাকে সন্তোষ হন কি না, তাহা একবার পর্য্যালোচনা করিয়া দেখ আবশ্যক । মনে সন্তোষ স্থাপন করিতে পারিলেই তাহাতে কোন প্রকার সন্তাপ স্থান পায় না, ইহা সত্য বটে, কিন্তু যোগী ভিন্ন | আর কেহই সকল অবস্থায় সেরূপ সন্তোষ ংস্থাপন করিতে সমর্থ নহেন । মাত্রই বিশেষ বিশেষ অভাব হইতে উৎপন্ন হয়। যে অভাব যে পরিমাণে বৃদ্ধি পায় তদুৎপন্ন দুঃখও সেই পরিমাণে সংবরণ করিতে হয় । মনুষ্যের অভাব প্রধানতঃ দ্বিবিধ । তন্মধ্যে একরূপ অভাব গৃহস্থ মাত্রকেই অনুভব করিতে হয় এবং তাহ পূরণ করিতে না পারিলে কাহারই জীবন রক্ষা পায় না ; অtহার, পরিচ্ছদ, বাসগৃহ ও রোগের চিকিৎসা ইত্যাদি বিষয়ক যে অভাব তাঁহাই এই শ্রেণীভুক্ত। আর এক প্রকার অভাব নানাবিধ প্রবৃত্তি চরিতার্থ করিবার নিমিত্তই লোকদিগকে অনুভব করিতে দেখা যায় । সকলের উপর এই জাতীয় অভাব-সকলের সমানরূপ অধিকার নাই, যাহারা যতটুকু প্রবৃত্তির বেগ চরিতীৰ্থ করিবার নিমিত্ত ব্যগ্র, র্তাহাদিগকে ততটুকু এই শ্রেণীর অভাব অনুভব করিতে হয়। বিদ্যাভ্যাস, পূজাৰ্চনা, ঐশ্বর্য্য লাভ, লোকসমাজে আধিপত্য বিস্তার, আড়ম্বরের সহিত পুত্র-কন্যাদিগের বিবাহ ও গুরুজনদিগের শ্রাদ্ধ সম্পাদন, দুঃখী দরিদ্রদিগকে অর্থদান এবং বাহ ইন্দ্রিয় সমুদায়ের তৃপ্তিসাধনোপযোগি দ্রব্যাদির আহরণ, ইত্যাদি বিষয়ক যে সকল অভাব তাহাই এই শ্রেণীভুক্ত। এই শ্রেণীস্থ অভাব সকল পূরণ করিতে না পরিলে ইহলোকে জীবন রক্ষার কোন ব্যাঘাত ঘটে না, কেবল মনো বৃত্তি সমুদায়ের বেগ-নিরোধ জন্যই সন্তাপ সন্তাপ । | | | ; | { | আশ্রয় করিয়া সন্তাপবিমুক্ত হইতে উপদেশ দিলেই শোভা পায়, কারণ সে স্থলে উপদিষ্ট ব্যক্তি কিঞ্চিৎ মানসিক বলের সহিত চেষ্টা করিলেই উপদেষ্টার উপদেশ একরূপ কার্য্যে পরিণত করিতে পারেন । কিন্তু যখন কোন ব্যক্তি প্রথম শ্রেণীর অভাব সকল পূরণ করিতেন। পারিয়া,ব্যাকুল হইয়া, বিষঃ মনে ইতস্ততঃ ভ্রমণ করিতে থাকেন, তখন তাহাকে সন্তোষ অবলম্বন পূর্ববক সুস্থির হইতে উপদেশ দিলে কিছুমাত্র ফল দর্শিতে পারে না – তখন সেই উপদিষ্ট ব্যক্তি জ্ঞানী হুইলে ও যে ফল, মুখ হইলেও সেই ফল । বস্তুতঃ ঐরূপ অভাবগ্রস্ত হইয়। কেহই কথন সন্তোষ অবলম্বন করিয়া নিশ্চিন্ত থাকিতে পারে না । সে অবস্থায় হয়, তিনি চেষ্টা ও যত্ন দ্বার। উপস্থিত অভাব মোচন করিয়া সুস্থির হইবেন, না হয়,জন্মের মত কালসাগরে প্রাণ-প্রতিমা বিসর্জন দিয়া নিরুদ্বেগ হইবেন, ইহা ভিন্ন তাহার গত্য ন্তর নাই। অন্যের কথায় প্রয়োজন কি, মহর্ষি বশিষ্ঠদেবও ক্ষুধায় কাতর হইয়া, চাণ্ডাল-হস্ত হইতে কুকুর-মাংস ভক্ষণ করিয়াছিলেন, ইহা একবার স্মরণ করিলেই সকলে আমাদিগের বাক্যের যাথার্থ্য অনুভব করিতে পরিবেন। আর এক ঋষি বলিয়াছিলেন যে,অনসন প্রযুক্ত ঋক সকল আমার নিকট প্রতিভাত হইতেছে না । অতএব ধৰ্ম্মোপদেষ্টাদিগের কিঞ্চিৎ বিবেচনা করিয়া,লোকদিগকে সন্তোষ-সম্বন্ধে উপদেশ প্রদান করিলেই ভাল হয়। আমাদিগের বিবেচনায় যখন র্যাহার যে সকল অভাব পূরণ করা ইহলোকে ও পরলোকের মঙ্গল সম্বন্ধে নিতাস্ত আবশ্ব্যক বলিয়া প্রতীয়