পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هدهد ۵۹ Reri } মান হয়, তখন র্তাহাকে কেবল সন্তোষ অবলম্বন পূর্বক নিরস্ত থাকিতে না বলিয়া, যে উপায় দ্বারা সেই সকল অভাব সহজে পূর্ণ হইতে পারে, তত্তাবতের গুঢ় উপদেশ দেওয়াই প্রকৃত ধৰ্ম্মোপদেষ্টার কর্তব্য । আর যখন কোন ব্যক্তির হৃদয়স্থ অভাব সকল ইহলোক ও পরলোকের মঙ্গলের প্রতিকূল বলিয়া প্রতীয়মান হয়, তখন কেবল র্তাহাকে তত্তাবতের পূরণ-অসামর্থ্য জন্য সন্তাপ হইতে রক্ষা করিবার আশয়ে সন্তোযাশ্রয়ের উপদেশ দেওয়াই বিধেয় । এইরূপ বিবেচনা করিয়া লোকদিগকে উপদেশ প্রদান করিলে তাহাও সফল হয় এবং মানবকুলের উন্নতি-স্রোতও বহমান থাকে । ইহার অন্যথা হইলে উপদেশেরও কিছুমাত্র ফলোদয় হয় না, অথচ উন্নতি-স্রোতেরও ব্যাঘাত চেষ্টা করা হয় । জীবিক লাভের বহুবিধ পথ আছে । fমনি তাহ লাভের নিমিত্ত যে পথ অবলম্বন করেন, তাহার উৎকর্ষপকর্ষ অনুসারে ভঁহিব জীবন পবিত্র বা অপবিত্র ভাবে অতিবাহিত হয় । এই নিমিত্ত আমাদিগের শাস্ত্রে বিবিধ শ্রেণীর লোকের নিমিত্ত প্রধানতঃ পঞ্চবিধ জীবিকা লাভের পথ নির্দিষ্ট আছে। মনুসংহিতা প্রভৃতি অস্মদেশীয় ধৰ্ম্মশাস্ত্রে নির্দিষ্ট হইয়াছে যে, ঋত, অমৃত, মৃত, প্রমৃত ও সত্যামৃত এই পাঁচ প্রকার বৃত্তি দ্বার দ্বিজাতির অর্থাৎ ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্ব জাতীয়ের স্ব স্ব জীবিকা লাভ করিবেন । শিল উদ্ধৃদি বৃত্তির নাম ঋত, অযাচিত দান গ্রহণের নাম অমৃত, ভিক্ষা দ্বারা প্রয়োজনীয় বস্তু সংগ্রহের নাম মৃত, কৃষি-কাৰ্য্যের নাম প্রমৃত, এবং বাণিজ্য-কাৰ্য্যের নাম সত্যামৃত । জীবিকার এই পঞ্চবিধ পথের মধ্যে শাস্ত্রকারগণ পবিত্রাপবিত্র বিবেচনায়, ঋত ও অমৃত এই জীবিকাতত্ত্ব 2 (* \రి( পক্ষ সর্বশ্রেষ্ঠ বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন; কেন না, কৃষকদিগের পরিত্যক্ত শস্য সংগ্রহ ও অযাচিত দান গ্রহণ দ্বারা যে জীবিকা লাভ করা যায়,তাহার সহিত হিংসা নীচতা বা অন্য কোন প্রকার পাপের সংস্পর্শ মাত্র নাই। আর র্তাহারা মৃত, প্রমৃত ও সত্যামৃত এই তিনটি বৃত্তিকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে নিবেশিত করিয়াছেন ; কেন না, ভিক্ষা করিবার সময়ে যেমন গ্লানি স্বীকার করিতে হয় তেমনি অন্তকে অকারণ কষ্ট দিতে হয়; হল-কুদালাদি দ্বারা কৃষিকাৰ্য্য করিবার সময়ে অনেক প্রাণীর হিংসা করিতে হয় এবং বাণিজ্য-কাৰ্য্য চালাইবার সময়ে সত্য-মিথ্য উভয়বিধ ব্যবহারই করিতে হয় । এইরূপে জীবিকার পথসমূহের দোষ-গুণ বিচার করিয়া, শাস্ত্রকারগণ ব্রাহ্মণদিগের স্বাভাবিক পবিত্রত রক্ষা করিবার নিমিত্ত বিধান করিয়াছেন, যে, তাহার। যদি ঋত ও অমৃত বৃত্তি দ্বারা জীবিক নির্বাহ করেন তাহ হইলেই ভাল হয় । কিন্তু যদি তাহাদিগের মধ্যে কোন ব্যক্তি বহু পরিবারবিশিষ্ট হয়েন, তবে তিনি মৃত, প্রমৃত ও সত্যামৃত বৃত্তি অবলম্বন করিয়াও জীবিকা লাভ করিবেন, কিন্তু কোন মতেই কোন অবস্থাতেই শ্ববৃত্তি অর্থাৎ সেবা দ্বারা জীবিকা লাভ করিবেন না । সেবাকে কি কারণে তাহারা কুকুর-বৃত্তি বলিয়া যার পর নাই ঘৃণা করিয়াছেন তাহা বুদ্ধিমান ও স্বাধীন প্রকৃতিসম্পন্ন ব্যক্তিমাত্রই হৃদয়ঙ্গম করিতে পা রেন । যদিও শাস্ত্রকারদিগের উপদেশ আমাদিগের শিরোধার্য বটে, তথাচ বর্তমান কালের অবস্থা পর্য্যালোচনা করিয়া দেখিলে তাহtদিগের প্রদর্শিত উল্লিখিত পঞ্চবিধ বৃত্তিই অম্মদেশীয় আধুনিক জনগণের অবলম্বনীয় হইতে পারে না। তাহাদিগের পূর্বতন