পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(ჯS:) তত্ত্ববোধিনী পত্রিক ** ৰে। ভার ও অত্যন্ত স্থা ছিল তাহার সংশয় পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে যে হস্তারোহী, রথা | নাই। অম্বরগুরু উশনা স্বকৃত নীতিগ্রন্থের রূঢ়, অশ্বারাঢ় ও পদাতি – এই চারি শ্রেণীর যোদ্ধা আছে। এই সকল যোধগণের কার্ষ্য সকল পশ্চাৎ ব্যক্ত হইবে । সম্প্রতি রথযোদ্ধা সম্বন্ধে লোকের যে সংশয় আছে তাহা দূরীকরণের নিমিত্ত অগ্রে রথের বিষয় কিঞ্চিং বলিব । ‘রথ’ এই শব্দ শুনিবা মাত্র চূড়াবিশিষ্ট সচরাচর রথই বোধ হইয়া থাকে । বস্তুতঃ যুদ্ধের রথ সেরূপ নহে। যুদ্ধের রথ ভিন্ন, ক্রীড়। অর্থাৎ আরম করিয়া ব্যাড়াইবার রথ ভিন্ন এবং দেবতা তুলিয়া পূজা করিবার রথ ভিন্ন । এই ভিন্ন ভিন্ন রথের ভিন্ন ভিন্ন নামও আছে । যথা,--- “যুদ্ধার্থে চক্রবদ্যানে শতাক্ষ: সান্দনোরথ । সংক্রীড়ার্থঃ পুষ্পপরথোলেবার্থক্ট মরুদ্ৰথ: |” (হেমচন্দ্রাচার্য্য) যুদ্ধের নিমিত্ত চক্রযুক্ত যান-বিশেষের নাম শতাঙ্গ, স্যন্দন এবং রথ । ক্রীড়ার নিমিত্ত যানের নাম পুষ্প-রথ এবং দেবতার নিমিত্ত প্রস্তুত রথের নাম মরুদিথ । এইরূপ অমরসিংহ ও যুদ্ধোপযোগী রথের কথা স্বতন্ত্র করিয়া বলিয়াছেন “যুদ্ধার্থে স্তন্দনোরথঃ । * অতএব যুদ্ধের রথ স্বতন্ত্র ভাবে নিৰ্ম্মিত হইত তাহার তার সংশয় নাই। রথে উঠিয়া যুদ্ধ করিবার প্রথা প্রাচীন | কালে এই ভারতবর্ষে ছিল এবং শুনা যায় যে মিসর দেশেও ছিল, এক্ষণে আর সেৰূপ যুদ্ধ নাই সুতরাং রথও নাই। উহ না থাকাতেই আমাদের মনে বিবিধ কল্পনা উপস্থিত হয়, রথের প্রকৃত চিত্র হৃদয়ঙ্গম হয় না । ফলত, যুদ্ধরথ সকল যেরূপ লঘু ও দৃঢ় হওয়া আবশ্যক, সেইরূপই ছিল । । বুদ্ধকালে রথের গতি ও শব্দ প্রভূতি স্বেরূপ i | ; }

ষষ্ঠ প্রকরণে যে যুদ্ধরখের নিৰ্ম্মাণঘটিত উপদেশ করিয়াছেন তাহ দেখিলেও ঐরূপ প্রতীতি হয় । যথা— । “লোহসারময়শচক্রঃ স্বগমোমঞ্চকাসনঃ। । স্থান্দোলায়িতয়ঢ়ত্ত্ব (রুদ্ধত্ব) মধ্যক্ষামনসারণিঃ । শস্বাস্ত্রসন্ধাৰ্যাদয়ইটচ্ছায়োমমোরমঃ । । এবংবিধো রথেরাজ্ঞা রক্ষ্যোনিত্যং সদ্বখকঃ ।” শুক্রনীতি, ৬ষ্ঠ প্রকরণ। রথ লৌহের সারাংশ দ্বারা নিৰ্ম্মিত হইবে, চাক গুলি সুগম অর্থাৎ অতি সহজে ঘুরিবেক, মঞ্চ অর্থাৎ কেদেরার ন্যায় উপবেশন-স্থান থাকিবেক, আরোহণ কালে ঈষৎ ছলিবে কিন্তু ভ্রমণকালে একটু নড়িবে ন—(এই কথায় বোধ হইতেছে যে পূর্বকার গাড়িতে শুীং ছিল) – সারথির উপ বেশন-স্থান মধামাকারের এবং রথীর সম্মুখে —উদরের মধ্যে যেঞ্চের নীচে) যাহতে অনেক অস্ত্ৰ শস্ত্র ধরিতে পারে এরূপ কেীশলে নিৰ্ম্মিত হইবে—ইচ্ছানুরূপ ছায়। থাকিবেক অর্থাৎ রৌদ্রোদিনিবারক আবরণ থাকিবেক, তাহা ইচ্ছানুসারী অর্থাৎ ইচ্ছ। হইলে আবরণ রাখা যায় ইচ্ছা ন হইলে ফেলিয়া দেওয়া যায়—দেখিতে সুদৃশ্ব এবং উত্তম উত্তম ঘোটকযুক্ত –এতাদৃশ রথ রাজাদিগের যুদ্ধের নিমিত্ত সৰ্ব্বদাই প্রস্তুত রাখা আবশ্যক । মহাভারত রামায়ণ, হরিবংশ প্রভূতিতে যে সকল যুদ্ধরথের বর্ণনা দৃষ্ট হয়,সে সকলও । এই শহরগুরু শুক্রচার্ব্যের উপদিষ্ট রথের অনুরূপ । যুদ্ধরখ সকল লঘু ভারসহ झुक्ल ७ অল্লায়তন ছিল। বর্ণনা ষ্টে যদি কেহ তাহা এখন প্রস্তুত করিতে প্রবৃত্ত হন, তাহা হইলে যুদ্ধরথ গুলি প্রায় আধুনিক ঋদ্ধির ন্যায় । po আকার ধারণ করে। জল্যাপি পশ্চিম দেশে । বর্ণিত হইয়াছে তাহাতে সে সকল যে লঘু- } এক প্রকার এক গাড়ি আছে, তাহাৰুে