পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\',აჯ) t i * | i 4 \ * , } o h l o f h | ? *}, १ g g

  • I , ", ! # # 3 يلي || ' l | * t 1 ', j," f | | i. |
k *

h J , | كه I d 喀 o * t * , d * { | や5 び | 命。 g | * 3 | i $g i * s , s " و همال أهد I | لمسعسقضصصعملس لسم تصلد f k g t 1 || of l * * h 1 r f ķi l 1 } & I l % * § } l ? t

  • * कन्न, ৩ গুণগ

জ্ঞানের নিকট হইতে দেশানুরাগের শিক্ষালাভ হয়, ইহাতে এক প্রকার অকাল-পঙ্ক দেশানুরাগ জন্মে। পাদরি সাহেবের লিখিত বাঙ্গল। পুস্তক, আর ইংরাজি পুথিগত বিদ্যার দেশানুরাগ, উভয়ের মধ্যে বিলক্ষণ আত্মীয়তা এবং ঘনিষ্ঠত আছে। পাদরি মহাশয়ের ইংরাজী রীতি অনুসারে বাঙ্গল ভাসার চর্চা করিয়া থাকেন; ইহারা ইংরাজি রীতি অনুসারে দেশানুরাগের চর্চা করিয়া থাকেন। ইহারা মনে করেন যে, স্বদেশীয় ভীম উঠাইয়া দিয়। ইংরাজি ভাষাকে তাহার স্থলাভিসি ক্র কর, স্বদেশীয় আচার ব্যবহার উঠাইয় দিয়। ইংরাজি আচার ব্যবহারকে তাহার স্থলাভিষিক্ত করা, এই সকল করাই দেশানুরাগ ব্যক্তির মুখ্য কাৰ্য্য । কেননা তাহাতে দেশের বিস্তর উপকার করা হয়। এক্ষণে অামারদের দেশের অবস্থ ক্রমে এইরূপ দাড়াইতেছে মোছার কেবল জ্ঞান পক্ষীয় দেশানুরাগী ভাহীর মুখে এবং লেখ নীতে একরূপ বিজাতীয় দেশানুরাগ প্রকটন পূর্বক প্রকৃত দেশানুরাগের মৰ্ম্মে যতই শেল বিদ্ধ করবেন,ততই তাহারা বিদ্বজ্জনের আদরভাজন স্থইবেন । পরন্তু র্যাহার ভাবপক্ষীয় দেশানুৰাগী, তাহারদের এক্ষণে কোন স্থবিধা দেখিতে পাওয়া মায় না । যাহার কেবল জ্ঞান-পক্ষীয় দেশানুরাগী তাহারা কেবল এইমাত্র জানেন যে, যেসকল দেশে জ্ঞানের অত্যন্ত প্রাদুর্ভাব সেই সকল দেশের আচার-ব্যবহার রীতি নীতি প্রচলিত হইলেই আমারদের দেশের মঙ্গল হইবে । ইহঁর ভাবের কিছুই ধার ধারেল ল । অন্য দেশের রীতিনীতি আমারদের দেশে কিরূপেই বা শোভা পাইবে ઈસર્ િশরুপেই বা পরিপাক পাইবে, ইহা ॐ:झ्द्र बृहन्नई ठूदम न । उांद ब्राउँौऊ শুদ্ধ জ্ঞান দ্বারা কি কোন কাৰ্য্য হয় না ? হয়। এক্ষণে ভাষারদের দেশে যেরূপ কাৰ্য্য হইতেছে সেরূপ কাৰ্য্য প্রচুররাপেই হয়। এক্ষণে আমারদের দেশে কিরূপ কাৰ্য্য হইতেছে ? না নীচে হইতে সংবাদ-পত্রেঃ মুখে উন্নতি শব্দের তুড়ি-বাজি হইতেছে এবং উপর হইতে পদমান-মৰ্য্যাদার তারাবাজি হইতেছে এবং সকল স্থানেই তাছ। লইয়। এমনি এক হৈহৈৱৈয়ৈ শব্দ উঠতেছে যেন ভারতের উন্নতির আর সীমা-পরিসীমা নাই, ভারতের স্থণসৌভাগ্যের আর অন্ত নাই । ইহার পদবৃদ্ধি। উহার তোপবৃদ্ধি ! ইহাকে পারিতোষিক প্রদান, উহাকে ধন্ধাপ্রদান, অদ্য এই নিয়ম কল্য আর এক নিয়ম, অদ্য মছাবাতা ও বন্য অগ্রাহ করিয়া উৎসব আনন্দ জঙ্গি কোলাহলে আকাশ পাতাল কম্পমান পর fন পাশ্চাত্য সিংহ বাহিনী দেবীর দীর্ঘ নিশ্বাসী এবং শোকা শ্রী জলে সংবাদপত্র সমূহে দ্বিতীয় বাত্য। এবং বন্যার আবির্ভাব ! এই সকল ব্যাপী রই এক্ষণে ভূয়োভুয় দেখা গিয়া থাকে। উন্নতির আশা যাহা পূর্বে পূর্বে দেখা গিয় ছিল তাহা এক্ষণে মৃগতৃষ্ণিকায় পরিণত হইয়াছে আর এক দিকে দেখা যায়, যে কেবল হারা ভাবপক্ষীয় দেশানুরাগী তাহারদের দ্বারাও কোন কাৰ্য্য হইতে পারে না । দেশের দূরবস্থ৷ দেখিয় তাহারা যথার্থই শোকানলে দগ্ধ হইতেছেন, কিন্তু জ্ঞানের অভাব হেতু তাহারদের মনের কথা মনেই থাকিয়া যায়, মুখেও প্রকাশ করিতে পারেন না, কাৰ্য্যেও প্রকাশ করিতে পারেন না; গুমরিয়া গুমরিয়াই সারা হন । আমার দের দেশের বর্তমান ভাবগতি উপলক্ষে দেশানুরাগের প্রকৃত পদ্ধতি কিরূপ এক্ষণে তাহা স্পষ্টই দেখা যাইতেছে। প্রথমতঃ আমারদের দেশে পূৰ্ব্বাপেক্ষা জ্ঞানোন্নতি হইতেছে, ইহা অতীব স্বশ্বের বিষয় । কিন্তু