পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ ১৭৯৯ সাবধান ! আমরা জ্ঞানগর্বে স্ফীত হইয়া যেন এযন মনে না করি যে, ভাবের সহিত এখন আর কোন সম্পর্ক রাখিবার প্রয়োজন স্তরে না । জ্ঞানের প্রকৃতি একরূপ, ভাবের প্রকৃতি আর একরূপ, ইহা সত্য ; কিন্তু তাহা বলিয়া উভয়ের মধ্যে পরস্পর বিরোধ হইবার কোন কারণ নাই, বরং অধিকতর সম্ভাব হওয়াই যুক্তিসঙ্গত। কেননা উভয়ের মধ্যে স্ত্রীপুরুষের সম্বন্ধ। যদি জ্ঞানে উন্নত হইয়া থাক, তবে ভাবে এবং কাৰ্য্যে তাহার পরিচয় দেও । জ্ঞান যত পরিপক্ক হয় ততই ত তাহাতে দেশকলপাত্রোপযোগী কাৰ্য্যকর্তৃত্ব জন্মে। ততই ত তাহাতে স্বাধীনতা জন্মে। তবে কেন এদেশে তাহার বিপরীত ফল দেখিতে পাওয়া যায় । ইহার কারণ কেবল ভাবের অভাব আর কিছুই নহে । আমারদের দেশে ভাবের এমনি দেখিতে পাওয়া যায় যে, আপনার যে দেশ আপনার যে জন্মভূমি, তাহাতেও অনেকের বিতৃষ্ণ জন্মিতেছে। যিনি স্বকীয় বা স্বদেশীয় স্থৰুদ্ধিকে চরণে দলিয়া, এবং পরকীয় অথবা পরদেশীয় বুদ্ধির পদানত ভৃত্য হইয়া, আপনাকে জ্ঞানী মনে করেন তিনি যদি সমস্ত যেটুকাফহাল বা থাকিরের পুস্তকালয় উদরস্থ করেন, তথাপি আমরা তাহাকে জ্ঞানী বলিয়৷ মান্য করিতে পারি না । স্বদেশ এবং গৃহের ভিত্তি-মুল যাহাতে দৃঢ় হয়, তাঁহাই আমারদের অগ্ৰে কৰ্ত্তব্য ; বিদেশীয়দিগের সহিত মিত্রত করা তাহার পরের কার্য্য ! অগ্রে আপনারদের মধ্যে সস্তাবের পুজি না থাকিলে, অন্যের সম্ভাব আকর্ষণ করা কোন প্রকারেই সম্ভবে না। একটি রামপ্রসাদী গীতে ভাবসম্বন্ধে এইরূপ উক্ত হইয়াছে, “সে যেভাবের বিষয় ভাব-ব্যতীত অভাবে কি ধর্তে পারে, হ’লে ভাবের উদয় লয় সে দেশানুরাগের প্রৱন্ত পদ্ধতি কিৰূপ পারমার্ষিক বিষয়ে এই যাহা বলিয়াছেন, সাংসারিক বিষয়েও তাঁহাই প্রকারম্ভিরে বলা যাইতে পারে। আপনাতে ভাবের অভাব । ৩৭ - . عی - = ح به محبیسه سیستمحید محسن حسیحسم- سمسم-سست পূজি থাকিলে, তবে ত দেশের ভাব আকর্ষণ করিতে পারা যাইবে । আপনার দেশে ভাবের পূজি থাকিলে তবে ত অন্য দেশের ভাব আকর্ষণ করিতে পারা যাইবে । ভাবের বিনিময়েই ভাব পাওয়া যাইতে পারে ; নতুবা দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করিয়া বেড়াইলে কি হইবে ? পূর্বে আমারদের দেশে ভাবের এমনি প্রগাঢ়তা ছিল যে, এখনো তাহা অামরা সম্যকৃরূপে ইয়ভা করিতে পারিতেছি না ! এবং তাহার এমনি আকর্ষণ-শক্তি যে, নদী যেমন সমুদ্রের দিকে সহজেই প্রবাহিত হয়, সেইরূপ ভারতের পুরাতন ভাব-সাগরের দিকে সকল দেশের ভাবই সহজে অীকৃষ্ট হইতেছে। অগ্রে আপনারদের একট। মূলধন খাড় কর, তাহার পরে অন্যের সহিত লেন দেন মত পীর চালাও, এই সহজ সৎ পরামর্শটি অগ্রাহু করিয়া আমরা মূলধন ক্রমাগতই জলে ফেলিয়া দিতেছি । দেশীয় স্থরীতি স্থনীতি সদাচার প্রভৃতি সমস্তই কাল-স্রোতে ভাষাইয় দিতেছি ; অন্যের নিকটে ক্রমাগতই ঋণ করিয়া সকল বিষয়েরই উন্নতি সাধনে প্রবৃত্ত হইতেছি, এইরূপ করিয়া বাতাসের উপর একটা প্রকাণ্ড কারষার ফাদিয়া বসিয়াছি, বালির বাবের উপরে একটা প্রকাণ্ড রাজ-প্রাসাদ সমুন্নত করিয়াছি । এখন উপায় কি ? এখন ভাল এবং মন্দ দুয়ের মাঝামাঝি একটা পথ অবলম্বন ভিন্ন উদ্ধায়ের আর উপায় নাই । এক্ষণে আমারদের দেশে শ্বেরূপ নানা দেশীয় মিশ্র | আচার ব্যবহার প্রচলিত হইয়াছে তাছা যে অংশে বর্তমান হিন্দুসমাজের রুচিবিরুদ্ধ না হয়, সে অংশে তাছা শিরোধাৰ্য্য করিয়া যেমন লোহাকে চুম্বকে ধরে” গীতরচয়িতা ! চলাই ভাল। তাহ লইয়া অনর্থক বিবাদ