পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| g . . . g

, 2&# هي مصر छाँश्च ३१ *** i כלף বেদান্ত দশন l লাভ করে । ফলকামনা বা ফলভোগরূপ জঞ্জাল চিত্ত হইতে অপসারিত হইলেই ব্রহ্ম প্রথম অধ্যায় প্রথম পাদ । 38لمخيه %, অধিকরণ | ভিন্ন বিষয় হইতে তাহা ব্যাবৃত্ত হইয়া ব্রহ্মপ্রথম অথিকরণ । জিজ্ঞাসায় রত হয়। তাহারই নাম শুদ্ধ চিত্ত। সূত্র । অথাতোত্রহ্মজিজ্ঞাসা । ১ । আর বেদাধ্যয়ন ও ধৰ্ম্মক্রিয়া দ্বারা যে আত্ম অর্থ । চিত্তশুদ্ধিই ব্রহ্মজিজ্ঞাসার হেতু । ১ । তাৎপৰ্য্য চিত্তশুদ্ধি ব্যতীত আর কিছুই ব্রহ্মজিজ্ঞাসীয় অপেক্ষিত নহে । বেদের দাসত্ব, প্রাকৃতিক তত্ত্বনির্ণয়, নানা শাস্ত্রের বিচার, দেবতাবিষয়ক সংবাদ, লৌকিক শৌচাচার, শাস্ত্রীয় ফলশ্রুতি, দৈব ও পিতৃকাৰ্য্য প্রভৃতি কোনরূপ জ্ঞান বা অনুষ্ঠান ব্রহ্মজিজ্ঞাসার অপ্ৰাবfহত হেতু নহে । এমত লোক অনেক তাছেন যাহার ব্রত পূৰ্ব্বক বেদাধ্যয়ন এবং শদ্ধ পৰ্ব্বক বেদের প্রামাণ্য স্বীকার করেন অথচ তাহার। ব্রহ্ম-জিজ্ঞাস্ত নহেন—প্রাকৃতিক তত্ত্বানুসন্ধানে কৃতকাৰ্য্য হইয়াছেন অথচ ব্ৰহ্ম-জিজ্ঞাসায় উপনীত হইতে পারেন মা দ - বিধি-নিষেধ-প্রদ স্মৃতি সমৃহের ও ক্রক, তত্ত্ব,ধৰ্ম্ম,ব্ৰহ্মপ্রতিপাদক দর্শন রাশির পারদর্শী হইয়াছেন কিন্তু ব্রহ্মজিজ্ঞাসীয় মতি জন্মে নাই – দেবগণ-সম্বন্ধে সকল সংবাদ অবগত আছেন, অহরহ গঙ্গাস্নান, জপ, তপণ, ও দান করেন, পিতৃ ও দেবগণের উদ্দেশে হব | কব্য প্রদান না করিয়া জল-গ্রহণ করেন না। " অথচ ব্রহ্মজিজ্ঞাস। তঁহাদের হৃদয়কে স্পর্শও করে নাই । অতএব একমাত্র চিত্তশুদ্ধিই ব্রহ্মজিজ্ঞাসার অব্যবহিত হেতু । ঐ সমস্ত শাস্ত্রাদির আলোচনা ও ধৰ্ম্ম-ক্রিয়ার আচরণ দ্বারা অপর বিদ্যা ও ব্রহ্মভিন্ন ফললাভ হইয়া থাকে, কিন্তু ব্রাহ্মী মতির উদয় হয় না । শাস্ত্র-দৃষ্টিতে,সাধুসঙ্গে, অথবা তাদৃশ বিদ্যা ও ধৰ্ম্মক্রিয়ার অনিত্য ফলসমূহকে ভোগের স্বারা পরীক্ষা করিয়া যখন তাহাতে বৈরাগা উপস্থিত হয়, তখনই চিত্ত বিশুদ্ধাবস্থা • { Mj. r}) ایش-- . گ င္တူ႔ Iኳኳ! প্রসাদ বা চিত্তপ্রসন্নত অনুভব হয় তাহ। ব্রহ্মজিজ্ঞাসার অনুকূল নহে । তাহ কেবল শুভানুষ্ঠানের ফলমাত্র, সেই ফলই ব্রহ্মজিজ্ঞাসার বাধস্বরূপ । ফলে পুনঃ পুনঃ ভোগ বা পরীক্ষা দ্বারা তাহাতে মিৰ্ব্বেদ উপস্থিত হইয়। চিত্তশুদ্ধি হয় । সেই শুদ্ধ চিন্তুষ্ট অব্যবহিতরূপে ব্রহ্মজিজ্ঞাসার হেতু ! বিদা: ও ধৰ্ম্মক্রিয়াকে যে যে স্থলে ব্রহ্মজিজ্ঞাসার কারণ কহিয়াছেন সেই সেই স্থলে তদ্ভভয়ের ফল-সঙ্গ-বিহীনত্ব প্রতিপাদন করিয়াছেন; কেন না চিত্তশুদ্ধি-সম্পাদনে উহাদের সে হেতুত্ব তাহ জাতীঙ্কর-বিনষ্ট-বাজবং উহাদের অনুষ্ঠান ও ফলের বিনাশেই উৎপন্ন হয়। এভাদুশ তাৎপর্য্যে ধৰ্ম্মক্রিস প্রভূতিকে গেণপরম্পর ব্রহ্মজিজ্ঞাসার হেতু বলিতে চাহ বল, কিন্তু বেদস্ত-শস্ত্রের সিদ্ধান্ত যে, চিত্ত-শুদ্ধিই সেই শুভ-জিজ্ঞাসার একমাত্র অব্যবহিত কারণ। গাগীকে আচাৰ্য্য এইরূপ উপদেশ দিয়াছিলেন, جم۔" ੱ` “যোএন্তিদক্ষরং গাবিদিত্ব স্মিন লোকে জুহোবি, যজতে তপস্তপাতে বহন বর্ষস স্বাণাস্তবদে বাস্য তস্থ বতি।” হে গাগি ! এই অক্ষর পরমেশ্বরকে ন৷ জানিয়া কোন ব্যক্তি ইহুলোকে বহুসহস্ৰ বর্ষ হোম, যাগ, তপস্যা করিলেও তিনি অস্থায়ী ফলমাত্র লাভ করেন । মুণ্ডক শ্রুতিতে “তত্রাপর ঋগ্বেদোযজুৰ্ব্বেদঃ ইত্যাদি বচনে বেদাদি সমস্ত শাস্ত্রকে ও তন্নিপন্ন ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম ও ফলশ্রুতিকে নিন্দ পূর্বক মোক্ষ সাধন পর বিদ্যার প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন এবং পুনশ্চ “প্লবাহেতে” ইত্যাদি শ্রীতিতে পর