পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ャ দিগের রাজ্য ও সুখভোগ এবং জীবনেতে কি প্রয়োজন আছে ? হে মধুসূদন । যদ্যপি ইহঁরা আমারদিগকে আঘাতও করেন, আর স্বর্গমর্ত্য-পাতাল পর্যন্তও অধিকার পাই, তথাচ আমি ইহারদিগের বধ ইচ্ছা করি না, তাহাতে এক পৃথিবীর নিমিত্ত দুৰ্য্যোধনাদিকে নষ্ট করিয়া আমারদিগের কি প্রিয় কাৰ্য্য হইবে? এই সকল বক্তিদিগকে নষ্ট করিলে আমারদিগকে পাপ আশ্রয় করিবে, অতএব ধৃতরাষ্ট্রের পুত্রাদিকে বন্ধুবৰ্গ সহিত নষ্ট করিতে আমরা সমর্থ নহি । হে মাধব । আমরা কিরূপ আত্মীয়গণের বিনাশ করিয়া प्लशैौ झंझेद ।” আমরা প্রথমে ধৰ্ম্মসান্ধীয় প্রধান প্রধান বিষয়ে ভগবদগীতার কি মত তাহা বলিব, পরে তদানীন্তন কালে ভগবদগীত দ্বারা ধৰ্ম্মবিষয়ে মতের কিরূপ পরিবর্তন সাধিত হইবার নিদর্শন প্রাপ্ত হওয়া যায় তা ছ। বলিব, তৎপরে অন্যান্য দেশীয় ধৰ্ম্মগ্রন্থ হইতে ভগবদগীতা কি কি বিষয়ে শ্রেষ্ঠ তাহা বলিব । পরিশেষে সংশয়বাদ এবং এই ভোগ-বিলাসের কালে ভগবদগীত। পাঠের উপকারিত্ব বর্ণনা পূৰ্ব্বক উপসংহারস্থলে তাহার প্রশংসা কীৰ্ত্তন করিয়া বক্তত সমাপন করিব । ঈশ্বরের স্বরূপ বিষয়ে ভগবদগীতার মত অতি উচ্চ । ভগবদগীতার এক স্থানে উল্লিখিত হইয়াছে যে, ঈশ্বর “পরং ব্রহ্ম পরং ধাম পবিরং পরমং ভবান । পুরুষং শাশ্বতং দিব্যমাদিদেবমজং বিভূং ” ১০ম, ১২ ৷ “পরব্রহ্মই পরম ধাম,তিনি পরম পবিত্র, পুরুষ অর্থাৎ আত্মা, মুক্ত, জ্যোতিৰ্ম্ময়, আদিদেব, জন্মরহিত, সৰ্ব্বব্যাপী হয়েন ।” "জ্ঞেয়ং যত্তং প্রবক্ষামি যজজ্ঞাত্বামৃতমশ্বতে । মনামিং পৰং ব্রহ্ম ন সত্তস্নাসদুচ্যতে ॥ সৰ্ব্বত: পণিপাদস্তং সৰ্ব্বতোক্ষিশিরোমুখং । তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা | ; | ৯ কল্প, ও ভাগ সৰ্ব্বত: শ্রুতিমল্লোকে সৰ্ব্বমাৱত্য তিষ্ঠতি । সৰ্ব্বেন্দ্রিয়গুণাভাসং সর্বেক্রিয়বিবর্জিতং । অসক্তং সৰ্ব্বভৃচ্চৈব নিগুণং গুণভোক্ত চ | রহিরস্তশ্চ ভূতামামচরং চরমেব চ। ক্ষমত্বাত্তদবিজ্ঞেয়ং দূরস্থং চাস্তিকে চ তৎ ॥ অবিভক্তঞ্চ ভূতেষু বিভক্তমিব চ স্থিতং । ভূত ভর্তৃচ তজজ্ঞেয়ং গ্ৰসিষ্ণু প্ৰভবিষ্ণু চ | জ্যোতিষামপি তজ্যোতিস্তমস: পরমুচ্যতে । জ্ঞানং জ্ঞেয়ং জ্ঞানগম্যং হৃদি সৰ্ব্বস্য ধিষ্টিতং ॥ " >७*j, »२-४१ ।। র্তাহাকে জানিলে মোক্ষ প্রাপ্তি হয়, তিনি উৎপত্তিরহিত এবং বিধি-নিষেধের বিষয় নহেন । তিনি অচিন্তনীয় শক্তি দ্বার সৰ্ব্বত্র হস্ত-পদ-বিশিষ্ট এবং সর্বত্র চক্ষু মস্তক ও মুখযুক্ত এবং সর্বত্র কর্ণময় হইয়া লোকে সৰ্ব্বব্যাপক রূপে বিরাজ করিতেছেন। তিনি সকল ইন্দ্রিয়ের গুণ প্রকাশ করেন কিন্তু নিজে সকল ইন্দ্রিয়-বিবর্জিত; তিনি স্বয়ং আসক্তি-শূন্য তথচ সকলকে ধারণ করিতেছেন, এবং নিজে নিগুণ হইয়াও সত্ত্বাদি সকল গুণের পালন করেন । তিনি স্থাবর জঙ্গম সমুদায় প্রাণির বাহিরে এবং মধ্যে অবস্থিত, এবং সকলের কারণ প্রযুক্ত তিনিই চরাচর সমুদায; কিন্তু অতি সৃক্ষা, এই কারণে স্পষ্টরূপে জ্ঞানের গোচর হয়েন ন, তিনি দূরে তিনি নিকটে তিনি সকলের কারণ, এ প্রযুক্ত কোন প্রাণি হইতে ভিন্য নহেন, কেবল কার্য্যরূপে ভিন্যের ন্যায় । তিনি সকলের প্রতিপালক ও সকলের সংহারক, তিনি প্রভু, তিনি সৰ্ব্বব্যাপী । তিনি সূৰ্য্য চন্দ্র অগ্নি প্রভৃতি জ্যোতিঃপদার্থ সকলের প্রকাশক, তিনি অন্ধকারের অতীত, তিনি জ্ঞান-স্বরূপ, জ্ঞানগোচর এবং জ্ঞানগম্য ও সকল প্রাণির হৃদয়ে সৰ্ব্বনিয়ন্তা স্বরূপে অবস্থিত ।” যদ্যপি এই কয়েকট ও পূৰ্ব্বোক্ত শ্লোক উপনিষদকে আদর্শ করিয়া লিখিত কিন্তু ইহাতে ভগবদগীত-রচয়িতা নিজের ক্ষমতা